রায়গঞ্জ, 16 জুলাই: একটানা প্রবল দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা । সকাল বিকেলের কাঠ ফাটা রোদ্দুরে অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ । অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকেই । সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তীব্র উষ্ণতার জেরে সংকটের মধ্যে পড়েছে কুলিক পক্ষীনিবাসের পরিযায়ী পাখিরা (Raiganj Bird Sanctuary)। মূলত রায়গঞ্জের কুলিক বনাঞ্চল এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম পাখিরালয় হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে । এছাড়াও লিমকা বুক অফ রেকর্ডসেও নাম রয়েছে এই স্থানটির ।
প্রতিবছরই এই সময় পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনায় ভরপুর থাকে এই বনাঞ্চল । এবারেও একই ছবি । কিন্তু জীবনযাপনে বাধ সেধেছে ঊর্ধমুখী তাপমাত্রা । একটানা বৃষ্টি না-হওয়ায় পাখিদের খাবার নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট । সংলগ্ন অঞ্চলে অভাব দেখা দিয়েছে মাছ ও গুগলির । শুধু সংলগ্ন স্থানেই নয়, পাখিরালয়ের অন্দরে ক্যানেলেও দেখা দিয়েছে খাবারের অভাব । সাধারণত জুন-জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পাখিরালয়ে প্রজনন, শাবকদের লালন-পালন থেকে জীবনযাত্রার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিযায়ী পাখিরা । কিন্তু চলতি বছরে আবহাওয়ার হেরফেরে বিপদের সম্মুখীন ইগ্রেট, ওপেন বিল স্টক, নাইট হেরেন, কর্মরেন্ট এই 4 প্রজাতির পাখিরা । যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশুপ্রেমীরা ।
আরও পড়ুন : লকডাউনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধই কুলিকে, ক্ষতির মুখে বনদপ্তর
উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমেলসের সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া জানান, বৃষ্টিপাতের অভাবে সমস্যা তৈরি হয়েছে । এক্ষেত্রে বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধি ও জলাশয় ভরাট বন্ধের বিষয়ে সচেতন হতে হবে ৷ এ নিয়ে সংশয় থাকলেও তা সাময়িক বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিত দাস । পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নিয়ে কিছুটা আশবাদী তিনি ।