ETV Bharat / state

লকডাউনে বন্ধ ব্যাগ কারখানা, রাস্তায় মাস্ক ফেরি করছেন মালিক

লকডাউনে বন্ধ হয়েছে কারখানা । উপার্জন বন্ধ রায়গঞ্জের এক ব্যাগ কারখানার মালিকের । শ্রমিকরাও কর্মহীন । এখন তাই রাস্তায় মাস্ক ফেরি করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি ।

raiganj
raiganj
author img

By

Published : Jul 18, 2020, 5:06 PM IST

রায়গঞ্জ, 18 জুলাই : লকডাউনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা । রায়গঞ্জেও সেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে । ব্যবসা বন্ধ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের । রায়গঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের প্রখ্যাত চিত্র সাংবাদিক সংসার চালানোর জন্য ফুটপাথে ফল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন । এইবার পেটের দায়ে রাস্তায় মাস্ক ফেরি করছেন ব্যাগ কারখানার মালিক । কারণ লকডাউনে বন্ধ হয়েছে মুন্না কর্মকারের কারখানা । আজ তিনি সর্বহারা ।

রায়গঞ্জ শহরের শক্তিনগর এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যাগ কারখানার মালিক মুন্না কর্মকার । পরিবারে রয়েছে মা, স্ত্রী, ছেলে । সংসার চালানোর জন্য এখন সাইকেলে করে ফেরি করছেন মাস্ক । কারণ চারমাস তাঁর ব্যাগ তৈরির কারখানা বন্ধ । বকেয়া টাকা প্রচুর । ফিরে পাননি । সঞ্চয় তলানিতে, বলা ভালো প্রায় শেষ । কার্যত বাধ্য হয়েই এখন মাস্ক ফেরিওয়ালা মুন্না । তবে তাঁর এবং তাঁর কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় । কর্মহীন হয়ে পড়া মহিলাদের প্রতিমাসেই খাদ্য সামগ্রী দিয়ে চলেছেন বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

মাস্ক ফেরি করছেন মালিক

শক্তিনগর এলাকায় মুন্নার ব্যাগ তৈরির কারখানায় থাকত চরম ব্যাস্ততা । 20-25 জন মহিলা অনবরত কাপড় ও নাইলনের ব্যাগ তৈরি করতেন । রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা থেকে শুরু করে বিহারের কিশানগঞ্জ, আজমনগর, বাইসি, শালমারি সহ বহু জায়গায় বস্ত্র-বিপণীতে ব্যাগ সরবরাহ হত । রোজগারও ছিল ভালোই । কিন্তু আচমকাই জারি হওয়া লকডাউনে আজ তিনি নিঃস্ব ।

পাইকারি ও খুচরো ব্যাগ বিক্রির সমস্ত পাওনা টাকা পয়াসা আর বাজার থেকে তুলতে পারেননি মুন্না । কর্মহীন তাঁর কারখানার সাথে যুক্ত মহিলা শ্রমিকরাও । তাঁরাও কর্মহীন হয়ে পড়ে চরম দুর্দশায় পড়েছেন । নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কর্মচারীদের পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে দিয়ে এতদিন সংসার চালিয়েছেন মুন্না । আজ আর কিছু করার নেই । নতুন পেশাতেই উপার্জন ।

আগে দিনে হাজার টাকা রোজগার হত সেখানে এখন মাস্ক বিক্রি করে জুটছে মাত্র 100-150 টাকা । মুন্না কর্মকার বলেন, "আগে ব্যাগ তৈরি হত । এখন কারখানা বন্ধ । অনেক টাকা বাকি । কিছুই পাইনি । আমার কর্মচারীরাও বেকার হয়েছেন । কোনওদিন কিছুই উপার্জন হয় না । খুব কষ্টে চলছে । লকডাউনে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । চিকিৎসকের চেম্বারের আশপাশে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে মাস্ক বিক্রি করি । বাধ্য হয়েই এই কাজ করতে হচ্ছে । "

কাজ হারিয়েছেন লক্ষ্মী রায় । ওই ব্যাগ কারখানাতেই কাজ করতেন তিনি । লক্ষ্মী বলেন, "আগে যা উপার্জন হত, সেই টাকা দিয়ে বাড়িতে একটু সাহায্য করতে পারতাম । এখন সব বন্ধ । " বিষয়টি জানেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরও । তিনি জানালেন, প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী আমরা তাঁদের দিয়ে সাহায্য করেছি । লকডাউন যতদিন চলবে, আমরা সাহায্য করব ।

