ETV Bharat / state

"দাড়িভিটের পুনরাবৃত্তি হবে না", সমাধির মাটি নিয়ে তিলক কেটে শপথ দেবশ্রীর

author img

By

Published : Mar 25, 2019, 8:59 PM IST

Updated : Mar 26, 2019, 12:08 AM IST

রায়গঞ্জের BJP প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি দাড়িভিটে নিহত দুই পড়ুয়া রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের সমাধিস্থল থেকে ভোটের প্রচার শুরু করলেন। শপথ নিলেন, রাজ্যে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।

দেবশ্রী চৌধুরি

দাড়িভিট, 25 মার্চ: "সমাধির মাটি নিয়ে তিলক কেটে বলছি রাজ্যে এই ঘটনা আর ঘটবে না। মায়েদের সমাধির সামনে এসে এইভাবে কেঁদে আর অজ্ঞান হতে হবে না। এটাই শপথ।" আজ দাড়িভিটের সমাধিস্থল থেকে একথা বললেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি।

উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের দাড়িভিটের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই পড়ুয়ার। নাম রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ। দাড়িভিটকাণ্ডের পর প্রায় ছ'মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও CBI তদন্তের দাবিতে সৎকার করা হয়নি নিহত দুই পড়ুয়ার মৃতদেহ। সমাধিস্থ করা হয়েছে। আজ দাড়িভিটে তাদের সমাধিস্থল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের প্রচার শুরু করলেন দেবশ্রী।

ভিডিয়োয় শুনুন দেবশ্রী চৌধুরির বক্তব্য

আগামীদিনে BJP ক্ষমতায় এলে CBI তদন্তের দাবিতে আরও জোরদার আন্দোলন করা হবে কি না জানতে চাওয়া হলে দেবশ্রী বলেন, "আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আগেও বলেছি আজও বলছি।"

গতকাল রায়গঞ্জে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, দাড়িভিট থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। কথামতো আজ প্রথমেরায়গঞ্জ, করণদিঘি, কানকি, পাঞ্জিপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর দাড়িভিটের উদ্দেশে রওনা দেন। নিহত তাপস বর্মণের বাড়ি যান। উল্লেখ্য, তাপস বর্মণের বাড়িতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে BJP-র দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়েছিল। আজ সেই কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন তিনি। রাজেশ সরকারের মা ঝরনা সরকারের সঙ্গেও দেখা করেন। এরপর সোজা দোলঞ্চা নদীর পাড়ে সমাধিস্থলে যান।

দাড়িভিট, 25 মার্চ: "সমাধির মাটি নিয়ে তিলক কেটে বলছি রাজ্যে এই ঘটনা আর ঘটবে না। মায়েদের সমাধির সামনে এসে এইভাবে কেঁদে আর অজ্ঞান হতে হবে না। এটাই শপথ।" আজ দাড়িভিটের সমাধিস্থল থেকে একথা বললেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি।

উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের দাড়িভিটের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই পড়ুয়ার। নাম রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ। দাড়িভিটকাণ্ডের পর প্রায় ছ'মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও CBI তদন্তের দাবিতে সৎকার করা হয়নি নিহত দুই পড়ুয়ার মৃতদেহ। সমাধিস্থ করা হয়েছে। আজ দাড়িভিটে তাদের সমাধিস্থল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের প্রচার শুরু করলেন দেবশ্রী।

ভিডিয়োয় শুনুন দেবশ্রী চৌধুরির বক্তব্য

আগামীদিনে BJP ক্ষমতায় এলে CBI তদন্তের দাবিতে আরও জোরদার আন্দোলন করা হবে কি না জানতে চাওয়া হলে দেবশ্রী বলেন, "আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আগেও বলেছি আজও বলছি।"

গতকাল রায়গঞ্জে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, দাড়িভিট থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। কথামতো আজ প্রথমেরায়গঞ্জ, করণদিঘি, কানকি, পাঞ্জিপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর দাড়িভিটের উদ্দেশে রওনা দেন। নিহত তাপস বর্মণের বাড়ি যান। উল্লেখ্য, তাপস বর্মণের বাড়িতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে BJP-র দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়েছিল। আজ সেই কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন তিনি। রাজেশ সরকারের মা ঝরনা সরকারের সঙ্গেও দেখা করেন। এরপর সোজা দোলঞ্চা নদীর পাড়ে সমাধিস্থলে যান।

