রায়গঞ্জ, 8 সেপ্টেম্বর : উদ্দেশ্য ছিল নিছকই খেলা দেখিয়ে মনোরঞ্জন করা ৷ কিন্তু খেলা দেখানোর জন্য যে পরিচয়পত্র লাগে, তা জানা ছিল না ৷ তবে পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তিন সাপুড়িয়াকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয় ৷ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ডালখোলার ঘটনা ৷ অন্যদিকে, চোপড়ায় শাড়ি বিক্রি করতে এসে গণপিটুনি খেলেন দুই কাপড় ব্যবসায়ী ৷ তাঁদের উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশের জিপেও ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা ৷ আহতরা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৷
গতকাল সকালে রাজু সাপুড়িয়া, শ্যাম সাপুড়িয়া ও অক্ষয় সাপুড়িয়া সাপের খেলা দেখাতে রায়গঞ্জের ডালখোলা এলাকায় যান ৷ ডালখোলা এলাকার কলেজ মোড়ের পাশে যেতেই স্থানীয়রা তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চান । কয়েকজন জানান, ওই এলাকায় সম্প্রতি একটি শিশু হারিয়ে যায় ৷ তারপর থেকেই এলাকায় বাইরের কোনও লোক এলেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ ওই তিন সাপুড়িয়াকে এলাকা ছাড়ার কথাও বলা হয় ৷ সেইমতো এলাকা ছাড়ার সময় হঠাৎই স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের পথ আটকে মারধর শুরু করে ৷ ওই তিন সাপুড়িয়াদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আধার কার্ড দেখানোর পরেও স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের উপর চড়াও হয় ৷ মাটিতে ফেলে তাঁদের মারধর করা হয় ৷ গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ ৷ স্থানীয়রা পুলিশের জিপেও হামলা চালায় ৷ কোনও রকমে ওই সাপুড়িয়াদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ সেখানেই তিন সাপুড়িয়া চিকিৎসাধীন ৷
আর পড়ুন : মোবাইল ছিনতাইকারীদের তাড়া করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক
অন্যদিকে, গতকাল চোপড়ার রামগঞ্জে শাড়ি বিক্রি করতে যান মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের মহম্মদ মামুদ হুসেন ও জুনাইদ শেখ । সেখানে তাঁদের বাইক আটকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে স্থানীয়রা ৷ তারপর তাঁদের কাছে থাকা শাড়ির পুঁটলি, নগদ পাঁচ হাজার টাকা, দু'টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় স্থানীয়রা ৷ শাড়ি বিক্রেতা মহম্মদ মামুদ হুসেন বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে তাঁদের গণধোলাই দেন স্থানীয়রা৷ খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থানে গেলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয়রা ৷ জেলার দুই প্রান্তে গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ৷ দু'টি ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