রায়গঞ্জ, 19 জুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার শুরু করতেই মতুয়া রাজনীতিতে বিতর্কে জড়ালেন বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান ও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। প্রথম দিনেই মতুয়াদের মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন কৃষ্ণবাবু। সেখানে তাঁর পা ধুইয়ে দিলেন মতুয়ারা। যার ফলে শোরগোল ও রাজনৈতিক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে জেলায়।
রায়গঞ্জের বাহীন গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুর গ্রামে তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মতুয়াদের মন্দিরে যান রায়গঞ্জে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানে গুরুচাঁদ, হরিচাঁদ ঠাকুরের পুজো দেন তিনি। তবে তার আগে মন্দির চত্ত্বরে ঢুকতেই কৃষ্ণবাবুর পা ধুইয়ে গামছা দিয়ে মুছে দেন মতুয়ারা। তার সঙ্গে তৃণমূলের প্রার্থীরা ছিলেন। আর সেখানে পুজো দিয়ে এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে গ্রামে প্রচারও করেন। আর এনিয়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে জেলাজুড়ে।
জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কৃষ্ণকে 'খানদানি জালি' বলে কটাক্ষ করেছে। তাদের দাবি, মতুয়াদের মধ্যে গুরুদের পা ধুইয়ে দেওয়ার রীতি আছে। তিনি মতুয়াদের দিয়ে পা ধুইয়ে মতুয়া সমাজকে অপমানিত করলেন। তাঁকে বিধায়ক বানিয়েছেন সাধারণ মানুষ, ভোটারকে দিয়ে পা ধোয়াচ্ছেন এটা তৃণমূলের সংস্কৃতিতেই হয়। এই ঘটনায় রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পালটা বক্তব্যে তিনি বলেন, "ওনারা আমাকে গুরু মানুক আর হৃদয় দিয়ে ভালোবাসুক সেটা ওনারা ওখানে গেলেই বুঝতে পারবেন। আর বিজেপি মতুয়া ও আদিবাসী কোনও সংস্কৃতিই জানে না। ওরা শুধু ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি বোঝে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের জয় হবে, 'পাবলিক পিস রুম'-এর সূচনায় বার্তা রাজ্যপালের
এদিন তিনি রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের রুদ্রখণ্ড আমবাগান মাঠে তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে একটি কর্মিসভা করেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "যাঁরা নির্দল থেকে নমিনেশন দিয়েছেন, তাঁদের বলি আপনারা হৃদয় দিয়ে তৃণমূল দলটা করেছেন। একটু রাগ অনুরাগ হয়েছে, এটা আমাদের বাড়ির ব্যাপার। বাড়ির মধ্যে চলে আসুন আমরা মিটিয়ে নেব ৷ অন্যদিকে, দিন কয়েক আগে মতুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় অভিষেককে ৷ আর সোমবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে ওই মতুয়াদের তরফে পা ধুইয়ে দেওয়া নিয়ে বির্তকের দানা বেঁধেছে ৷