রায়গঞ্জ, 17 অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হল উত্তর দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকটি পুজোর । এদিন রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুরের বেশ কয়েকটি ক্লাবের পুজোর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধনে খুশী পুজো উদ্যোক্তারা । মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পড়ে জোর কদমে কাজ শুরু করেছে পুজো কমিটিগুলো ।
উল্লেখ্য, কোরোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা তোলা দুষ্কর হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল পুজো কমিটির কর্মকর্তারা । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী 50 হাজার টাকা পুজোর খরচের অনুদান দেওয়ায় প্রবল উৎসাহে পুজো মন্ডপ ও প্রতিমা তৈরিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাঁরা । শুধু তাই নয় কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুজো কমিটিগুলোও রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট করা বিধিনিষেধ পালন করছে । পাশাপাশি নিজেরাও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক বিতরণ ও স্যানিটাইজিং করার উদ্যোগ নিয়েছে । সামজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য নামানো হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও ।
মাঝে আর চারটে দিন । এরপরই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো । মন্ডপে মন্ডপে চুড়ান্ত প্রস্তুতি । ইতিমধ্যেই 14 অক্টোবর বিকেল 4 টার সময় রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার সাতটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে দিয়েছেন । রায়গঞ্জ শহরের অমর-সুব্রত স্পোর্টিং ক্লাব, সুদর্শনপুর সার্বজনীন, রবীন্দ্র ইন্সটিটিউট সহ ইসলামপুর ও কালিয়াগঞ্জের পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী । এর আগেই রাজ্যের সবকটি পুজো কমিটিকে 50 হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
এবছর কোরোনার কারণে সব বিগ বাজেটের পুজোই তাঁদের বাজেট কাটছাঁট করেছে । 20 লাখের পুজো এবারে নেমে এসেছে 5 লাখে। তবে মুখ্যমন্ত্রী অনুদান পেয়ে তাঁরা যে ভীষণভাবে উপকৃত এটা বলাই যায় । পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, " রাজ্য সরকারের অনুদান না পেলে এবার পুজো করাই অসম্ভব হয়ে পড়তো । আমরা রাজ্য সরকারের সমস্তরকম নিয়ম ও বিধিনিষেধ মেনে দুর্গোৎসবের আয়োজন করছি । দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে ।"