বারাসত, 12 এপ্রিল : "শান্তনু ঠাকুর নাগরিকত্ব বিলটা পড়েইনি। 190 পাতার বিলটা না পড়েই প্রচার করছে ও।" আজ বারাসতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর একথা বললেন মমতাবালা ঠাকুর। পঞ্জিকা মতে অমৃতযোগ তিথিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থাৎ পরিবারের সদস্য শান্তনুকে আক্রমণ করেন।
বনগাঁ কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর। বিপরীতে শান্তনু ঠাকুর। গতবার এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে CPI(M)-এর দেবেশ দাসকে হারিয়ে জয়ী হন তাঁর স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। এই নির্বাচনে লড়েছিলেন তাঁর আরেক ভাশুরপো অর্থাৎ শান্তনু ঠাকুরের দাদা সুব্রত ঠাকুরও। আর তখন থেকেই ঠাকুরবাড়ির অন্দরের রাজনীতি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এরপর বীণাপানিদেবীর মৃত্যুর পর তা আরও জোরালো হয়। আর সেই বিষয়টাকেই কাজে লাগিয়ে একই কেন্দ্রে ফের ঠাকুরবাড়ির দুই সদস্যকে লড়াইয়ে নামানো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবারে শান্তনুর প্রচারের বিষয় মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে প্রচারের ময়দানে মমতাবালাও।
প্রচারের বিষয় এবং নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মমতাবালা ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের আনা মতুয়াদের নাগরিকত্ব বিল মানা যায় না। কারণ ওই বিল মানলে মতুয়ারা ভোট দিতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী একবারও বলছেন না, মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেব। আসলে ওই বিলটায় শর্ত চাপানো হয়েছে। মতুয়াদের আগে আবেদন করতে হবে। মতুয়ারা যখন এই আবেদন করবে তখন তাদের ভোটার কার্ডটা নিয়ে নেওয়া হবে। তারপর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর সেটা মানতে গেলে ভোটার তালিকায় মতুয়াদের নামটাই তো থাকবে না। নাগরিকত্ব বিলটা ভালো হলে ওরা তা রাজ্যসভায় পাশ করাতে পারল না কেন? অসমে তো প্রধানমন্ত্রীর দলের লোকজনই এই বিলের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখিয়েছেন।
আর মতুয়াদের নাগরিকত্ব ও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দুটো বিষয়ই আমাদের প্রচারে থাকছে।"