ETV Bharat / state

"লিঙ্ক ফেলিওর", পরিষেবা ব্যাহত রায়গঞ্জ বন্দর উপ ডাকঘরে

কাউন্টারের সামনে ঝুলছে "লিঙ্ক ফেলিওর"-এর বোর্ড। দু'বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই রায়গঞ্জ বন্দর উপ ডাকঘরে এসে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় অনলাইনে কোনও অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বক্তব্য কর্মীদের। ফলে গ্রাহকরা পেনশন বা MIS-এর টাকা তুলতে এসে সমস্যায় পড়ছেন।

রায়গঞ্জ বন্দর উপ ডাকঘর
author img

By

Published : Feb 22, 2019, 10:18 PM IST

Updated : Feb 22, 2019, 11:17 PM IST

রায়গঞ্জ,২২ফেব্রুয়ারি : কাউন্টারের সামনে ঝুলছে "লিঙ্ক ফেলিওর"-এর বোর্ড। দু'বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই রায়গঞ্জ বন্দর উপ ডাকঘরে এসে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় অনলাইনে কোনও অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বক্তব্য কর্মীদের। ফলে গ্রাহকরা পেনশন বা MIS-এর টাকা তুলতে এসে সমস্যায় পড়ছেন।

অভিযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় নতুন করে কোনও অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে না। টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকরা পোস্ট মাস্টারকে পাসবই সহ টাকা জমা করে যান। পোস্ট মাস্টার সবার পাসবই ও টাকা নিয়ে রায়গঞ্জ পোস্ট অফিসে জমা করতে যান। পরের দিন জমার রসিদ গ্রাহকদের হাতে দেন। প্রতিদিন প্রায় এভাবেই চলছে কাজ। ফলে টাকা জমা বা তোলার ক্ষেত্রে কমপক্ষে একদিন পোস্ট অফিসের চক্কর কাটতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

ভিডিয়োতে শুনুন বক্তব্য

বিভুপ্রসাদ দত্ত নামে এক গ্রাহক বলেন, "দু'বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। একদিনে কোনও কাজ সম্ভব হচ্ছে না। নেট পরিষেবা দ্রুত চালু হলে খুব ভালো হয়।" পোস্ট মাস্টার প্রবীর বারুই অবশ্য এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

রায়গঞ্জ সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার অফ পোস্ট অফিস অরবিন্দ কুমার টেলিফোনে অভিযোগ করেন, "পৌরসভার জলের পাইপ বসানোর সময় আমাদের ইন্টারনেটের তার কেটে গিয়েছিল। তারপর বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা বিষয়টি হেড অফিসেও জানিয়েছি।"

এই বিষয়ে রায়গঞ্জের পৌরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, "ডাকঘর কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বিষয়টি আমাদের জানানো। প্রয়োজনে BSNL দপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা উচিত ছিল। আমি এই বিষয়টি আজ প্রথম জানলাম। আমি BSNL-এর সঙ্গে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওনারা বিষয়টা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। আসলে কেন্দ্রের অধীনস্থ দপ্তরগুলি ঠিকমতো কাজ করে না। তাদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। কাজের ক্ষেত্রেও অনেক গাফিলতি আছে।"

রায়গঞ্জ,২২ফেব্রুয়ারি : কাউন্টারের সামনে ঝুলছে "লিঙ্ক ফেলিওর"-এর বোর্ড। দু'বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই রায়গঞ্জ বন্দর উপ ডাকঘরে এসে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় অনলাইনে কোনও অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বক্তব্য কর্মীদের। ফলে গ্রাহকরা পেনশন বা MIS-এর টাকা তুলতে এসে সমস্যায় পড়ছেন।

অভিযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় নতুন করে কোনও অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে না। টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকরা পোস্ট মাস্টারকে পাসবই সহ টাকা জমা করে যান। পোস্ট মাস্টার সবার পাসবই ও টাকা নিয়ে রায়গঞ্জ পোস্ট অফিসে জমা করতে যান। পরের দিন জমার রসিদ গ্রাহকদের হাতে দেন। প্রতিদিন প্রায় এভাবেই চলছে কাজ। ফলে টাকা জমা বা তোলার ক্ষেত্রে কমপক্ষে একদিন পোস্ট অফিসের চক্কর কাটতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

ভিডিয়োতে শুনুন বক্তব্য

বিভুপ্রসাদ দত্ত নামে এক গ্রাহক বলেন, "দু'বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। একদিনে কোনও কাজ সম্ভব হচ্ছে না। নেট পরিষেবা দ্রুত চালু হলে খুব ভালো হয়।" পোস্ট মাস্টার প্রবীর বারুই অবশ্য এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