রায়গঞ্জ, 18 জুলাই : লকডাউনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা । রায়গঞ্জেও সেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে । ব্যবসা বন্ধ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের । রায়গঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের প্রখ্যাত চিত্র সাংবাদিক সংসার চালানোর জন্য ফুটপাথে ফল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন । এইবার পেটের দায়ে রাস্তায় মাস্ক ফেরি করছেন ব্যাগ কারখানার মালিক । কারণ লকডাউনে বন্ধ হয়েছে মুন্না কর্মকারের কারখানা । আজ তিনি সর্বহারা ।

রায়গঞ্জ শহরের শক্তিনগর এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যাগ কারখানার মালিক মুন্না কর্মকার । পরিবারে রয়েছে মা, স্ত্রী, ছেলে । সংসার চালানোর জন্য এখন সাইকেলে করে ফেরি করছেন মাস্ক । কারণ চারমাস তাঁর ব্যাগ তৈরির কারখানা বন্ধ । বকেয়া টাকা প্রচুর । ফিরে পাননি । সঞ্চয় তলানিতে, বলা ভালো প্রায় শেষ । কার্যত বাধ্য হয়েই এখন মাস্ক ফেরিওয়ালা মুন্না । তবে তাঁর এবং তাঁর কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় । কর্মহীন হয়ে পড়া মহিলাদের প্রতিমাসেই খাদ্য সামগ্রী দিয়ে চলেছেন বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

মাস্ক ফেরি করছেন মালিক

শক্তিনগর এলাকায় মুন্নার ব্যাগ তৈরির কারখানায় থাকত চরম ব্যাস্ততা । 20-25 জন মহিলা অনবরত কাপড় ও নাইলনের ব্যাগ তৈরি করতেন । রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা থেকে শুরু করে বিহারের কিশানগঞ্জ, আজমনগর, বাইসি, শালমারি সহ বহু জায়গায় বস্ত্র-বিপণীতে ব্যাগ সরবরাহ হত । রোজগারও ছিল ভালোই । কিন্তু আচমকাই জারি হওয়া লকডাউনে আজ তিনি নিঃস্ব ।

পাইকারি ও খুচরো ব্যাগ বিক্রির সমস্ত পাওনা টাকা পয়াসা আর বাজার থেকে তুলতে পারেননি মুন্না । কর্মহীন তাঁর কারখানার সাথে যুক্ত মহিলা শ্রমিকরাও । তাঁরাও কর্মহীন হয়ে পড়ে চরম দুর্দশায় পড়েছেন । নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কর্মচারীদের পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে দিয়ে এতদিন সংসার চালিয়েছেন মুন্না । আজ আর কিছু করার নেই । নতুন পেশাতেই উপার্জন ।

আগে দিনে হাজার টাকা রোজগার হত সেখানে এখন মাস্ক বিক্রি করে জুটছে মাত্র 100-150 টাকা । মুন্না কর্মকার বলেন, "আগে ব্যাগ তৈরি হত । এখন কারখানা বন্ধ । অনেক টাকা বাকি । কিছুই পাইনি । আমার কর্মচারীরাও বেকার হয়েছেন । কোনওদিন কিছুই উপার্জন হয় না । খুব কষ্টে চলছে । লকডাউনে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । চিকিৎসকের চেম্বারের আশপাশে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে মাস্ক বিক্রি করি । বাধ্য হয়েই এই কাজ করতে হচ্ছে । "

কাজ হারিয়েছেন লক্ষ্মী রায় । ওই ব্যাগ কারখানাতেই কাজ করতেন তিনি । লক্ষ্মী বলেন, "আগে যা উপার্জন হত, সেই টাকা দিয়ে বাড়িতে একটু সাহায্য করতে পারতাম । এখন সব বন্ধ । " বিষয়টি জানেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরও । তিনি জানালেন, প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী আমরা তাঁদের দিয়ে সাহায্য করেছি । লকডাউন যতদিন চলবে, আমরা সাহায্য করব ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.