ETV Bharat / state

এক ফোনেই চায়ের হোম ডেলিভারি

লকডাউন । বন্ধ চা দোকান । কিন্তু মনটা যে বড় পাড়ার চায়ের দোকানের চা খাওয়ার জন্য আনচান করে । এই সবকিছুর সমাধান নিয়ে হাজির রায়গঞ্জের চাওয়ালা বাবু পাল ।

Tea seller
চাওয়ালা বাবু পাল
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 10:34 AM IST

Updated : Apr 17, 2020, 10:43 AM IST

রায়গঞ্জ, 17 এপ্রিল : বাড়িতে চা মিলুক আর না মিলুক । পাড়ার দোকানে একবার চা পান করতে করতে রাজনীতি নিয়ে চর্চা না করলে বাঙালির জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যায় । কিন্তু এখন লকডাউনের জেরে রাজনৈতিক চর্চা তো দূরে থাক । পাড়ার হারু, বিশু, ছোটুর হাতে তৈরি চায়ে আর চুমুকও দিতে পারছে না মানুষ । অগত্যা বাড়ির তৈরি চা খেতে হচ্ছে । কিন্তু মনটা যে বড় পাড়ার চায়ের দোকানের চা পানের জন্য আনচান করে । এই সবকিছুর সমাধান নিয়ে হাজির রায়গঞ্জের চাওয়ালা বাবু পাল । লকডাউনের সময় রায়গঞ্জবাসী এখন তাঁর দৌলতেই রাস্তার চায়ের স্বাদ নিচ্ছে । চায়ের হোম ডেলিভারি বললে ভুল হবে না ৷

রায়গঞ্জের নেতাজি সুভাষ রোডে চায়ের দোকান ছিল বাবু পালের । লকডাউন শুরু হওয়ায় দোকান বন্ধ করতে হয়েছে । সঞ্চয়ে যেটুকু অর্থ ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে । এদিকে আবার সন্তানের দশ মাস বয়স । তার খাবার কিনতে টাকা লাগবে । একইসঙ্গে নিজেদের জন্য দুবেলার খাবার জোগাড় করতে পারছিলেন না । আর এই সময়েই বাবুর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল । চায়ের হোম ডেলিভারি । সেইমতো শুরু করলেন কাজ ।

প্রথমদিকে পয়সা না থাকায় বন্ধুর থেকে 50 টাকা ধার নেন । তারপর সেই টাকা দিয়ে এক প্যাকটে দুধ, একশো গ্রাম চা ও 25টি কাগজের গ্লাস কিনে আনেন । তারপর চা তৈরি করে ফ্লাক্সে নিয়ে পরিচিত খদ্দেরদের ফোন করে পৌঁছে যেতেন তাঁদের বাড়ি । দিয়ে আসতেন চা । প্রথমে খদ্দেরের চাহিদাটা কম ছিল । কিন্তু বাবু পালের চা বিক্রির খবরটা চাউর হতেই ক্রমশ খদ্দেরের সংখ্যা বাড়ল । সকালে যে মুদি ও সবজি দোকানদাররা দোকান খোলে তাঁরাও বাবুকে ফোন করে চায়ের অর্ডার দিতে লাগল । বাবুও সেইমতো সাইকেলে করে চা নিয়ে পৌঁছে যেতেন ।

দিন পাঁচেক হল এই ব্যবস্থা শুরু করেছে বাবু । কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁর চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে আগে যেখানে এক ফ্লাস্ক চা নিয়ে বেরোলেই হত, এখন তা তিন ফ্লাস্ক হয়েছে । কখনও কখনও আবার, শেষ হয়ে গেলে ফের বাড়ি গিয়ে তৈরি করে চা দিতে বেরোন বাবু । দিনে এখন প্রায় দেড়শো কাপ চা বিক্রি করেন । তাঁর এই উদ্যোগে রায়গঞ্জের বাসিন্দারা একদিকে খুশি । অন্যদিকে সংসারের অভাব খানিকটা দূর হওয়ায় খুশি বাবুও ।

রায়গঞ্জ, 17 এপ্রিল : বাড়িতে চা মিলুক আর না মিলুক । পাড়ার দোকানে একবার চা পান করতে করতে রাজনীতি নিয়ে চর্চা না করলে বাঙালির জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যায় । কিন্তু এখন লকডাউনের জেরে রাজনৈতিক চর্চা তো দূরে থাক । পাড়ার হারু, বিশু, ছোটুর হাতে তৈরি চায়ে আর চুমুকও দিতে পারছে না মানুষ । অগত্যা বাড়ির তৈরি চা খেতে হচ্ছে । কিন্তু মনটা যে বড় পাড়ার চায়ের দোকানের চা পানের জন্য আনচান করে । এই সবকিছুর সমাধান নিয়ে হাজির রায়গঞ্জের চাওয়ালা বাবু পাল । লকডাউনের সময় রায়গঞ্জবাসী এখন তাঁর দৌলতেই রাস্তার চায়ের স্বাদ নিচ্ছে । চায়ের হোম ডেলিভারি বললে ভুল হবে না ৷

রায়গঞ্জের নেতাজি সুভাষ রোডে চায়ের দোকান ছিল বাবু পালের । লকডাউন শুরু হওয়ায় দোকান বন্ধ করতে হয়েছে । সঞ্চয়ে যেটুকু অর্থ ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে । এদিকে আবার সন্তানের দশ মাস বয়স । তার খাবার কিনতে টাকা লাগবে । একইসঙ্গে নিজেদের জন্য দুবেলার খাবার জোগাড় করতে পারছিলেন না । আর এই সময়েই বাবুর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল । চায়ের হোম ডেলিভারি । সেইমতো শুরু করলেন কাজ ।

প্রথমদিকে পয়সা না থাকায় বন্ধুর থেকে 50 টাকা ধার নেন । তারপর সেই টাকা দিয়ে এক প্যাকটে দুধ, একশো গ্রাম চা ও 25টি কাগজের গ্লাস কিনে আনেন । তারপর চা তৈরি করে ফ্লাক্সে নিয়ে পরিচিত খদ্দেরদের ফোন করে পৌঁছে যেতেন তাঁদের বাড়ি । দিয়ে আসতেন চা । প্রথমে খদ্দেরের চাহিদাটা কম ছিল । কিন্তু বাবু পালের চা বিক্রির খবরটা চাউর হতেই ক্রমশ খদ্দেরের সংখ্যা বাড়ল । সকালে যে মুদি ও সবজি দোকানদাররা দোকান খোলে তাঁরাও বাবুকে ফোন করে চায়ের অর্ডার দিতে লাগল । বাবুও সেইমতো সাইকেলে করে চা নিয়ে পৌঁছে যেতেন ।

দিন পাঁচেক হল এই ব্যবস্থা শুরু করেছে বাবু । কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁর চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে আগে যেখানে এক ফ্লাস্ক চা নিয়ে বেরোলেই হত, এখন তা তিন ফ্লাস্ক হয়েছে । কখনও কখনও আবার, শেষ হয়ে গেলে ফের বাড়ি গিয়ে তৈরি করে চা দিতে বেরোন বাবু । দিনে এখন প্রায় দেড়শো কাপ চা বিক্রি করেন । তাঁর এই উদ্যোগে রায়গঞ্জের বাসিন্দারা একদিকে খুশি । অন্যদিকে সংসারের অভাব খানিকটা দূর হওয়ায় খুশি বাবুও ।

Last Updated : Apr 17, 2020, 10:43 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.