রায়গঞ্জ, 12 জুন : প্রেমের সম্পর্ক মানতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা । তাই যুবতিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করল প্রেমিকের পরিবার । এমনই অভিযোগ তুলল যুবতির পরিবার । উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের ঘটনা । গতকাল গুরুতর জখম অবস্থায় যুবতিকে দলুয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভরতি করে প্রতিবেশীরা । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চোপড়ার বাখরাবাদ এলাকার যুবতি মাইরাম খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মেজর আলমের । তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি আলমের পরিবার । দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিয়ের বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছিল না তারা । মাইরামের পরিবারের অভিযোগ, তিনদিন আগে মেজর আলমের পরিবার তাদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করে । দাবি অনুযায়ী টাকাও দিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু তারপরেও মাইরামকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি । গতরাতে আলম তাকে তাদের বাড়িতে চলে আসতে বলে । সেই অনুযায়ী মাইরাম আলমের বাড়ি যায় । কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকেই যুবতির উপর অত্যাচার শুরু করে দেয় আলমের ভাই- বোন এবং বাবা- মা । বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ । শেষমেষ বাড়ির কাছে বাঁশ বাগানে থাকা একটি গর্তের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা । তারআগে যুবতির ওড়না দিয়ে তার গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ । আওয়াজ পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয় । তার পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশে । পুলিশ এসে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ।
এবিষয়ে মাইরাম বলে, আমাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায় মেজর আলম । সেই হিসেবে আমি সেখানে চলে যাই । তারপর থেকেই ওর বাবা-মা-ভাই-বোন, দাদা সবাই আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে । প্রায় মেরে ফেলার চেষ্টা করে তারা । পরে আমাকে সামনের একটি গর্তে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় । আমি অচৈতন্য ছিলাম তাই কে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে তা আমার জানা নেই ।
যুবতির বাবার শের আলি বলেন, "আমার মেয়েকে এইভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে । বহুদিন ধরেই বিয়ে নিয়ে মেজর আলমের বাবা মারা নানান ধরনের টালবাহানা করছিল। গতকাল তাকে বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলে। সে বাড়িতে যেতেই তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে আমি দোষীদের শাস্তি কামনা করছি ।"