রায়গঞ্জ, 31 মার্চ: এলাকায় জারি 144 ধারা ৷ যার জেরে শুক্রবার ডালখোলা যেতে গিয়ে বাধা পেলেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ৷ এদিন তাঁর নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের 4 বিধায়ক এলাকা পরিদর্শনে যান ৷ তখনই সুজাপুর টোলপ্লাজায় 31 নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ ৷ তা নিয়েই পুলিশের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় ৷ এমনকী দেবশ্রী চৌধুরী পুলিশকে 144 ধারা অমান্য না-করার আশ্বাস দিলেও কোনও কাজ হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে বাধ্য হন সাংসদ ৷
বৃহস্পতিবার ছিল রামনবমী ৷ সেই উপলক্ষ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে শোভাযাত্রা বের হয় ৷ সমস্ত জায়গায় শান্তিপূর্ণ মিছিল হলেও ডালখোলায় এই মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷ এই মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ৷ উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে ৷ এমনকী তারা ডালখোলা থানায় ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ । একাধিক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে । এই ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয় ৷
আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার 36
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বিশপ সরকার । তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েই জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন । করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল এলাকায় পৌঁছলে জনতার ক্ষোভ তাঁর উপর আছড়ে পড়ে । তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শারীরিকভাবে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় । বৃহস্পতিবার রাতেই এক ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় প্রশাসনিকভাবে শুক্রবার 144 ধারা জারি করা হয় । ডালখোলা এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রায়গঞ্জ সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের চার বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন, শিখা চট্টোপাধ্যায়, দুর্গা মুর্মু ডালখোলায় যেতে চাইলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে ৷