ETV Bharat / state

স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের খবরের জেরে আসছে সাহায্য, কিছুটা স্বস্তি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে - Euthanasia

অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছিল গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে ৷ বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেন গার্গী ৷ এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অনেকেই ৷

গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Aug 18, 2019, 10:03 AM IST

Updated : Aug 18, 2019, 11:20 AM IST

বারাসত, 18 অগাস্ট : চোখে-মুখে কিছুটা হলেও স্বস্তির ছাপ ৷ গলায় কৃতজ্ঞতা ৷ সংবাদমাধ্যমে তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন অনেকেই ৷ দেখা করলেন গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর অশীতিপর বাবা-মায়ের সঙ্গে ৷ আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি খাবার দিয়ে এসেছেন ৷ ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ।

নামের পাশে রয়েছে Ph.D ডিগ্রি ৷ একটা চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন ৷ কিন্তু, চাকরি পাননি ৷ বাবা কমলবাবু ও মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সীমিত সঞ্চয়ের ভাঁড়ারও শূন্য হয়ে যায় ৷ ফলে গত চার মাস ধরে কোনওদিন অনাহারে, কোনওদিন অর্ধাহারে দিন কাটাতে থাকেন গার্গীরা । চিকিৎসাটুকুও পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা-মা ৷ বাধ্য হয়ে সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে চিঠি লেখেন গার্গী ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : Ph.D করেও চাকরি পাননি, বাবা-মা সহ স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মহিলার

গতকাল এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ৷ এরপর সকাল থেকেই বারাসত সত্যভারতী স্কুলের পাশে প্রতিমা অ্যাপার্টমেন্টে গার্গীদের ফ্ল্যাটে হাজির হন অনেকে ৷ কেউ এসেছেন চারু মার্কেট থেকে, কেউ আবার বারাসত থেকেই ৷ এমনই একজন অর্পিতা ধর ৷ পুনে থেকে বারাসতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছেন তিনি৷ গার্গীদের অসহায় মুখ, বাঁচার আকুতি দেখে বসে থাকতে পারেননি ৷ দেখা করেন তাঁদের সঙ্গে ৷ আর্থিক সাহায্যও করেন ৷ এগিয়ে আসে রানাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ৷ গার্গীদের সাহায্য পাঠানো হয়েছে একটি গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফেও ৷ গার্গীর অশীতিপর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী দাস । অসহায় পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্যও করেছেন । তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত নবপল্লি কাঁঠালতলা দুর্গাপুজো কমিটি । পুজোর বাজেট কাটছাঁট করে গার্গীদের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন কমিটির কর্ণধার তোতন চক্রবর্তী, বাচ্চু দাস, তাপস দাসরা ৷ আসতে না পারলেও ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অনেকে ৷ জেলা প্রশাসনের তরফেও গার্গীদের ফ্ল্যাটে পাঠানো হয়েছে প্রতিনিধি ৷ ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ এনিয়ে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, "আমরা ওই পরিবারের কাছে আজই লোক পাঠিয়েছি । আশা করছি, কিছু করতে পারব ।" বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়ও সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ আগামীকাল তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন গার্গী ৷

ভিডিয়োয় শুনুন গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়sর বক্তব্য

এভাবে সাধারণ মানুষ তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসায় আপ্লুত গার্গী ও তাঁর পরিবার ৷ কৃতজ্ঞ অসংখ্য অপরিচিত মুখেদের কাছে ৷ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদের ৷ গার্গী বলেন, "আমি কৃতজ্ঞ ৷ সাহায্যের জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷ অনেক সাড়া পেয়েছি ৷ আমি জানি না, কীভাবে তাঁদের ঋণ শোধ করব ! ভগবানের কাছে প্রার্থনা, সকলের ভালো হোক ৷" সবাই যা সাহায্য করেছেন, তাতে তাঁদের চার মাস চলে যাবে বলে জানান গার্গী ৷ তাঁর আশা, আর্থিক সাহায্য থেকে বাবা-মায়ের চিকিৎসাও কিছুটা হবে ৷ আর রয়েছেন একটি চাকরির আশায় ৷ আর যাঁর সৌজন্যে গার্গীদের এই অসহায়তার খবর সামনে এসেছিল, সেই শ্যামল সরকার বলেন, "সকাল থেকেই অনেক মানুষ এসেছেন । সাহায্য করেছেন । এর থেকে আরও একবার প্রমাণ হল, মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায়নি ।" সত্যিই ! কথাটা সবথেকে বেশি উপলব্ধি করছেন গার্গীরাই ৷

বারাসত, 18 অগাস্ট : চোখে-মুখে কিছুটা হলেও স্বস্তির ছাপ ৷ গলায় কৃতজ্ঞতা ৷ সংবাদমাধ্যমে তাঁদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন অনেকেই ৷ দেখা করলেন গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর অশীতিপর বাবা-মায়ের সঙ্গে ৷ আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি খাবার দিয়ে এসেছেন ৷ ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ।

নামের পাশে রয়েছে Ph.D ডিগ্রি ৷ একটা চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন ৷ কিন্তু, চাকরি পাননি ৷ বাবা কমলবাবু ও মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সীমিত সঞ্চয়ের ভাঁড়ারও শূন্য হয়ে যায় ৷ ফলে গত চার মাস ধরে কোনওদিন অনাহারে, কোনওদিন অর্ধাহারে দিন কাটাতে থাকেন গার্গীরা । চিকিৎসাটুকুও পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা-মা ৷ বাধ্য হয়ে সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে চিঠি লেখেন গার্গী ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : Ph.D করেও চাকরি পাননি, বাবা-মা সহ স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মহিলার

