রায়গঞ্জ, 2 জুন : এ এক এমন পেশা, যেখানে গ্রাহককে স্পর্শ না করে কোনও উপায় নেই ৷ গ্রাহকের শরীরে করোনার ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কি না, তাও জানা নেই ৷ তাই পেটের টানে কাজ করতে গিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি ৷ আর সেই কারণেই মহামারি আবহে তাঁদেরও জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার আবেদন জানালেন ক্ষৌরকাররা ৷ বুধবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিডিও-র কাছে স্থানীয় ক্ষৌরকাররা এই আবেদন জানান ৷
এদিন তাঁদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে বিডিও-র কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন উত্তর দিনাজপুর নরসুন্দর সমাজ কল্যাণ সমিতির হেমতাবাদ থানা কমিটির প্রতিনিধিরা ৷ উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অসিতকুমার শীল, শ্যামলকুমার শীল এবং রঞ্জিতকুমার শীল-সহ অন্যরা ৷
আরও পড়ুন : কোচবিহারে এক সপ্তাহে 36 হাজার মানুষকে প্রথম ডোজ
সাধারণ মানুষ তাঁদের ক্ষৌরকর্মের জন্য বিভিন্ন সেলুন, পার্লার বা ক্ষৌরকারদের কাছে আসেন ৷ গ্রাহকদের চুল, দাড়ি কাটার জন্য তাঁদের স্পর্শ করতে হয় ক্ষৌরকারদের ৷ প্রতিদিন এভাবে অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাঁরা ৷ সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায় ৷ আর এই কারণেই ক্ষৌরকারদের টিকাকরণ আবশ্যিক বলে মনে করেন উত্তর দিনাজপুর নরসুন্দর সমাজ কল্যাণ সমিতির হেমতাবাদ থানা কমিটির সদস্যরা ৷