ETV Bharat / state

জৈব পদ্ধতিতে চাষ, 60 রকমের ধান ফলিয়ে নজির চাষিদের

ভারতবর্ষের অন্যতম ধান উৎপাদনকারী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ । কিন্তু ইদানিং চাহিদা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন বাড়াতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে । যার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যানসার ৷ বাড়ছে সুগার ও রক্তচাপ । এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের কয়েকজন চাষি ।

ছবি
author img

By

Published : Nov 16, 2019, 1:26 AM IST

Updated : Nov 16, 2019, 1:37 AM IST

রায়গঞ্জ, 16 নভেম্বর : প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে দূষণ ৷ তবে চাষের কাজে জৈব সারের ব্যবহার হলে কিছুটা হলেও দূষণ কমবে, এমনটাই মত কৃষি বিশেষজ্ঞদের । এই পদ্ধতিতে চাষ করছেন উত্তর দিনাজপুরের কয়েকজন চাষি । নিজেদের জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে প্রায় 60 রকম প্রজাতির ধান ফলিয়ে নজির গড়েছেন রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘির চাষিরা ।

ভারতবর্ষের অন্যতম ধান উৎপাদনকারী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ । কিন্তু ইদানিং চাহিদা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন বাড়াতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের প্রবণতা বেড়েছে । যার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে দুরারোগ্য ক্যানসার ৷ সুগার ও ব্লাড প্রেশারের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে । এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের কয়েকজন চাষি ।

গোচনা, গোবর, গাছের পাতা পচিয়ে তা সার রূপে ব্যবহার করে প্রায় 60 রকমের ধান চাষ করে নজির সৃষ্টি করেছেন এই চাষিরা । মূলত, ভট্টদিঘিতে প্রায় 100 বিঘা জমিতে এই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করছেন তাঁরা । ভরতপুর, নয়াপাড়া, সাহাপুর, বিন্দোল, সিজগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকাতেও সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে । উৎপাদিত হচ্ছে গোবিন্দভোগ, রাধাতিলক, তুলাইপঞ্জি, পারিজাত, কেরালা সুন্দরী, কালোজিরা, জয় প্রকাশ, লাল বাসমতী, বহুরূপী, মনিপুরী চখাও, জসোয়া সহ বিভিন্ন প্রকারের ধান ।

চাষি টিপু মণ্ডল বলেন, "দীর্ঘ 10 বছর ধরে এই জৈব চাষের সঙ্গে কাজ করছি আমরা । আমাদের লক্ষ্য, সম্পূর্ণ রাসায়নিক সার বাদ দিয়ে শুধুমাত্র জৈব সার প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানো । সেই সঙ্গে চাষের এই পদ্ধতির মাধ্যমে খুব স্বল্প খরচে উৎপাদন সম্ভব ।"

এই অভিনব পদ্ধতিকে গ্রহণ করতে আগ্রহী বহু চাষি । এই জৈব পদ্ধতিতে কীভাবে ধান চাষ করা হচ্ছে তা শিখতে ভট্টদিঘি আসেন মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকের প্রায় 40 জন চাষি । মালদার বামনডোলা ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা মানবেন্দ্র কুমার সাহা জানান, জৈব পদ্ধতিতে চাষের কাজ শেখার জন্য মালদা থেকে এসেছেন বহু চাষি । নিজেদের এলাকাতে এই পদ্ধতিতে চাষ করে পরিবেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করার কথাও জানান তিনি ।

রায়গঞ্জ, 16 নভেম্বর : প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে দূষণ ৷ তবে চাষের কাজে জৈব সারের ব্যবহার হলে কিছুটা হলেও দূষণ কমবে, এমনটাই মত কৃষি বিশেষজ্ঞদের । এই পদ্ধতিতে চাষ করছেন উত্তর দিনাজপুরের কয়েকজন চাষি । নিজেদের জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে প্রায় 60 রকম প্রজাতির ধান ফলিয়ে নজির গড়েছেন রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘির চাষিরা ।

ভারতবর্ষের অন্যতম ধান উৎপাদনকারী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ । কিন্তু ইদানিং চাহিদা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন বাড়াতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের প্রবণতা বেড়েছে । যার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে দুরারোগ্য ক্যানসার ৷ সুগার ও ব্লাড প্রেশারের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে । এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের কয়েকজন চাষি ।

গোচনা, গোবর, গাছের পাতা পচিয়ে তা সার রূপে ব্যবহার করে প্রায় 60 রকমের ধান চাষ করে নজির সৃষ্টি করেছেন এই চাষিরা । মূলত, ভট্টদিঘিতে প্রায় 100 বিঘা জমিতে এই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করছেন তাঁরা । ভরতপুর, নয়াপাড়া, সাহাপুর, বিন্দোল, সিজগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকাতেও সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে । উৎপাদিত হচ্ছে গোবিন্দভোগ, রাধাতিলক, তুলাইপঞ্জি, পারিজাত, কেরালা সুন্দরী, কালোজিরা, জয় প্রকাশ, লাল বাসমতী, বহুরূপী, মনিপুরী চখাও, জসোয়া সহ বিভিন্ন প্রকারের ধান ।

