রায়গঞ্জ, 13 জুন: মাটির নীচের জলস্তর নেমে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জল না-থাকায় বেশ কিছু পাম্প মেশিন বিকল হয়ে পড়েছে ৷ প্রবল দহনে পুড়ছে বাংলা। তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। তাপমাত্রা 42 ডিগ্রি উপরে উঠে রয়েছে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দুর্যোগের শিকার আপামর মানুষজন। এরই মাঝে উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জে গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে জল সংকট।
রায়গঞ্জ ব্লকজুড়ে এই সমস্যায় কাহিল সাধারণ মানুষ। তবে রায়গঞ্জ পৌর এলাকায় সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ । শহরের 27টি ওয়ার্ডেই একই পরিস্থিতি। ভূগর্ভের জলস্তর অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। যার ফলে পাম্প মেশিন কাজ করছে না। একটা সময় রায়গঞ্জ শহরে সারা বছরই নলকূপ থেকে জল উঠত। কিন্তু বিশ্ব-উষ্ণায়নের জেরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গরম যেমন বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জলস্তরও নেমে গিয়েছে অনেকটাই নীচে।
ফলে এখন আর নলকূপ থেকে তেমন জল উঠছে না। শুধু তাই নয়, পাম্প চালিয়ে জলের সংকুলান সম্ভব হচ্ছে না। শহরের সাধারণ নাগরিকরা বলছেন, আগে যেখানে 10-15 মিনিটে পুরো ট্যাঙ্ক ভরে যেত এখন সেখানে ঘণ্টা দেড়েক পাম্প চালিয়ে পর্যাপ্ত জল উঠছে না। ফলে অল্প জলেই কাজ সারতে হচ্ছে। কেউ কেউ ভরসা করছেন সরকারি নলকূপের উপরে। একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছে পাম্প সারাইকারী কর্মী দুলাল দেব।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের দাবদাহে জল আনতে দেড় কিমি পাড়ি গাঁয়ের মহিলাদের, হাহাকার মালদায়
তিনি বলেন, "জলের স্তর ক্রমশ নীচে নামছে। ফলে পাম্পের মেশিন পর্যাপ্ত জল টান ব্যর্থ হচ্ছে। এই অবস্থায় পাম্প সারাইয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস।" তাঁর মতে, পরিমিত বৃষ্টি হলেই এই সমস্যা মিটবে। এখন বৃষ্টির আশায় চাতক পাখি রায়গঞ্জ শহরবাসী। যদিও উত্তরবঙ্গে এই মুহূর্তে বর্ষা প্রবেশ করেছে ৷ তাই আশা করা হচ্ছে রায়গঞ্জ ব্লকজুড়ে এই জলের সমস্য়া শীঘ্রই মিটবে ৷