রায়গঞ্জ, 2 জুলাই : স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দিতে গিয়েছিলেন স্বামী ৷ অভিযোগ, সেই অপরাধে খুন করা হয়েছে স্বামী সহ দুই শিশুকে । মৃতরা উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার হাতিয়া পালইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৷ মঙ্গু শেখ (30) ও তাঁর দুই পুত্র সন্তান আলি শেখ (8), এবং সোয়েল শেখ (6)কে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মৌরী খাতুন ও তার প্রেমিক কিশানের বিরুদ্ধে । একমাত্র মেয়ে আদুরি খাতুন (10) পালিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ।
28 জুন পঞ্জাবের ফারিদকোটের এই খুনের ঘটনা ঘটে ৷ ইতিমধ্যেই পঞ্জাব পুলিশ গ্রেফতার করেছে খুনে অভিযুক্ত মৌরী খাতুন ও তার প্রেমিক কিশানকে । শুক্রবার সকালে মঙ্গু শেখ ও তার দুই সন্তানের মৃতদেহ এসে পৌঁছায় ইটাহারের হাতিয়া পালইবাড়ি গ্রামে । কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনরা ৷ গ্রামে শোকের ছায়া ৷
জানা গিয়েছে, পালইবাড়ি গ্রামের মঙ্গু শেখ পঞ্জাবের ফারিদকোট বিএসএফ ক্যাম্পে বছর চারেক আগে লেবারের কাজ করতে গিয়েছিলেন । ক্যাম্পের পাশেই গ্রামে বাড়ি ভাড়া করে স্ত্রী, দুই পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে থাকতেন মঙ্গু শেখ । বিএসএফ-এর ওই ক্যাম্পেই কিশান নামে উত্তরপ্রদেশের এলাকার এক যুবক কাজ করত । কাজের সূত্রে মঙ্গু শেখের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল কিশানের । একসময় কিশানের সঙ্গে মঙ্গু শেখের স্ত্রী মৌরী খাতুনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ৷ স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে মঙ্গু শেখের সঙ্গে তার স্ত্রী মৌরী খাতুনের মাঝেমধ্যেই ঝামেলা লাগত ৷
আরও পড়ুন : নিবেদিতার খুনির শাস্তি চান, দেরাদুন থেকে ফিরে বললেন দিদি অন্তরা
মাস দেড়েক আগে মৌরী খাতুন ও প্রেমিক কিশানের সঙ্গে পালিয়ে যায় । অভিযোগ, প্রেমিক কিশান এবং প্রেমিকা মৌরীর পথের কাঁটা মঙ্গু শেখকে খুন করার পরিকল্পনা করে তারা । 28 জুন রাতে প্রেমিক কিশানের সাহায্যে মৌরী মঙ্গু শেখ ও তাঁর দুই নাবালক শিশু সোয়েল ও আলিকে খুন করে । কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে ফারিদকোট বিএসএফ ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় মেয়ে আদুরি খাতুন । আদুরি এখন পঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে রয়েছে । দশ বছরের আদুরির কাছ থেকে সব শুনে পঞ্জাব পুলিশ কিশান ও মৌরী খাতুনকে গ্রেফতার করে ।