রায়গঞ্জ, 25 জুলাই : শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী ও পুত্রকে আনতে এসে গণধোলাই খেলেন জামাই । ঘটনাটি গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোয়ালমারি গ্রামের । আক্রান্তের নাম পিটুশ মণ্ডল (35) ৷ ঘটনার পর তাঁকে ভরতি করা হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । ঘটনার বিবরণ জানিয়ে গোয়ালপোখর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় ষোলপাড়া এলাকার পিটুশ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় আদরী বিশ্বাস (30) নামে এক যুবতির । তাঁদের দুই বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে । বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে শিলিগুড়ির একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন তাঁরা । সম্প্রতি স্ত্রী পুত্রকে রেখে পিটুশ কর্মসূত্রে কলকাতায় চলে যান । সেখানে থাকাকালীন ফোনের মারফত পারিবারিক বিবাদ শুরু হয় । সেই বিবাদের পর ওই যুবতি তাঁর বাপের বাড়ি চলে আসেন । কলকাতা থেকে ফিরে পিটুশ মণ্ডল তাঁর স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরাতে গেলে শ্বশুর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হয় বলে অভিযোগ ।
সেই সময় শ্বশুরের হাত থেকে তিনি কেড়ে নেন অস্ত্রটি । এই দৃশ্য এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে তারা মনে করে যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পিটুশ সকলকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছেন । ফলে তাঁকে বাধা দিতে আসে অনেকে ৷ তাঁকে মারধর করে । ঘটনার পর তাঁকে ইসলামপুর হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।
এরপর গোয়ালপোখর থানায় অভিযোগ জানাতে যান পিটুশ মণ্ডল । তবে এই বিষয়ে গোয়ালপোখর থানার IC-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি । জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার বলেন, পিটুশ মণ্ডলকে মারধরের ঘটনার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । অভিযুক্তরা পলাতক ।