ETV Bharat / state

পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে যুবতি ও যুবককে বেঁধে মারধর, কেটে দেওয়া হল চুল - deganga news update

দিন কয়েক আগে ওই যুবতি পাশের গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন । সেখানে তাঁর সঙ্গে ওই যুবককে কথা বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে দু'জনকেই ধরে নিয়ে আসেন । তারপর গ্রামে বসে সালিশি সভা । সভায় সিদ্ধান্ত হয় 40 হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে । অভিযোগ, সেই টাকা দিতে না পারায় শাস্তি হিসেবে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে দু'জনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় ।

torture
author img

By

Published : Nov 3, 2019, 11:50 PM IST

দেগঙ্গা , 3 নভেম্বর : পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে এক যুবতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ চুলও কেটে দেওয়া হল তাঁর ৷ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার চাকলা রায়কোলা গ্রামের ঘটনা । আজ বিকেলে যুবতির স্বামী-সহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, যুবতির সঙ্গে পাড়ার এক যুবকের পরিচয় ছিল । বিষয়টি নিয়ে পরিবারে অশান্তি হয় । যুবতির সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । দিন কয়েক আগে ওই যুবতি পাশের গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন । সেখানে তাঁর সঙ্গে ওই যুবককে কথা বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে দু'জনকেই ধরে নিয়ে আসেন । তারপর গ্রামে বসে সালিশি সভা । সভায় সিদ্ধান্ত হয় 40 হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে । অভিযোগ, সেই টাকা দিতে না পারায় শাস্তি হিসেবে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে দু'জনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় । শনিবার বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কেউ । তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । রবিবার বিকেলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ যুবতির স্বামী-সহ আরও ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ।

অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে অপমানে ওই যুবতি বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না । ওই যুবতির বাবার বাড়ির অভিযোগ, কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে ৷ তবু সেদিন তাঁকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থানে যায়নি পুলিশ । উলটে ওই যুবতি ও যুবককে মারতে মারতে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় । খবর পেয়ে ওই যুবতির বাবার বাড়ির লোকজন ফাঁড়ি থেকে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান । যুবতির বাবা বলেন, "সেদিন পুলিশ তো কোনও সাহায্য করেনি, বরং হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ৷ বলেছিল, এই নিয়ে অশান্তি করে লাভ হবে না । মেয়েকে বাড়ি নিয়ে রাখুন । সেই ভয়ে পরে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতে সাহস পাইনি ।"

দেগঙ্গা , 3 নভেম্বর : পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে এক যুবতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ চুলও কেটে দেওয়া হল তাঁর ৷ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার চাকলা রায়কোলা গ্রামের ঘটনা । আজ বিকেলে যুবতির স্বামী-সহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, যুবতির সঙ্গে পাড়ার এক যুবকের পরিচয় ছিল । বিষয়টি নিয়ে পরিবারে অশান্তি হয় । যুবতির সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । দিন কয়েক আগে ওই যুবতি পাশের গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন । সেখানে তাঁর সঙ্গে ওই যুবককে কথা বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে দু'জনকেই ধরে নিয়ে আসেন । তারপর গ্রামে বসে সালিশি সভা । সভায় সিদ্ধান্ত হয় 40 হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে । অভিযোগ, সেই টাকা দিতে না পারায় শাস্তি হিসেবে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে দু'জনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় । শনিবার বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কেউ । তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । রবিবার বিকেলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ যুবতির স্বামী-সহ আরও ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ।

অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে অপমানে ওই যুবতি বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না । ওই যুবতির বাবার বাড়ির অভিযোগ, কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে ৷ তবু সেদিন তাঁকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থানে যায়নি পুলিশ । উলটে ওই যুবতি ও যুবককে মারতে মারতে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় । খবর পেয়ে ওই যুবতির বাবার বাড়ির লোকজন ফাঁড়ি থেকে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান । যুবতির বাবা বলেন, "সেদিন পুলিশ তো কোনও সাহায্য করেনি, বরং হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ৷ বলেছিল, এই নিয়ে অশান্তি করে লাভ হবে না । মেয়েকে বাড়ি নিয়ে রাখুন । সেই ভয়ে পরে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতে সাহস পাইনি ।"

Intro:পরকীয়া সন্দেহে বধূ ও এক যুবকে বেঁধে চুল কেটে দেওয়া হল

দেগঙ্গাঃ সন্দেহ স্ত্রীর সঙ্গে পরপুরুষের সম্পর্ক আছে। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে স্ত্রী ও তাঁর সঙ্গী যুবকের হাত বেঁধে মাথার চুল কেটে দেওয়া হল। সঙ্গে ছিল মারধরও। মধ্যযুগীয় অনুশাসনের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার চাকলা রায়কোলা গ্রামে। ঘটনায় রবিবার বিকেলে স্বামী-সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর সঙ্গে কমবেশি আলাপ ছিল পাড়ার এক যুবকের। তা নিয়েই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সন্দেহ। দিন কয়েক আগে ওই বধূ পাশের গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সাথে ওই যুবককে কথা বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে আসেন। তারপর গ্রামে বসে সালিশি সভা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেই টাকা দিতে না-পারায় শাস্তি হিসেবে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে দু'জনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। শনিবার তা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ পোস্ট করেন। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রবিবার বিকেলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।

