ETV Bharat / state

ঝড় আসলেও অমিল সাহায্য, তাঁবু খাটিয়ে গাছতলায় কালিয়াগঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকরা

ধেয়ে আসছে আমফান। ঝড়ে গাছের তলায় থাকা বিপজ্জনক। তবু, একটি বটগাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে আছেন কালিয়াগঞ্জের বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। গ্রামবাসীদের বাধায় ঢুকতে পারছেন না বাড়িতে, এদিকে কোনও কোয়ারানটিন সেন্টারেও ঠাই হয়নি তাঁদের।

author img

By

Published : May 20, 2020, 4:52 PM IST

migrants workers  live in tents under the tree
রায়গঞ্জ

রায়গঞ্জ, 20 মে: একদিকে কোরোনা ভাইরাস, অন্যদিকে আমফান। দুয়ের মাঝে পড়ে অসহায় ভিনরাজ্য থেকে ফেরা কালিয়াগঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। বহু কষ্টে নিজেদের উদ্দ্যোগে গ্রামে ফিরেও ঠাঁই হল না বাড়িতে, প্রশাসনের কোয়ারানটিন সেন্টারেও। অবশেষে গ্রামের নদীর ধারে গাছের তলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হলেন তাঁরা।

এদিকে, ইতিমধ্যে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ঝড়ের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক। তথাপি, গ্রামের টাঙন নদীর ধারে জঙ্গলাকীর্ণ বট গাছের তলায় বাস করতে হচ্ছে একদল শ্রমিককে। এমনই চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা 10 জন শ্রমিক সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে ফিরেছেন। কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গ্রামের নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চাইলেও তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, তাঁরা গ্রামের একটি সরকারি ভবনে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করলেও সেই বিষয়ে সাহায্য করেনি রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। এমত অবস্থায় অসহায় মানুষগুলোকে বাধ্য হয়ে নদীর ধারের জঙ্গলে বটগাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে। অপর পক্ষে, রাজ্য ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। এমন অসহায় অবস্থায় প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থী কালিয়াগঞ্জের 10 জন শ্রমিক।

এক পরিযায়ী শ্রমিক নারায়ণ দাস বলেন, ''আমরা নিজেদের খরচে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রামে ফিরেও বাড়িতে ঢুকতে পারছি না। গ্রামের লোকেরা ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না। এদিকে ঝড় আসছে। খুব সমস্যায় পড়েছি। সাহায্য চাইছি।''

রায়গঞ্জ, 20 মে: একদিকে কোরোনা ভাইরাস, অন্যদিকে আমফান। দুয়ের মাঝে পড়ে অসহায় ভিনরাজ্য থেকে ফেরা কালিয়াগঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। বহু কষ্টে নিজেদের উদ্দ্যোগে গ্রামে ফিরেও ঠাঁই হল না বাড়িতে, প্রশাসনের কোয়ারানটিন সেন্টারেও। অবশেষে গ্রামের নদীর ধারে গাছের তলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হলেন তাঁরা।

এদিকে, ইতিমধ্যে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ঝড়ের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক। তথাপি, গ্রামের টাঙন নদীর ধারে জঙ্গলাকীর্ণ বট গাছের তলায় বাস করতে হচ্ছে একদল শ্রমিককে। এমনই চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা 10 জন শ্রমিক সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে ফিরেছেন। কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গ্রামের নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চাইলেও তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, তাঁরা গ্রামের একটি সরকারি ভবনে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করলেও সেই বিষয়ে সাহায্য করেনি রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। এমত অবস্থায় অসহায় মানুষগুলোকে বাধ্য হয়ে নদীর ধারের জঙ্গলে বটগাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে। অপর পক্ষে, রাজ্য ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। এমন অসহায় অবস্থায় প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থী কালিয়াগঞ্জের 10 জন শ্রমিক।

এক পরিযায়ী শ্রমিক নারায়ণ দাস বলেন, ''আমরা নিজেদের খরচে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রামে ফিরেও বাড়িতে ঢুকতে পারছি না। গ্রামের লোকেরা ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না। এদিকে ঝড় আসছে। খুব সমস্যায় পড়েছি। সাহায্য চাইছি।''

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.