রায়গঞ্জ, 28 এপ্রিল: কালিয়াগঞ্জে বিজেপির সক্রিয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড়া হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি ৷ সেই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের ভাই মৃণালকান্তি বর্মন ৷ শুক্রবার পুলিশ সুপারের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা । ঘটনায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দীপাঞ্জন দাসকে ৷ বদলে আনা হয়েছে সুবলচন্দ্র ঘোষকে। এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) এই রদবদলের নির্দেশ জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জ থানায় অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেওয়ার পরই পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারে তৎপর হয় ৷ অভিযোগ, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কালিগঞ্জ বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মন ৷ তাঁর খোঁজে বুধবার গভীর রাতে কালিয়াগঞ্জ থানার রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে যায় পুলিশ ৷ বিষ্ণু বর্মনকে না-পেয়ে তাঁর বাবা, বোন ও জামাইকে পুলিশ গাড়িতে তুললে বিষ্ণুর ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ দু-রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: বাস প্রায় নেই, রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা ; বিজেপির ডাকা বনধে প্রভাব রায়গঞ্জে
একটি গুলি মৃত্যুঞ্জয়ের বুকে লাগে। তড়িঘড়ি কালিয়াগঞ্জ ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করে । এই মৃত্যুর জন্য পুলিশ অফিসারকে দায়ী করা হয়েছে পরিবারের তরফে ৷ এরপরেই পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মৃত্যুঞ্জয়ের অন্তিম সৎকার থাকায় পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানাতে পারেন নি। শুক্রবার সেই অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷ তারপরেই এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানার আইসিকে। তার বদলে আনা হয়েছে সুবলচন্দ্র ঘোষকে। শিলিগুড়ি জিআরপির ইন্সপেক্টর ছিলেন সুবলচন্দ্র ঘোষ। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দীপাঞ্জন দাসকে পাঠানো হয়েছে শিলিগুড়ি জিআরপিতে।