রায়গঞ্জ, 5 মে : আর পাঁচটা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মতোই সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে দিনরাত তৎপর তাঁরা । একটা ফোনেই বেরিয়ে পড়তে হয় তাঁদের । তাই এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণে আশঙ্কা উপেক্ষা করেই মাঠে নেমে কাজ করে চলেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। কখনও ঝড় জলের রাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হয়। কখনও বা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা হলে সমস্ত ব্যবস্থাকে দ্রুত চাঙ্গা করতে হয়। সবটাই প্রতিদিনের রুটিন। তবুও কোথাও যেন একটু উপেক্ষিত তাঁরা । চিকিৎসক-পুলিশ কর্মী সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন যখন কোরোনা যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে সম্মান পান, সেখানে নানা সমস্যা প্রতিবন্ধকতার মাঝে কাজ চলেছেন তাঁরা ।
কোরোনা সংক্রমণে জর্জরিত পুরো বিশ্ব । আপাতত ঘরবন্দী সাধারণ মানুষ। তবে ঘরে বসে যাতে সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান, তা নিশ্চিত করতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সহ একাধিক জরুরি পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিরন্তর কাজ চলেছেন। এর মধ্যেই রয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। বিদ্যুৎ পরিষেবাকে স্বাভাবিক রাখার জন্য দিনরাত কাজ করে চলেছেন তাঁরা। কখনও কখনও পরিষেবা স্বাভাবিক করতে গিয়ে মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয় । তবুও একটা ফোন পেলে সংক্রমণের ভয়, ঝামেলা বিক্ষোভ সব উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা । তাঁদের কথায় কখনও কখনও কম মাইনেতেও কাজ করে যেতে হয় । বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পরিবার পরিজনক রেখে কাজ করতে হয় তাঁদের । বাইরে বেরোতে হয় ।
![imagr](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-ndin-01-electricity-staff-special-vis-7204678_05052020140300_0505f_01209_804.jpg)
এবিষয়ে রায়গঞ্জের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী শুভদীপ সাহা বলেন, "আমরা যেকোনও সময়ে একটা ফোন পেলেই মানুষের পরিষেবার যোগ দিই । কোরোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা না করেই আমরা এই কাজ করে চলেছি। বিভাগ থেকে অবশ্য আমাদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে । তবুও জানি না কোন এলাকায়, কার কেরোনা রয়েছে ? সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় । তবুও নিজেদের কর্তব্য করে যাই। কখনও কখনও পরিষেবা দিতে গিয়ে মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয়। তা সত্ত্বেও আমরা আমাদের কাজ করে চলেছি।"
![image](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-ndin-01-electricity-staff-special-vis-7204678_05052020140300_0505f_01209_896.jpg)
আর এক কর্মী নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, "আমরা অসংগঠিত শ্রমিক । আমাদের বেতন সবসময় বাড়ে না। তবুও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পরিষেবায় কাজ করে যেতে হয় । কোরোনা পরিস্থিতিতেও আমরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করছি।"