ঘটনার পর থেকে অপমানে ওই যুবতী ও তাঁর পরিবার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতে পারছেন না। ওই যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও সেদিন তাঁদের উদ্ধার করতে পুলিশ যায়নি। মারতে মারতে তাঁদের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই যুবতীর বাপের বাড়ির লোকেরা ফাঁড়ি থেকে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। যুবতীর বাবা ইজারাইল হক তরফদার জানান, সেদিন পুলিশ তো কোনও সাহায্য করেইনি। বরং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, এই নিয়ে আর ঝামেলা করে লাভ হবে না। মেয়েক বাড়ি নিয়ে রাখুন। সেই ভয়ে আর পুলিশের কাছে যেতে সাহস পাইনি।
বর্তমানে ওই যুবতীর পরিবার কার্যত একঘরে হয়ে রয়েছে।Body:পরকীয়া সন্দেহে বধূ ও এক যুবকে বেঁধে চুল কেটে দেওয়া হল

দেগঙ্গাঃ সন্দেহ স্ত্রীর সঙ্গে পরপুরুষের সম্পর্ক আছে। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে স্ত্রী ও তাঁর সঙ্গী যুবকের হাত বেঁধে মাথার চুল কেটে দেওয়া হল। সঙ্গে ছিল মারধরও। মধ্যযুগীয় অনুশাসনের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার চাকলা রায়কোলা গ্রামে। ঘটনায় রবিবার বিকেলে স্বামী-সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর সঙ্গে কমবেশি আলাপ ছিল পাড়ার এক যুবকের। তা নিয়েই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সন্দেহ। দিন কয়েক আগে ওই বধূ পাশের গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সাথে ওই যুবককে কথা বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে আসেন। তারপর গ্রামে বসে সালিশি সভা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেই টাকা দিতে না-পারায় শাস্তি হিসেবে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে দু'জনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। শনিবার তা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ পোস্ট করেন। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রবিবার বিকেলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।

ঘটনার পর থেকে অপমানে ওই যুবতী ও তাঁর পরিবার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতে পারছেন না। ওই যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও সেদিন তাঁদের উদ্ধার করতে পুলিশ যায়নি। মারতে মারতে তাঁদের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই যুবতীর বাপের বাড়ির লোকেরা ফাঁড়ি থেকে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। যুবতীর বাবা ইজারাইল হক তরফদার জানান, সেদিন পুলিশ তো কোনও সাহায্য করেইনি। বরং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, এই নিয়ে আর ঝামেলা করে লাভ হবে না। মেয়েক বাড়ি নিয়ে রাখুন। সেই ভয়ে আর পুলিশের কাছে যেতে সাহস পাইনি।
বর্তমানে ওই যুবতীর পরিবার কার্যত একঘরে হয়ে রয়েছে।Conclusion:পরকীয়া সন্দেহে বধূ ও এক যুবকে বেঁধে চুল কেটে দেওয়া হল

দেগঙ্গাঃ সন্দেহ স্ত্রীর সঙ্গে পরপুরুষের সম্পর্ক আছে। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে স্ত্রী ও তাঁর সঙ্গী যুবকের হাত বেঁধে মাথার চুল কেটে দেওয়া হল। সঙ্গে ছিল মারধরও। মধ্যযুগীয় অনুশাসনের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার চাকলা রায়কোলা গ্রামে। ঘটনায় রবিবার বিকেলে স্বামী-সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর সঙ্গে কমবেশি আলাপ ছিল পাড়ার এক যুবকের। তা নিয়েই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সন্দেহ। দিন কয়েক আগে ওই বধূ পাশের গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সাথে ওই যুবককে কথা বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে আসেন। তারপর গ্রামে বসে সালিশি সভা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেই টাকা দিতে না-পারায় শাস্তি হিসেবে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে দু'জনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। শনিবার তা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ পোস্ট করেন। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রবিবার বিকেলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।

ঘটনার পর থেকে অপমানে ওই যুবতী ও তাঁর পরিবার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতে পারছেন না। ওই যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও সেদিন তাঁদের উদ্ধার করতে পুলিশ যায়নি। মারতে মারতে তাঁদের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই যুবতীর বাপের বাড়ির লোকেরা ফাঁড়ি থেকে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। যুবতীর বাবা ইজারাইল হক তরফদার জানান, সেদিন পুলিশ তো কোনও সাহায্য করেইনি। বরং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, এই নিয়ে আর ঝামেলা করে লাভ হবে না। মেয়েক বাড়ি নিয়ে রাখুন। সেই ভয়ে আর পুলিশের কাছে যেতে সাহস পাইনি।
বর্তমানে ওই যুবতীর পরিবার কার্যত একঘরে হয়ে রয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.