ETV Bharat / state

Odisha Train Accident: দাবিদার দু'জন হওয়ায় মৃতদেহ হস্তান্তরে জটিলতা, সমাধান করল প্রশাসন - আঞ্জারুল হক

ছেলের মুখের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকায় পরিবার ভাবে সেটা আঞ্জারুল হকের দেহ ৷ ভুবনেশ্বরে দেহ আনতে গিয়ে জানতে পারেন সেটি আসলে হাওড়ার এক বাসিন্দার দেহ ৷ তার ফলে দেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয় ৷ পরে করণদিঘির প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হল সমস্যার সমাধান ৷

Odisha Train Accident
দেহ হস্তান্তর
author img

By

Published : Jun 5, 2023, 10:22 PM IST

দাবিদার দু'জন হওয়ায় মৃতদেহ হস্তান্তরে জটিলতার সৃষ্টি

রায়গঞ্জ, 5 জুন: দেহ কার ? একই মৃতদেহের দাবিদার দু'জন ৷ করণদিঘির এক পরিবার বলছে দেহটি তাদের পরিজনের ৷ হাওড়ায় অপর এক পরিবারের দাবি দেহটি তাঁদের এক সদস্যের ৷ এর জেরে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে মৃতদেহ হস্তান্তরে । ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার পূর্ব প্রসাদপুর গ্রামে ৷ শেষমেশ পরিস্থিতির জটিলতা কাটাতে মাঠে নামে প্রশাসন ৷ করণদিঘির বাসিন্দা নিখোঁজ আঞ্জারুল হকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে এলেন তারা । নো অবজেকশন হাতে পাওয়ার পরই মৃতদেহ নেওয়ার ক্ষেত্রে হাওড়ার পরিবারের আর কোনও বাধা থাকল না ৷ এমনটাই জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা ।

উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের পূর্বপ্রসাদপুর গ্রামের যুবক আঞ্জারুল হক রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন । গত 1 জুন বেঙ্গালুরু থেকে বাড়িতে আসার জন্য ট্রেন ধরেছিলেন তিনি । ট্রেনে ওঠার পর শেষ তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ফোনে যোগাযোগ হয় । 2 জুন অর্থাৎ শুক্রবার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে ৷ সেই দুর্ঘটনায় 275 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ দুর্ঘটনার পর থেকেই আঞ্জারুলের পরিবার তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারছে না । তারপর থেকেই আঞ্জারুলের পরিবারের চরম আতঙ্কে দিন কাটছে ।

আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় ভাইরাল ছবি, ছেলের মুখের সঙ্গে মিল, চিন্তায় পরিবার

দুর্ঘটনার পর থেকে আঞ্জারুলের মতো দেখতে একজনের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । আঞ্জারুলের সঙ্গে ছবির মিল থাকায় পরিবারের সদস্যরা ধরেই নিয়েছিল তিনি আর বেঁচে নেই । মৃতদেহ আনতে পরিবারের চারজন ভুবনেশ্বর হাসপাতালের মর্গে পৌঁছন । সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন সেই মৃতদেহ আঞ্জারুলের নয় ৷ বরং সেটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাসিন্দার । ওই হাওড়ার পরিবারের সেই মৃতদেহ নিতে চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আঞ্জারুলের পরিবার । সেই সমস্যা সমাধান করতে সোমবার আঞ্জারুলের বাড়িতে পৌঁছন করণদিঘি ব্লকের পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ।

ওই মৃতদেহ হাওড়ার বাসিন্দারা নিয়ে গেলে তাদের কোন আপত্তি নেই । এই কথা লিখিতভাবে করণদিঘি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও বাপ্পাদিত্য রায়ের হাতে তুলে দেন আঞ্জারুলের দাদা আতাবুল হক । বাপ্পাদিত্য রায় জানান, একই মৃতদেহ দু'জন দাবিদার হওয়ায় মৃতদেহ হস্তান্তর করার সময় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। এই নো-অবজেকশন হাতে পাবার পর মৃতদেহ হস্তান্তরে আর কোন সমস্যা থাকল না ।

আরও পড়ুন: ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজের খোঁজে পরিবারের সদস্যরা, প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্তি

আতাবুর রহমান জানান, আঞ্জারুলের মৃতদেহ শনাক্তকরণ করতে গিয়ে বেশ কিছু অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা গিয়েছে । অন্যদিকে হাওড়ার বাসিন্দার ছবির সঙ্গে অনেকটাই সামঞ্জস্য ছিল আঞ্জারুলের মুখের । তাই তারা মনে করেছিলেন সেটা তাঁর ভাইয়ের দেহ ৷ তবে এখন ওই দেহ নিয়ে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি । সোমবার নিখোঁজ আঞ্জারুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক গৌতম পাল । তিনি জানান, আঞ্জারুলের পরিবার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ব্লক প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়ে সঠিক কাজ করেছেন । মৃতদেহ যার তাদের হাতে তুলে দেওয়াটাই সঠিক কাজ । তবে আঞ্জারুলকে খুঁজে পেতে প্রশাসনিকভাবে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ।

