রায়গঞ্জ, 24 জুলাই: সরকারি পোর্টালে গোলমালের জেরে মিড-ডে মিলের টাকা পাচ্ছে না উত্তর দিনাজপুরের বেশ কিছু স্কুল ৷ আর তাই শিক্ষকরাই নিজেদের অর্থে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করছেন ৷ সরকারি পোর্টালে মিড-ডে মিলের তালিকা পাঠালে তবেই অর্থ বরাদ্দ হয় ৷ কিন্তু এবার সেই পোর্টালেই গোলমাল দেখা দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছে জেলার শহর-সহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্কুলগুলি(Midday Meal Problem at Primary School in Raiganj)। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল। বিষয়টির দ্রুত সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
স্কুলছুট আটকাতে মিড-ডে মিল প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের দুপুরের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন কতজন ছাত্রছাত্রী মিড-ডে মিলের আহার গ্রহণ করছে তার তালিকা ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠাতে হয়। প্রশাসনের নির্দিষ্ট পোর্টালে এবং হোয়াটসঅ্যাপ করেও পাঠাতে হয় এই তালিকা। তালিকা পাওয়ার পরই সেদিনের মিড-ডে মিলের টাকা বরাদ্দ করে ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন: স্কুল লক্ষ্য করে উড়ে আসছে ইট-পাটকেল, প্রতিবাদে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ সদর, রায়গঞ্জ ব্লক-সহ বিভিন্ন ব্লকের প্রায় সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির শিক্ষিকাদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে থাকছে ব্লক প্রশাসনের মিড-ডে মিলের পোর্টাল। ফলে তালিকা পাঠাতে পারছেন না মিড-ডে মিল গ্রহণের ছাত্রছাত্রীদের তালিকা। এমনকী আগের দিনের তালিকাও পোর্টাল গ্রহণ করছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের ৷
পোর্টালে আপলোড না হওয়ায় সেই দিনের মিড-ডে মিলের টাকা পাচ্ছে না স্কুলগুলো। নিজেদের পকেট থেকেই ভরতে হচ্ছে মিড-ডে মিলের খরচ। স্কুলগুলোর এই সমস্যা নিয়ে এবিটিএ'র সহ সম্পাদক ধ্রুব পাল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মিড-ডে মিলের পোর্টালে তথ্য আপলোড নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। কোনও-কোনও দিনের বরাদ্দ অর্থ না মেলায় নিজেদের পকেটের টাকা দিতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রশাসন এ ব্যাপারে সদর্থক কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: স্কুলের দেওয়া টিফিন খেয়ে অসুস্থ 50 জন ছাত্রছাত্রী
একই কথা শোনা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের মুখে ৷ তাঁরা জানান, স্কুলগুলোর মিড-ডে মিলের তালিকা পোর্টালে আপলোড করার সমস্যা রয়েছে ৷ রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, খুব দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা হলেও শিক্ষকদের পকেট থেকে টাকা যাচ্ছে এটা ভুল কথা। পোর্টালে না গেলেও ম্যানুয়ালে মিড-ডে মিলের তালিকা পাঠানো হয় এবং ব্লক প্রশাসন সেই টাকাও বরাদ্দ করে।