দেগঙ্গা , 3 নভেম্বর : পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে এক যুবতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ চুলও কেটে দেওয়া হল তাঁর ৷ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার চাকলা রায়কোলা গ্রামের ঘটনা । আজ বিকেলে যুবতির স্বামী-সহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যুবতির সঙ্গে পাড়ার এক যুবকের পরিচয় ছিল । বিষয়টি নিয়ে পরিবারে অশান্তি হয় । যুবতির সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । দিন কয়েক আগে ওই যুবতি পাশের গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন । সেখানে তাঁর সঙ্গে ওই যুবককে কথা বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে দু'জনকেই ধরে নিয়ে আসেন । তারপর গ্রামে বসে সালিশি সভা । সভায় সিদ্ধান্ত হয় 40 হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে । অভিযোগ, সেই টাকা দিতে না পারায় শাস্তি হিসেবে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে দু'জনের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় । শনিবার বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কেউ । তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । রবিবার বিকেলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ যুবতির স্বামী-সহ আরও ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ।
অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে অপমানে ওই যুবতি বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না । ওই যুবতির বাবার বাড়ির অভিযোগ, কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে ৷ তবু সেদিন তাঁকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থানে যায়নি পুলিশ । উলটে ওই যুবতি ও যুবককে মারতে মারতে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় । খবর পেয়ে ওই যুবতির বাবার বাড়ির লোকজন ফাঁড়ি থেকে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান । যুবতির বাবা বলেন, "সেদিন পুলিশ তো কোনও সাহায্য করেনি, বরং হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ৷ বলেছিল, এই নিয়ে অশান্তি করে লাভ হবে না । মেয়েকে বাড়ি নিয়ে রাখুন । সেই ভয়ে পরে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতে সাহস পাইনি ।"