Intro:রায়গঞ্জ,৩০ জানুয়ারি:- উত্তর দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী বাহিন জমিদার বাড়ি প্রাচীন স্থাপত্য উদ্যোগের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। কালের নিয়মে প্রাচীন এই নির্মাণের দেওয়াল খসে পড়েছে, ভেঙে পড়ছে দরজা জানালা, ভেঙে পড়ছে ছাদ, জন্ম নিয়েছে আগাছা। একসময় এখানে রাজত্ব করা রায়চৌধুরী পরিবারের প্রাচীন স্থাপত্যের অস্তিত্ব বর্তমানে সংকটের মুখে। একসময় উত্তরদিনাজপুর এই প্রাচীন স্থাপত্যের নাম ছিল হেরিটেজ তকমা পাওয়া দের লিস্ট। কিন্তু বাম আমলে হওয়া সেই লিস্ট অনুযায়ী এখনো বাহিন জমিদারবাড়ির কপালে এখনো শিকে ছেঁড়েনি। ফলে স্রেফ নজরদারি এবং উদ্যোগের অভাবে আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই প্রাচীন স্থাপত্যটি। বাহিন বাসীদের দাবি দ্রুত এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলে জমিদার বাড়ি পুরনো ঐতিহ্য ইতিহাসের খাতায় লেখা থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন জমিদারবাড়ির নানান গল্প কথা মত এই বাড়ির স্মৃতিও উজ্জল হয়ে থাকবে রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর কাছে। পাশাপাশি হেরিটেজ এর তকমা পেলে পেলে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে স্থান মিলবে এই বাড়িটির।যার ফলে মান উন্নয়ন হবে এলাকার এবং সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয়দের উন্নতির রাস্তা প্রশস্ত হবে। দ্রুত এই বাড়িটি সংস্কারের দাবি করছে তারা।

উত্তর দিনাজপুর জেলার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতে অধীনে বর্তমানে রয়েছে এই রায় চৌধুরী পরিবারের প্রাচীন নির্মাণ। একেবারে নাগর নদীর দ্বারা প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া বাংলা বিহার সীমান্তে বর্তমানে ভগ্নদশায় পড়ে রয়েছে বাড়িতে। ইতিহাস বিজড়িত এই বাড়িটির বর্তমানের জরাজীর্ণ দশা দেখে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা এখনো কষ্ট পায়। একটু কান পাতলেই রায়চৌধুরী পরিবারের নানান গল্প কথা শোনা যায় এলাকায়। বাড়ির সামনের পুকুরটি এখনো বর্তমান একসময় নাকি সেখানেই হাত দিলেই ভেসে উঠতো শয়ে শয়ে মাছ। বাড়ির সামনে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছিল নারকেল গাছ, আম গাছ এবং নানান সুস্বাদু ফলের গাছ। যা বর্তমানে অতীত। বাড়ির সামনের থাকা বিশাল লোহার গেট আজ আর দেখা যায় না। বাড়ির সামনের হাতি বেঁধে রাখার স্থানটি যদিও এখনো বর্তমান রয়েছে পুরনো ঠাকুর দালানটিও। নিয়ম করে প্রতি বছর এখনো ধুমধাম করে দূর্গা পূজা করা হয় সেখানে। আমন্ত্রিত থাকেন এলাকাবাসীরা। বাড়ির পেছনে রয়েছে বাঁধানো ঘাট ।একসময় সেখানেই বসে নাগর নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করত জমিদার বাড়ির বংশধরেরা। তার এক পাশে বিশাল নারকেল গাছটি এখনো সে সব সাক্ষী বহন করে চলেছে। বাড়ির ভেতরে থাকা প্রাচীন নির্মাণের তৈরি সিড়িটির একাংশ বর্তমানে ভেঙেছে। সেখানে উঠে দেখা গেল পুরনো নানান স্থাপত্যের নিদর্শন। অত্যন্ত উন্নত মানের বারান্দা এখনো বর্তমান যার কিছুটা অংশ ভেঙে গেলও সেসময়ের নির্মাণকারীদের হাতযশ মানতে বাধ্য হবেন আপনারাও। বাড়ির ছাদেও অত্যন্ত উন্নত মানের মেঝের কাজ দেখতে পাওয়া যায়। বৃষ্টির সময় যাতে জল নিচের ঘর গুলিতে কোন ভাবে ঢুকতে না পারে তার জন্য তখনকার দিনের উন্নত ব্যবস্থা এখনো অনায়াসে চোখে পড়ে।

