রায়গঞ্জ, 20 ডিসেম্বর : রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকায় বনভোজন নিষিদ্ধ ছিল আগে থেকেই ৷ তার পাশাপাশি এবছর শিয়ালমনি উপবনেও বনভোজন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিল বন দফতর (Forest Department bans picnic in the area around kuilk forest )। বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি । সেকারণে রাজ্য বন দফতরের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশ না আসায় এবছর কুলিক পক্ষীনিবাস এবং তার আশপাশের এলাকায় কাউকেই পিকনিক করতে দেওয়া হবে না । ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত পোস্টার এবং নির্দেশিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
শীতকাল মানেই পিকনিকের সময়, আর তাই এই সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ বনভোজনে উৎসাহী মানুষজন ৷ তবে খুশি জেলার পশু ও পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলি । কারণ 25 ডিসেম্বর আসতে না আসতেই ভট্টদিঘি, শিয়ালমনি, আবদুলঘাটা, মনিপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন ছুটে আসেন পিকনিকের জন্য ৷ খাবার, প্ল্যাস্টিকের বোতল, প্যাকেট, থার্মকলের থালা, গ্লাস, বাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে এলাকাটিকে রীতিমতো দূষিত করে তোলেন তাঁরা ৷ এব্যাপারে রায়গঞ্জ বিভাগীয় বন আধিকারিক কমল সরকার জানিয়েছেন, সংরক্ষিত এলাকায় এবছর পিকনিক বন্ধ থাকবে । এখনও করোনা হচ্ছে । ফরেস্টে পিকনিক করার ব্যাপারে এখনও রাজ্য বন দফতরের থেকে কোনও নির্দেশ আসেনি । মুকুট মজুমদার নামে আরেক বন দফতরের কর্মী জানিয়েছেন, বন চত্বরে এখন গাছের চারা লাগানোর কাজ চলছে ।
আরও পড়ুন : বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে সরছে ভুটিয়া বস্তি
তবে পশুপ্রেমীরা যাই বলুন না কেন, কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকায় পিকনিক না করতে পেরে হতাশ রায়গঞ্জবাসী । কারণ প্রতি বছর জুনের পর থেকেই শামুকখোল, ইগ্রেট, করমোরেন্ট, নাইট হেরন-সহ বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক পরিযায়ী পাখির দল এই কুলিক পক্ষীনিবাসে এসে ভিড় জমায় । আর তা দেখতেই ছুটে আসেন পর্যটকরা ৷