বারাসত, 31 মে : লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য ৷ ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে যুবকের পেটে ছুরি মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার সদর শহর বারাসতে ৷ আক্রান্ত রবীন্দ্র সাউয়ের পেটের ক্ষতে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর আপাতত ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে ৷ তবে,পরবর্তীতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও অধরা হামলাকারীরা ৷ প্রশ্নের মুখে বারাসতের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ৷
আরও পড়ুন : মহিলাকে কোপ মেরে চম্পট দিল অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক
পুলিশ সূত্রে খবর, বারাসতের বাণীকণ্ঠ নগরে একটি মোবাইলের দোকান রয়েছে রবীন্দ্র সাউয়ের ৷ রবিবার রাতে সেখান থেকেই সাইকেলে করে বিজয়নগর এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন বছর ত্রিশের ওই যুবক ৷ লকডাউন পরিস্থিতিতে রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা ৷ রবীন্দ্রর অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে ঘিরে ধরে চার দুষ্কৃতী ৷ প্রত্যেকের মুখই গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল ৷ ফলে দুষ্কৃতীদের চেনা সম্ভব হয়নি রবীন্দ্রর পক্ষে ৷ তারা রবীন্দ্রর পকেটে থাকা মোবাইল এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ৷ বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি ৷ এরপরই দুষ্কৃতীরা রবীন্দ্রর পেটে ছুরি মারে বলে অভিযোগ ৷
রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন রবীন্দ্র ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সেখান থেকে চম্পট দেয় হামলাকারীরা ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওক্রমে বাড়িতে পৌঁছে গোটা ঘটনাটি পরিবারকে জানান আক্রান্ত যুবক ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখান থেকে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা ৷ সেইমতো ওই যুবককে নিয়ে আসা হয় বারাসতের এক বেসরকারি হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর পেটের ক্ষতে সেলাই করে দেন চিকিৎসকরা ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয় ৷
এই বিষয়ে আক্রান্ত যুবক রবীন্দ্র সাউ বলেন, ‘‘এর আগে কখনও এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হয়নি ৷ যা ঘটল রবিবার রাতে, তা ভয়ঙ্কর ৷ দুষ্কৃতীরা দু-তিনবার আমার পেটে ছুরি মারে ৷ তবে আমি বাধা দেওয়ায় পকেটে থাকা মোবাইল ও টাকা-পয়সা নিতে পারেনি ওরা ৷’’
আরও পড়ুন : জগদ্দলে দুষ্কৃতী হামলা, বন্দুক ও ইটের ঘায়ে জখম 6
আক্রান্ত যুবকের ভাই রঞ্জিত সাউ বলেন, ‘‘বাণীকণ্ঠ নগরের ওই জায়গাটি এমনিতেই নির্জন ৷ রাতের অন্ধকারে প্রায়ই ওখানে দুষ্কৃতীরা বসে মদ, গাঁজা খায় ৷ ফাঁকা রাস্তায় দাদাকে দেখেই ওরা পথ আটকায় ৷ চেষ্টা করে ছিনতাইয়ের ৷ পুলিশের কাছে অভিযোগ করলাম ৷ আমরা চাই, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷ যাতে এই ধরনের ঘটনা আর কারও সঙ্গে না ঘটে ৷’’
সোমবার সকালে পুলিশের দ্বারস্থ হয় আক্রান্ত যুবকের পরিবার ৷ অভিযোগ দায়ের করা হয় বারাসত থানায় ৷ তবে, ঘটনার বেশ কয়েক ঘন্টা পরও অধরা হামলাকারীরা ৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে বারাসত থানার পুলিশ ৷