তবে বর্তমানে ওই বাড়িটি সন্ধে হলেই সমাজবিরোধীদের হাতে চলে যায় বলে দাবি করেন ওয়াকিবহাল মহল। এলাকার স্থানীয়রা ক্যামেরার সামনে সেই বিষয়ে বলতে না চাইলেও জানান প্রায় প্রতিদিনই নিচ তলার ঘর গুলিতে বসে মদের আসর চলে নানান নেশা সামগ্রীর সেবন। সন্ধে হতেই এলাকায় বাইরের লোক নজরে পড়ে ভিড় জমায় জমিদার বাড়ির নিচের বিভিন্ন ঘরে। সেখানে গিয়ে এদিনও নজরে পড়েছে মদের বোতল গ্লাস সিগারেটের প্যাকেট অন্যান্য নেশা সামগ্রীর খালি প্যাকেট এর। স্থানীয়দের দাবি তাদের মধ্যে কেউ কেউ ওই জমিদার বাড়ির জানালা দরজার কাঠ চুরি করে নিয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ ইট, জানলা দরজা এবং ছাদের রড ও চুরি করে নিয়ে গেছে। নাগর নদীতে জল কম থাকায় বিহারের কিছু দুষ্কৃতী ও এই এলাকা দিয়ে এসে নানান সময়ে বিভিন্ন জিনিস এই জমিদার বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। যা কিনা স্থানীয় প্রবীণ নাগরিকদের মনে কষ্ট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তারা দাবি করেন দ্রুত এই প্রাচীন স্থাপত্য টির সংস্কারের কাজ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হলেই, নেশা আসক্তদের আনাগোনা কমবে এলাকায়। পাশাপাশি বাঁচানো যাবে দেড়শ বছরের পুরনো স্থাপত্যকে। তাদের আরও আশঙ্কা যদি তা না করা হয় তবে প্রাচীন এই স্থাপত্যটি আস্তে আস্তে ভাঙতে ভাঙতে এক সময়ে নাগর নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা চাইছি এই জমিদার বাড়ি বাড়ি রাজবাড়ীর দ্রুত সংস্কারের কাজ সরকারি উদ্যোগে হোক। যাতে আমাদের এলাকার পর্যটনে জায়গা তৈরি হয় এবং আমাদের আয় বাড়ে। এই জমিদার বাড়িটি কথা শুনে অনেকেই এখন আসেন। কিন্তু সরকারি উদ্যোগ নিলে জনসমাগম বেশি হবে।

আরো এক বাসিন্দা বলেন, বর্তমানে ভগ্নদশায় পড়ে রয়েছে এই বাড়িটি। এলাকার প্রবীণ নাগরিক হয়ে যা আমাদের মনের শক্তি কষ্ট দেয়। আমরা চাই সানি ও প্রশাসন এবং সরকার উদ্যোগী হয়ে বাড়িটির মেরামতি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করুক।

রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানুষ ঘোষ বলেন, আমরা বাহিন জমিদার বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রকল্প তৈরি করেছিলাম। সেটি সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে এই তকমা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যে যেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আছে তা আমরা অবশ্যই নেব। জুতা দান করা যায় তাহলে এই প্রাচীন স্থাপত্য টি একসময় নাগর নদীতে তলিয়ে যাবে যে আমরা কখনোই চাই না। এই বিষয়ে যা যা সঙ্গে কথা বলতে হবে তাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলব।

তারক চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ।


Body:গড


Conclusion:কগ
Last Updated : Mar 26, 2019, 12:08 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.