কালিয়াগঞ্জ, ২২ নভেম্বর : একদিকে নিজের একমাত্র মেয়ের বিয়ে ৷ অপরদিকে নিজে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী । কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়দায়িত্ব, তেমনই রয়েছে তাঁর উপরে বর্তানো দলের দায়িত্ব । এখন হিমশিম অবস্থা কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে BJP প্রার্থী কমল সরকারের । তবে পাশে পেয়েছেন আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপড়শিদের । তাঁরাই জোগাড় করছেন মেয়ের বিয়ের সমস্ত আয়োজন । আর তাই একজন বাবার চাইতে দলের প্রার্থী বা একনিষ্ঠ সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছেন ভোটযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অবতীর্ণ হতে ।
মেয়ের বিয়ের দিনই শেষ হচ্ছে নির্বাচনী ভোট প্রচারের সময়, আর একদিন বাদে তাঁর এবং তাঁর দলের অগ্নিপরীক্ষা । কিছুটা হলেও চাপের মধ্যে রয়েছেন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের BJP প্রার্থী কমল সরকার। আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন । আর ২৩ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের BJP প্রার্থী কমল সরকারের মেয়ের বিবাহের দিন । আর ওই দিনই বিকেল ৫ টায় শেষ হবে তাঁর নির্বাচনী প্রচার । শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে তাঁকে । নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে ভোটের প্রচারে ।
এদিকে তাঁর মেয়ের বিয়ের কাজ তিনি কিছুই করতে পারছেন না । কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার যে অনেক দায়দায়িত্ব । বেশ চাপে রয়েছেন কমলবাবু । তবে তাঁর পরিবারের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পার করতে তাঁকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর আত্মীয় পরিজন ও পাড়াপড়শিরা । তাঁরাই বিয়ের মণ্ডপ তৈরি থেকে বিয়ের কেনাকাটা, প্রীতিভোজের সব ব্যাবস্থা সামলাচ্ছেন ৷ এমনই জানালেন আত্মীয় পরিজনেরা । BJP প্রার্থী কমল সরকারের স্ত্রীও জানালেন, মেয়ের বিয়ের জন্য এতটুকুও সময় দিতে পারছেন না স্বামী । আর কমলবাবু বলেন, "বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়ে দেওয়া ও তার দেখভাল করা আমার কর্তব্য ৷ কিন্তু দল যে দায়িত্বটা আমাকে দিয়েছে সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ । শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজের জন্য কিছু করতে চাই ।" আপাতত সমাজের জন্য, দলের জন্য কাজ করাটাকেই তিনি বেশি গুরুত্ব দিতে চান ।