রায়গঞ্জ, 23 জুন : কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কের এবার জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথে করে মাসির বাড়ি যাওয়া হল না । রথে চেপে আগামী সাতদিন এক জায়গায় বসে থাকবে দেবতারা । সরকারি নির্দেশিকা মেনে রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাপল্লীর রথযাত্রা উৎসব এভাবে পালন করলেন উদ্যোক্তারা । শ্যামাপল্লির অনন্ত গোঁসাইয়ের জগন্নাথদেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি বের করে সুসজ্জিত রথে বসিয়ে সেখানে পুজো করা হয় । আগামী সাতদিন অর্থাৎ উল্টোরথের দিন পর্যন্ত এই রথে বসে থাকবেন দেবদেবীরা ।
রথের দিন শ্যামাপল্লির অনন্ত গোঁসাইয়ের জগন্নাথদেবের রথের দড়ি টানা রায়গঞ্জের পূণ্যার্থীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু, হাজার হাজার পূণ্যার্থীর এই অভিপ্রায়ে এবারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোরোনা ভাইরাস । COVID-19 এর সংক্রমণ রুখতে যেকোনও জায়গায় ভিড় বা জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । রথ পরিক্রমায় সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন হবে । বহু মানুষের সমাগমে ছড়িয়ে পড়তে পারে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ । তাই সরকারি নির্দেশ মেনে রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অনন্ত গোঁসাইয়ের রথযাত্রা উৎসব হল শ্যামাপল্লির জগন্নাথ দেবের মন্দিরে ।
উৎসব না হলেও জগন্নাথদেবের পুজোয় কোনও খামতি রাখেনি শ্যামাপল্লি রথযাত্রা উৎসব কমিটি । মন্দির চত্বরে প্রতিবারের মতো ফুল মালায় সুসজ্জিত করা হয়েছে রথ । মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি রথে এনে বসিয়ে পুজো করা হয়েছে । মন্দির চত্বরে কিছু পুণ্যার্থী এসেছেন । রথের দড়িতে টান দিতে না পারায় অনেকের গলায় আক্ষেপের সুর । শ্যামাপল্লির রথযাত্রা উৎসব কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা বলরাম দাস জানান, “সরকারি নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এবার রথের পরিক্রমা বন্ধ রাখা হয়েছে । আগামী সাত দিন রথ এই মন্দির চত্বরে থাকবে । আর রথে পুজো হবে জগন্নাথ দেবের ।”