চাষি টিপু মণ্ডল বলেন, "দীর্ঘ 10 বছর ধরে এই জৈব চাষের সঙ্গে কাজ করছি আমরা । আমাদের লক্ষ্য, সম্পূর্ণ রাসায়নিক সার বাদ দিয়ে শুধুমাত্র জৈব সার প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানো । সেই সঙ্গে চাষের এই পদ্ধতির মাধ্যমে খুব স্বল্প খরচে উৎপাদন সম্ভব ।"

এই অভিনব পদ্ধতিকে গ্রহণ করতে আগ্রহী বহু চাষি । এই জৈব পদ্ধতিতে কীভাবে ধান চাষ করা হচ্ছে তা শিখতে ভট্টদিঘি আসেন মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকের প্রায় 40 জন চাষি । মালদার বামনডোলা ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা মানবেন্দ্র কুমার সাহা জানান, জৈব পদ্ধতিতে চাষের কাজ শেখার জন্য মালদা থেকে এসেছেন বহু চাষি । নিজেদের এলাকাতে এই পদ্ধতিতে চাষ করে পরিবেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করার কথাও জানান তিনি ।

Intro:রায়গঞ্জ, ১১ নভেম্বর, প্রসুন মৈত্র: পৃথিবীর এক তৃতিয়াংশ মানুষ অন্নভোজী। অন্নভোগ বলতেই চাল যা তৈরি হয় ধান থেকে। ভারতবর্ষের অন্যতম ধান উৎপাদিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ধানের উৎপাদন বাড়াতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে যা মানুষের শরীরে বিষের সমান কাজ করছে। শরীরে বাসা বাঁধছে দুরারোগ্য ক্যান্সার থেকে সুগার, ব্লাড প্রেশার। এমনকি বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলস্তর নেমে যাওয়ার অন্যতম কারন রাসায়নিকের ব্যাবহার। আর তা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে চাষে জৈব সারের ব্যাবহার। আর এই কাজটাই করে দেখাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বেশকিছু চাষী। নিজেদের জমিতে জৈব সার ব্যাবহার করে ষাট রকম প্রজাতির ধান ফলিয়ে অনন্য নজির গড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রামপঞ্চায়েতের ভট্টদীঘির চাষীরা।

পরিবেশ বান্ধব চাষ অর্থাৎ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে তাক লাগিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কিছু চাষী। গোচনা, গোবর, গাছের পাতা পচিয়ে তা সার রূপে ব্যবহার করে প্রায় ষাঠ রকমের ধান চাষ করে প্রচুর ফলনের নজির সৃষ্টি করেছে এই কৃষকেরা। মূলত ভট্টদিঘী তে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে এই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা ছাড়াও ভরতপুর, নয়াপাড়া, সাহাপুর, বিন্দোল, বুড়িডাঙ্গী, শীজগ্রাম এলাকাতেও সম্পূর্ন রাসায়নিক বিহীন ভাবে ধান চাষ করা হচ্ছে। গোবিন্দভোগ, রাধাতীলক, তুলাইপাঞ্জী, পারিজাত, তুলসীমুকুল, কেরালা সুন্দরী, কালোজিরা, জয় প্রকাশ, লাল বাসমতী, বহুরূপী, মনিপুরী চখাও, যসোয়া সহ বিভিন্ন প্রকারের ধান চাষ করা হচ্ছে।

মূলত দুরারোগ্য ব্যাধী ক্যন্সার, ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন প্রকারের রোগ ছড়াচ্ছে এই রাসায়নিক সার থেকে। এমনকি বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলস্তর নেমে যাওয়ার পেছনেও পরোক্ষ ভাবে প্রভাব রয়েছে রাসায়নিক সারের। এমনটাই দাবি করেছেন কৃষকদের পক্ষে টিপু মন্ডল। তিনি বলেন দীর্ঘ দশ বছর ধরে এই জৈব চাষের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন । তাদের লক্ষ্য হল সম্পূর্ন রাসায়নিক সার বাদ দিয়ে শুধুমাত্র জৈব সার প্রয়োগ করে সব ফলন ঘটানো। এবং এই চাষ করে অল্প খরচে ফলন ঘটানো সম্ভব বলে দাবী করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য এদিন মালদা জেলার বামনগোলা ব্লক থেকে প্রায় ৪০ জন চাষী এই জৈব পদ্ধতিতে চাষ কীভাবে ধান করা হচ্ছে এবং এই পদ্ধতি শেখার জন্য ভট্টদিঘীতে আসে। মানবেন্দ্র কুমার সাহা বলেন তারা এই পরিবেশ বান্ধব চাষ দেখে শেখার জন্য মালদা জেলা থেকে এসেছেন এবং নিজেদের এলাকাতে এই পদ্ধতিতে চাষ করে পরিবেশ ও মানবজাতী উভয়কেই বাঁচানোর চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বাইট : মানবেন্দু কুমার সিনহা ( সহ কৃষি অধিকর্তা, বামনডোলা ব্লক)
বাইট : কানাইলাল সিল ( কৃষক)
বাইট : টিপু মন্ডলBody:AbcdConclusion:Abcd
Last Updated : Nov 16, 2019, 1:37 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.