জলপাইগুড়ি, 4 জানুয়ারি: সুন্দরবনের মধু, গরদের শাড়ি, মুর্শিদাবাদের করিয়াল সিল্ক, নদিয়ার টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গেই জিআই (জিওগ্র্যাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস) ট্যাগ পেল উত্তরবঙ্গের কালোনুনিয়া চাল। স্বাভাবিকভাবেই খুশি উত্তরবঙ্গের কৃষকরা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, আলিপুরদুয়ারের একাংশেই মূলত এই কালোনুনিয়া চালের চাষ হয়ে থাকে। তাই উত্তরবঙ্গের কালোনুনিয়া চালকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের একটা স্বীকৃতি দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের বিশেষ করে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ, সদর ব্লক, ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়িতে বিক্ষিপ্ত ভাবে কালোনুনিয়া চালের চাষ হয়। একটা সময় উত্তরবঙ্গের কালোনুনিয়া চাষের ব্যাপক ভাবে চাষ হলেও চাষিরা ধানের ন্যায্য দাম না-পাওয়ার ফলে এই কালোনুনিয়া চালের চাষ কমে গিয়েছে ৷ তবে এদিনের পর ফের কালোনুনিয়া ধান চাষে কৃষকরা উৎসাহিত হবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷
এক ক্রেতা শঙ্কর দাস বলেন, "আমাদের কাছে খুব গর্বের বিষয় যে কালোনুনিয়া সরকারি স্বীকৃতি পেল। চাল আগে 100 টাকা কিলো দরে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তা 120 টাকা কিলো দরে মিলছে ৷ জিআই স্বীকৃতির ফলে কৃষকরা আরও এই কালোনুমিয়া চাষে উৎসাহিত হবে বলে আমি মনে করি।
আরেক ক্রেতা প্রতিমা দাশগুপ্ত ভট্টাচার্য জানান, এটা আরও আগে হলে ভালো হত। তবে খুব খুশি হয়েছি যে কালোনুনিয়া শেষ পর্যন্ত সরকারি স্বীকৃতি পেল। আমরা বাঙালিরা নুনিয়া ছাড়া পায়েস ভাবতেই পারি না। পৌষমাস মানেই কালোনুনিয়া চালের পিঠে-পায়েস। পুজো-পার্বণ সবকিছুতেই কালোনুনিয়া। স্বাভাবিকভাবেই কৃষকরা চাষ করতে আরও উৎসাহিত হবেন বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে কালোনুনিয়া ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত অজিত সরকার বলেন, "আমাদের দীর্ঘদিনের আশা আজ পূরণ হল। প্রতিবছর আমি এই কালোনুনিয়া চাষ করে থাকি। আজ স্বীকৃতি পেয়ে ভালোলাগছে।"
আরও পড়ুন: