রায়গঞ্জ, 5 মে : প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা । পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও । ফলে লকডাউন আদৌ কবে উঠবে তা কেউ জানে না । লকডাউন উঠলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তা নিয়েও কিছু জানা নেই । এই পরিস্থিতিতে অথৈ জলে এবারের দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ । বাজেট নিয়েও ভাবা হয়নি কিছু । ফলে কোনওমতে পুজো সারার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা ।
রায়গঞ্জ শহরে বেশ কয়েকটি ক্লাবে বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো হয় । প্রতি বছরই এই সময় তাদের দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক শেষ হয়ে যায় । প্রতিমার কাজও শুরু হয়ে যায় কোথাও কোথাও । কীসের আদলে প্যান্ডেল হবে, আলোকসজ্জা কেমন হবে, কাকে অর্ডার দেওয়া হবে, চাঁদার পরিমাণ কী হবে- ভাবা হয়ে যায় সবকিছুই । কিন্তু এবার পুরো বিষয়টাই রয়েছে অনিশ্চয়তায় । উদ্যোক্তারা না পারছেন প্রতিমার বায়না দিতে, না পারছেন প্যান্ডেলের বুকিং করতে । কারণ আদৌ প্রশাসন পুজোর অনুমতি দেবে কি না । পরিস্থিতি কেমন থাকবে সবটাই এখন প্রশ্নের মুখে ।
এবিষয়ে সুর্দশনপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক নয়ন দাস বলেন, "আমাদের ক্লাবের পুজো বিগ বাজেটের হয় । কিন্তু এবারে লকডাউনের জেরে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, চরম আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন । তাঁদের কাছ থেকে এবারের পুজোর চাঁদা ঠিকমতো পাওয়া যাবে না বলেই মনে হয় । ফলে বিগ বাজেটের পুজো সম্ভব নয় । পুজো তো বন্ধ করা যাবে না । পুজো নিয়ম মেনেই করতে হবে । প্রশাসনিক বিষয়টাও দেখতে হবে ।"