রায়গঞ্জ,২২ফেব্রুয়ারি : কাউন্টারের সামনে ঝুলছে "লিঙ্ক ফেলিওর"-এর বোর্ড। দু'বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই রায়গঞ্জ বন্দর উপ ডাকঘরে এসে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় অনলাইনে কোনও অফিসিয়াল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বক্তব্য কর্মীদের। ফলে গ্রাহকরা পেনশন বা MIS-এর টাকা তুলতে এসে সমস্যায় পড়ছেন।
অভিযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় নতুন করে কোনও অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে না। টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকরা পোস্ট মাস্টারকে পাসবই সহ টাকা জমা করে যান। পোস্ট মাস্টার সবার পাসবই ও টাকা নিয়ে রায়গঞ্জ পোস্ট অফিসে জমা করতে যান। পরের দিন জমার রসিদ গ্রাহকদের হাতে দেন। প্রতিদিন প্রায় এভাবেই চলছে কাজ। ফলে টাকা জমা বা তোলার ক্ষেত্রে কমপক্ষে একদিন পোস্ট অফিসের চক্কর কাটতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
বিভুপ্রসাদ দত্ত নামে এক গ্রাহক বলেন, "দু'বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। একদিনে কোনও কাজ সম্ভব হচ্ছে না। নেট পরিষেবা দ্রুত চালু হলে খুব ভালো হয়।" পোস্ট মাস্টার প্রবীর বারুই অবশ্য এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
রায়গঞ্জ সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার অফ পোস্ট অফিস অরবিন্দ কুমার টেলিফোনে অভিযোগ করেন, "পৌরসভার জলের পাইপ বসানোর সময় আমাদের ইন্টারনেটের তার কেটে গিয়েছিল। তারপর বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা বিষয়টি হেড অফিসেও জানিয়েছি।"
এই বিষয়ে রায়গঞ্জের পৌরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, "ডাকঘর কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বিষয়টি আমাদের জানানো। প্রয়োজনে BSNL দপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা উচিত ছিল। আমি এই বিষয়টি আজ প্রথম জানলাম। আমি BSNL-এর সঙ্গে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওনারা বিষয়টা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। আসলে কেন্দ্রের অধীনস্থ দপ্তরগুলি ঠিকমতো কাজ করে না। তাদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। কাজের ক্ষেত্রেও অনেক গাফিলতি আছে।"