দাবিদার দু'জন হওয়ায় মৃতদেহ হস্তান্তরে জটিলতার সৃষ্টি

রায়গঞ্জ, 5 জুন: দেহ কার ? একই মৃতদেহের দাবিদার দু'জন ৷ করণদিঘির এক পরিবার বলছে দেহটি তাদের পরিজনের ৷ হাওড়ায় অপর এক পরিবারের দাবি দেহটি তাঁদের এক সদস্যের ৷ এর জেরে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে মৃতদেহ হস্তান্তরে । ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার পূর্ব প্রসাদপুর গ্রামে ৷ শেষমেশ পরিস্থিতির জটিলতা কাটাতে মাঠে নামে প্রশাসন ৷ করণদিঘির বাসিন্দা নিখোঁজ আঞ্জারুল হকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে এলেন তারা । নো অবজেকশন হাতে পাওয়ার পরই মৃতদেহ নেওয়ার ক্ষেত্রে হাওড়ার পরিবারের আর কোনও বাধা থাকল না ৷ এমনটাই জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা ।

উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের পূর্বপ্রসাদপুর গ্রামের যুবক আঞ্জারুল হক রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন । গত 1 জুন বেঙ্গালুরু থেকে বাড়িতে আসার জন্য ট্রেন ধরেছিলেন তিনি । ট্রেনে ওঠার পর শেষ তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ফোনে যোগাযোগ হয় । 2 জুন অর্থাৎ শুক্রবার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে ৷ সেই দুর্ঘটনায় 275 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ দুর্ঘটনার পর থেকেই আঞ্জারুলের পরিবার তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারছে না । তারপর থেকেই আঞ্জারুলের পরিবারের চরম আতঙ্কে দিন কাটছে ।

আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় ভাইরাল ছবি, ছেলের মুখের সঙ্গে মিল, চিন্তায় পরিবার

দুর্ঘটনার পর থেকে আঞ্জারুলের মতো দেখতে একজনের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । আঞ্জারুলের সঙ্গে ছবির মিল থাকায় পরিবারের সদস্যরা ধরেই নিয়েছিল তিনি আর বেঁচে নেই । মৃতদেহ আনতে পরিবারের চারজন ভুবনেশ্বর হাসপাতালের মর্গে পৌঁছন । সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন সেই মৃতদেহ আঞ্জারুলের নয় ৷ বরং সেটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাসিন্দার । ওই হাওড়ার পরিবারের সেই মৃতদেহ নিতে চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আঞ্জারুলের পরিবার । সেই সমস্যা সমাধান করতে সোমবার আঞ্জারুলের বাড়িতে পৌঁছন করণদিঘি ব্লকের পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ।

ওই মৃতদেহ হাওড়ার বাসিন্দারা নিয়ে গেলে তাদের কোন আপত্তি নেই । এই কথা লিখিতভাবে করণদিঘি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও বাপ্পাদিত্য রায়ের হাতে তুলে দেন আঞ্জারুলের দাদা আতাবুল হক । বাপ্পাদিত্য রায় জানান, একই মৃতদেহ দু'জন দাবিদার হওয়ায় মৃতদেহ হস্তান্তর করার সময় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। এই নো-অবজেকশন হাতে পাবার পর মৃতদেহ হস্তান্তরে আর কোন সমস্যা থাকল না ।

আরও পড়ুন: ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজের খোঁজে পরিবারের সদস্যরা, প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্তি

আতাবুর রহমান জানান, আঞ্জারুলের মৃতদেহ শনাক্তকরণ করতে গিয়ে বেশ কিছু অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা গিয়েছে । অন্যদিকে হাওড়ার বাসিন্দার ছবির সঙ্গে অনেকটাই সামঞ্জস্য ছিল আঞ্জারুলের মুখের । তাই তারা মনে করেছিলেন সেটা তাঁর ভাইয়ের দেহ ৷ তবে এখন ওই দেহ নিয়ে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি । সোমবার নিখোঁজ আঞ্জারুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক গৌতম পাল । তিনি জানান, আঞ্জারুলের পরিবার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ব্লক প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়ে সঠিক কাজ করেছেন । মৃতদেহ যার তাদের হাতে তুলে দেওয়াটাই সঠিক কাজ । তবে আঞ্জারুলকে খুঁজে পেতে প্রশাসনিকভাবে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.