রায়গঞ্জ সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার অফ পোস্ট অফিস অরবিন্দ কুমার টেলিফোনে অভিযোগ করেন, "পৌরসভার জলের পাইপ বসানোর সময় আমাদের ইন্টারনেটের তার কেটে গিয়েছিল। তারপর বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা বিষয়টি হেড অফিসেও জানিয়েছি।"

এই বিষয়ে রায়গঞ্জের পৌরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, "ডাকঘর কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বিষয়টি আমাদের জানানো। প্রয়োজনে BSNL দপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা উচিত ছিল। আমি এই বিষয়টি আজ প্রথম জানলাম। আমি BSNL-এর সঙ্গে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওনারা বিষয়টা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। আসলে কেন্দ্রের অধীনস্থ দপ্তরগুলি ঠিকমতো কাজ করে না। তাদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। কাজের ক্ষেত্রেও অনেক গাফিলতি আছে।"

Intro:রায়গঞ্জ,০৯জানুয়ারি:- সপ্তাহের মাঝেই বামেদের ডাকা বন্ধের যে রে মিলেছে অতিরিক্ত ছুটির দিন। আর তা কোনমতেই হাতছাড়া করতে নারাজ রায়গঞ্জ বসে একাংশ। সকাল থেকেই বনধ কে উপলক্ষ্য করে রায়গঞ্জ শহরের অদূরে শিয়াল মনি পিকনিক স্পটে ভিড় জমিয়েছেন রায়গঞ্জবাসীর একাংশ। যা কিনা শীতের মরশুমের অন্যান্য যেকোনো ছুটির দিনের সমান। ব্যবসায়ী থেকে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাদ যাননি কেউই। কেউ এসেছেন পরিবার পরিজনদের সঙ্গে আবার কেউ বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে এই দিনের পিকনিকে মেতেছেন। সব মিলিয়ে রায়গঞ্জ শহরে বামেদের ডাকা বন্ধের সেভাবে প্রভাব নাম মিললেও বন্ধ নামক ছুটির দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগী রায়গঞ্জবাসীর একাংশ।

8-9 জানুয়ারি বামফ্রন্টের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ ভাবে ডাকা বন্ধের কারণে উত্তর দিনাজপুর তথা রায়গঞ্জে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। সর্বত্র স্বাভাবিক অবস্থা থাকলেও শহরের ব্যবসায়ীদের একাংশ পুরোপুরিভাবে দোকান বাজার বন্ধ রেখেছিল। পাশাপাশি সমস্ত স্কুল কলেজ খোলা থাকলেও ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল নগণ্য। ফলে অলিখিত ছুটির দিন হিসেবে এই দুটি দিন ব্যবহার করেছেন রায়গঞ্জ বাঁশির একাংশ। 8 জানুয়ারি এবং 9 জানুয়ারি শিয়াল মনি পিকনিক স্পটে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। তবে চাকুরীজীবীদের থেকে ব্যবসায়ীদের ই প্রাধান্য ছিল এই পিকনিক স্পট গুলিতে। কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ সব বয়সীদের ভিড় জমে দেখা যায় এই পিকনিক স্পটে। এদিন ভিড়ের পরিমাণ গত কাল থেকেও বেশি ছিল। পিকনিক স্পট কে কেন্দ্র করে এলাকায় ছোটখাটো একটি মেলাও বসে দেখা যায়। বাচ্চাদের খেলনা বেলুন অন্যান্য সামগ্রী ও এই মেলায় দেখা যায।

পিকনিক করতে আসা এ তুই নাম আসা দিপঙ্কর সাহা বলেন, পেশায় ব্যবসায়ী আমি তাই ছুটি ছাটা বড় খুব একটা পাই না। বন্ধের যে রে এ দিন ছুটি পাওয়ায় পরিবার পরিজনের নিয়ে পিকনিক করতে এসেছি।

একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক শ্যামল কর্মকার বলেন স্কুলে এসেছিলাম হাজিরা খাতায় সই ও করেছি। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম থাকায় আমরা যে দিনটিতে পিকনিক উপভোগ করছে।

একই স্কুলের অন্য এক শিক্ষিকা অলকা পাল বলেন, আজকের দিনটি খুব ভালোভাবে আনন্দ করছি। বন্ধের জেরে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা কম থাকায় আমরা পিকনিকের বন্দোবস্ত করেছে।

বাইট:- দিপঙ্কর সাহা, শ্যামল কর্মকার, অলকা পাল

তারক চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ।


Body:গদ্য


Conclusion:হাফভ
Last Updated : Feb 22, 2019, 11:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.