রায়গঞ্জ, 9 নভেম্বর: চাইনিজ আলোকমালার পরিবর্তে ক্রেতারা আবার ঝুঁকছে মোমবাতির দিকে । ফলে একসময় ধুঁকতে থাকা মোমবাতি নির্মাণ শিল্প এখন চাঙ্গা হয়েছে । এতটাই মোমবাতি কেনার চাহিদা বেড়েছে যে দিনরাত কাজ করেও অর্ডার সাপ্লাই দিতে পারছেন না শ্রমিকরা ৷ সারাবছর মোমবাতি বিক্রি হলেও দীপাবলিতে তার চাহিদা অনেকগুণ বেড়ে যায় ৷ করোনা আবহ কিছুটা স্তিমিত হওয়ায় এ বছর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে মোমবাতি শিল্পে । আর তাই রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার 'সন্ধ্যাতারা' মোমবাতি কারখানায় মোমবাতি নির্মাণকারী শ্রমিকদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে । নাওয়াখাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে তৈরি করে চলেছেন ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ডিজাইনের মোমবাতি ।
আর মাত্র ক'দিন বাকি । দীপাবলির রাতে বাংলা তথা গোটা দেশ আলোকসজ্জায় সেজে উঠবে । একটা সময় ছিল মাটির প্রদীপ আর মোমবাতির আলো দিয়ে দীপাবলির রাতে সাজানো হতো বাড়িঘর ৷ কিন্তু ধীরে ধীরে সেই প্রদীপ ও মোমবাতিকে ঢেকে দিয়েছিল ইলেকট্রিক টুনি লাইট আর চাইনিজ ডিজিটাল আলোর দাপট ৷ অস্তিত্ব সঙ্কটে ধুঁকছিল মোমবাতি শিল্প ৷
কিন্তু মানুষ আবার ফিরে এসেছে পুরানো ঐতিহ্যবাহী মাটির প্রদীপ আর মোমবাতিতে । তার জেরেই মুখে হাসি ফুটেছে মোমবাতি নির্মাণকারী কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মুখে । আর দু'দিন পরেই ঘরে ঘরে অন্ধকার দূর করে মানুষ মেতে উঠবে আলোর উৎসবে । তাই এখন মোমবাতি কারখানাগুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে ।
রায়গঞ্জের সন্ধ্যাতারা কারখানার মালিক সুধাংশু সাহা জানান, করোনা আবহে গতবারের তুলনায় এবারে দীপাবলির মোমবাতির চাহিদা অনেক বেশি । ছোট, বড় ও স্ট্যান্ড মোমবাতি থেকে শুরু 28 রকমের মোমবাতি তৈরি হয় কারখানায় । আর দীপাবলির জন্য আকর্ষণীয় সাত রকমের বিভিন্ন ডিজাইনের মোমবাতি তৈরি করা হয়েছে । উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে বিক্রি হয় এই মোমবাতি ।
আরও পড়ুন : মাটি ছেড়ে হুগলিতে 'সুপারহিট' গোবরের প্রদীপ, তৈরি করছেন গ্রামের মহিলারা