রায়গঞ্জ, 15 জুলাই: চন্দ্রযান-3 উৎক্ষেপণের সাফল্যে ভাগ থাকছে বাংলারও ৷ কারণ, চন্দ্রযান-3তে থাকা ক্যামেরার নকশা করেছেন বাংলার ছেলে অনুজ নন্দী ৷ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ছেলে অনুজ মিশন চন্দ্রযান-3 টিমের অন্যতম বলাই যায় । ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অনুজ নন্দী । তাঁকে ঘিরে আপাতত উচ্ছাস এলাকায় ।
চন্দ্রযান-3 উৎক্ষেপণের পর সহ অনুজের বাড়িতে খুশির হাওয়া । ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত তাঁর মা শোভা নন্দী ৷ তিনি বলেন, "একমাস আগেই ইসলামপুরের বাড়িতে এসেছিল সে। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে সবটা জানিয়েছে । আমরা এখানে বসেই মোবাইল ফোনে চন্দ্রযান অভিযানের দৃশ্যের সাক্ষী থাকলাম ।"
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন অনুজ ৷ রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন তিনি । এরপরই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে ৷ বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী । তবে জন্ম-ভিটের টান ভোলেননি অনুজ ৷ তাই সময় পেলেই চলে আসেন পরিবারের কাছে ৷
শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চাঁদের লক্ষ্যে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান-3 । বিজ্ঞানীদের অংক বলছে, 23 বা 24 অগস্ট চাঁদ ছোঁবে চন্দ্রযান-3 ।
আরও পড়ুন: চাঁদের লক্ষ্যে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-3, রইল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আর চাঁদের অভিযানে ভারতের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার জগতে বিশাল কীর্তি । অভিযান সফল হলে রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পরই চতুর্থ দেশ হবে ভারত । ইসলামপুরের মানুষের কাছে অনুজ নন্দী অনুপ্রেরণার নাম । এলাকার খুদেরাও অনুজের মতোই বিজ্ঞানী হতে চান । পরিবার থেকে অনেক দূরে অনুজ । গর্বিত পরিবার ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় । চন্দ্রযান-3 আপাতত চাঁদের পথে ৷ নজরদারিতে ইসরো ৷ ক্যামেরার নকশা করা অনুজও চন্দ্রযান-3র দিকেই তাকিয়ে । চাঁদের পিঠে চন্দ্রযান-3 অবতরণ করতে পারলে সেই সাফল্যের ভাগ যে তাঁরও ৷