বালুরঘাট, 27 এপ্রিল: কল আছে, জল নেই। এমনই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে ৷ এলাকার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদ গ্রামে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ট্যাপ দেওয়া হয়। অভিযোগ, এক বছরের বেশি সময়েরও আগে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ট্যাপ পৌঁছলেও পৌঁছয়নি জল। যার জেরে চরম কষ্টে গ্রামবাসীরা ৷
খরার মরশুমে চরম জন কষ্টে গ্রামবাসীরা। বিশেষ করে বাড়িতে ট্যাপ থাকা সত্ত্বেও তাতে জল না পড়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরাম প্রসাদে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা এলাকার সাংসদ গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। এদিন অবশ্য, গোটা ঘটনার জন্য ঘুরিয়ে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন বিজেপি সাংসদ ৷ সেই সঙ্গে, রাজ্য সরকার উন্নয়নের কাজে বাঁধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিজেপির ৷
এদিন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্য সরকারের বাড়ি বাড়ি জল প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য কারিগড়ি দফতরকে জানাব।" তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের জল প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও কেন মানুষ জল পাচ্ছে না, বিষয়টি কেন্দ্রকে তদন্ত করার জন্য বলা হবে।
উল্লেখ্য, চকরাম প্রসাদ গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন বালুঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বর্তমানে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। কিন্তু তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রামে জল কষ্টের ঘটনায়, বিজেপির পক্ষ থেকে পালটা তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে বিজেপি ৷ বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত চকরাম প্রসাদ গ্রামের কোন উন্নয়ন করছে না, উন্নয়নের কাজ করতেও দিচ্ছে না। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য মামনি বর্মন জানান, তৃণমূলের পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত পরিষদ বিজেপির হওয়ায় এই গ্রামে কোনও কাজ করছে না তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত।
অন্যদিকে, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পুলক দেবনাথ অবশ্য জানিয়েছেন, সুকান্ত মজুমদার দত্তক নেওয়ার পর থেকে ওই গ্রামে কোনও উন্নয়নের কাজই করেননি সাংসদ। পঞ্চায়েত থেকে ওই গ্রামে পানীয় জলের পাইপ লাইনের কাজ করা হয়েছে। যদিও খরার মরশুমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় জল পৌঁছচ্ছে না বলে জানান তিনি। বিষয়টি দলের তরফ থেকে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জানানো হয়েছে বলেও খবর।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন