রায়গঞ্জ, 3 মে: "আমার স্বামী দীর্ঘ 22 বছর ধরে সৎপথে কাজ করে আসছেন কৃষ্ণ কল্যাণী কোম্পানিতে ।" রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে যুক্ত থাকায় ইডি-সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়েছে বাবন বর্মনকে ৷ সেই পরিপ্রেক্ষীতেই বাবন বর্মনের স্ত্রী প্রিয়া বর্মন, স্বামীর অসৎ পথে রোজগারের কথা অস্বীকার করেছেন ৷
আচমকা বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানায় পরিবারের সদস্যরা হতচকিত হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের কিছু বুঝে ওঠার আগে বাবনকে গাড়িতে তুলে কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকরা। বাবন বর্মনের স্ত্রী প্রিয়া বর্মনের দাবি, তাঁর স্বামী সততার সঙ্গে দীর্ঘ 22 বছর ধরে কৃষ্ণবাবুর কোম্পানীতে কাজ করছেন। দীর্ঘ সময় কাজ করলেও কোন অসৎ উপায় তিনি অবলম্বন করেননি । তিনি বলেন, "আমি রান্না করছিলাম ৷ হঠাৎ আয়কর দফতরের কিছু লোক আসেন ৷ আমার স্বামীকে নিয়ে যান ৷ সঙ্গে কিছু কাগজপত্র নিয়ে যান ৷ কোনও দোষ করিনি ৷ সৎপথে আমার স্বামী কাজ করেছে ৷ তাই ভয় নেই মনে ৷ চুরি যখন করিনি ভয় কেন পাব ?
উল্লেখ্য, বুধবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগ মিলেছে ৷ আর সেই যোগসূত্র ধরেই এবার শিলিগুড়িতে একটি নামকরা রিয়েল এস্টেট বা বহুজাতিক সংস্থার দু'টি অফিসে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ৷ রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর, সঙ্গে ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতেও হানা দিয়েছে আয়কর দফতর ৷
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে ব্যবসায়ীক যোগ, শিলিগুড়িতে বহুজাতিক সংস্থার অফিসেও হানা কেন্দ্রীয় সংস্থার
প্রায় 13 ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান ৷ ইডি ও আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা কৃষ্ণবাবুর বাড়িতে ঢোকার সঙ্গেই সঙ্গেই তাঁর মোবাইল ও পরিবারের সদস্যদের মোবাইলগুলি সিজ করে নেয়। কৃষ্ণবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি কল্যাণী সলভেন্টের মিলের ম্যানেজার বাবন বর্মনকে উদয়পুরের বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে আসা হয় ৷ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথিও ৷