রায়গঞ্জ, 8 জুলাই: এক বিজেপি কর্মীকে বাড়ির থেকে ডেকে নিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদ থানার চৈনগর গ্রামে। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম প্রসেনজিৎ বর্মন (25)। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার চৈনগর এলাকার বাসিন্দা বিজেপির মণ্ডল-সহ সভাপতি বিপ্লব বর্মনের ভাগ্নে প্রসেনজিৎ বর্মন শ্বশুরবাড়ি সন্ত্রায় গ্রামে গিয়েছিলেন। পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রসেনজিৎ বর্মন ভোট দেওয়ার জন্য বাড়িতে চলে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় সাদ্দাম নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ৷ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে প্রসেনজিৎকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
এরপরেই অভিযোগ, সেখানে একটি টোটোর মধ্যে বসে প্রসেনজিৎ বর্মনকে, সাদ্দাম নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশন পুস করে। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে যান প্রসেনজিৎ। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা প্রসেনজিৎকে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে আসে ৷
আরও পড়ুন: মোমবাতির আলোর দেদার ছাপ্পা সিপিএমের ! বাদুড়িয়ার ঘটনা কী তবে বদলের ইঙ্গিত ?
সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা সাদ্দামকে গ্রামের একটি গাছের মধ্যে বেঁধে রেখে মারধর করে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হেমতাবাদ থানার পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ার সাদ্দামকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অন্যদিকে, প্রসেনজিৎ-এর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ঘটনায় মৃত প্রসেনজিৎ পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। পুরনো কোনও শত্রুতা নাকি ভোটের জন্য এই খুন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