রায়গঞ্জ, 23 জানুয়ারি: অবশেষে হেমতাবাদ বাহারাইল বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Hemtabad parcel blast case) অভিযুক্ত পলাতক টোটোচালক পুলিশের হাতে ধরা দিল (Hemtabad parcel blast accused detained)। তার নাম রঞ্জন রায় । রায়গঞ্জ থানার পকম্বা গ্রাম থেকে পুলিশ পার্সেল বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তকে আটক করে । বাজেয়াপ্ত করা হয় তার টোটোটি (police seizes toto)। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে মূল অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে ।
হেমতাবাদের (North Dinajpur news) বাহারাইলে বাবলু চৌধুরী নামে এক ওষুধের দোকানদারকে গত শুক্রবার বিকেলে একটি পার্সেল দেয় টোটোচালক রঞ্জন রায় । টোটোচালক পার্সেল দিয়ে চলে যাওয়ার পরই সেই পার্সেল খুলতেই ঘটে বিস্ফোরণ । বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাবলু চৌধুরী-সহ তিনজন ।
আরও পড়ুন: Parcel Blast in Hemtabad : পার্সেল বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর হেমতাবাদে অনলাইন কেনাকাটায় ভাটা
এই ঘটনার তদন্তে নামে হেমতাবাদ থানার পুলিশ । বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গের আইজি দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং । এলাকার 100 মিটারের মধ্যে থাকা একটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পরে টোটোটি । শনিবার ভোরে রায়গঞ্জ থানার পকম্বা থেকে আটক করা হয় পলাতক টোটোচালক রঞ্জন রায়কে । বাজেয়াপ্ত করা হয় তার টোটোটিকেও ।
ধৃতের বাবা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিকেলে রঞ্জনকে বিষ্ণুপুর এলাকায় একটি বাইকে থাকা দুজন ব্যক্তি এসে বলে যে, তাদের মোটরবাইকটি খারাপ হয়ে গিয়েছে । তাকে 10 টাকা হাতে দিয়ে একটি পার্সেল বাহারাইলে বাবলু চৌধুরীর দোকানে দিয়ে আসতে বলে তারা । রঞ্জন সেইমতো পার্সেলটি নিয়ে বাহারাইলে বাবলু চৌধুরীর ওষুধের দোকানে দিয়ে দেয় । পুলিশ ধৃত টোটোচালকের বয়ান মতো দু‘জন বাইক আরোহীর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন : একযোগে হেমতাবাদ পার্সেল বিস্ফোরণের তদন্তে নামল পুলিশ-বিএসএফ