গতকাল এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ৷ এরপর সকাল থেকেই বারাসত সত্যভারতী স্কুলের পাশে প্রতিমা অ্যাপার্টমেন্টে গার্গীদের ফ্ল্যাটে হাজির হন অনেকে ৷ কেউ এসেছেন চারু মার্কেট থেকে, কেউ আবার বারাসত থেকেই ৷ এমনই একজন অর্পিতা ধর ৷ পুনে থেকে বারাসতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছেন তিনি৷ গার্গীদের অসহায় মুখ, বাঁচার আকুতি দেখে বসে থাকতে পারেননি ৷ দেখা করেন তাঁদের সঙ্গে ৷ আর্থিক সাহায্যও করেন ৷ এগিয়ে আসে রানাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ৷ গার্গীদের সাহায্য পাঠানো হয়েছে একটি গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফেও ৷ গার্গীর অশীতিপর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী দাস । অসহায় পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্যও করেছেন । তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত নবপল্লি কাঁঠালতলা দুর্গাপুজো কমিটি । পুজোর বাজেট কাটছাঁট করে গার্গীদের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন কমিটির কর্ণধার তোতন চক্রবর্তী, বাচ্চু দাস, তাপস দাসরা ৷ আসতে না পারলেও ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অনেকে ৷ জেলা প্রশাসনের তরফেও গার্গীদের ফ্ল্যাটে পাঠানো হয়েছে প্রতিনিধি ৷ ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ এনিয়ে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, "আমরা ওই পরিবারের কাছে আজই লোক পাঠিয়েছি । আশা করছি, কিছু করতে পারব ।" বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়ও সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ আগামীকাল তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন গার্গী ৷

ভিডিয়োয় শুনুন গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়sর বক্তব্য

এভাবে সাধারণ মানুষ তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসায় আপ্লুত গার্গী ও তাঁর পরিবার ৷ কৃতজ্ঞ অসংখ্য অপরিচিত মুখেদের কাছে ৷ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদের ৷ গার্গী বলেন, "আমি কৃতজ্ঞ ৷ সাহায্যের জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷ অনেক সাড়া পেয়েছি ৷ আমি জানি না, কীভাবে তাঁদের ঋণ শোধ করব ! ভগবানের কাছে প্রার্থনা, সকলের ভালো হোক ৷" সবাই যা সাহায্য করেছেন, তাতে তাঁদের চার মাস চলে যাবে বলে জানান গার্গী ৷ তাঁর আশা, আর্থিক সাহায্য থেকে বাবা-মায়ের চিকিৎসাও কিছুটা হবে ৷ আর রয়েছেন একটি চাকরির আশায় ৷ আর যাঁর সৌজন্যে গার্গীদের এই অসহায়তার খবর সামনে এসেছিল, সেই শ্যামল সরকার বলেন, "সকাল থেকেই অনেক মানুষ এসেছেন । সাহায্য করেছেন । এর থেকে আরও একবার প্রমাণ হল, মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায়নি ।" সত্যিই ! কথাটা সবথেকে বেশি উপলব্ধি করছেন গার্গীরাই ৷

Intro:ইটিভি ভারতের খবরের জের, কপাল খুলল গার্গীর

বারাসতঃ বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা পিএইচডি গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপাল খুলল। ইটিভি ভারতে তাঁর স্বেচ্ছামৃত্যুর খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে ও সংগঠন সহ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। গার্গী ও তাঁর বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ কমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে দেখা করে অার্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি প্রচুর খাবার দিয়ে গেছেন অনেকেই। সকলেই এমন একটা অসহায় পরিবারের পাশে থাকতে পেরে আপ্লুত হয়েছেন। ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি এবং তাঁদের মেয়ে গার্গী জানিয়েছেন, এই ভাবে সাধারণ মানুষ যাঁদের আমরা চিনি না, তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন।গার্গী বলেন, এদিন যা খাবার দিয়েছেন তাতে প্রায় চার মাসের জন্য নিশ্চিত। তা ছাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকা সাহায্য পেয়েছি। ভাতের মুখ না দেখাটা সম্ভবত এবার ঘুচল। অনেকেই আমায় একটা কাজের ব্যাবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেখা যাক কী হয়।একটা কাজের ব্যাবস্থা হলে আমাদের একটা হিল্লে হয়।

অসহায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত নবপল্লি কাঁঠালতলা দুর্গাপুজো কমিটি। পূজো কমিটির কর্ণধার তোতন চক্রবর্তী, বাচ্চু দাস, তাপস দাসরা জানান, তাঁদের এই বছরের দুর্গাপূজার বাজেট কাটছাঁট করে তাঁরা এই পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে মনস্থির করেছেন।

গত বছর দেড়েক ধরে টানা এক প্রকার দু মুঠো ভাতের জন্য হা-পিত্যেস করতে হয়েছিল কমলবাবু, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে।প্রতিবেশী শ্যামল সরকার ছাড়া তেমন কেউই পাশে ছিলেন না। শুক্রবারেও ভাতের জন্য প্রতিবেশী শ্যামলের কাছে এসে বসেছিলেন গার্গী। কিন্তু শনিবার ছবিটা ছিল অন্য রকম। এদিন সকালের পর বারাসত সহ কলকাতার টালিগঞ্জ চারু মার্কেট থেকে এক ব্যাবসায়ী সহ রানাঘাটের হিউম্যানিটি নামে একটা সংগঠন থেকে প্রচুর মানুষ ব্যাক্তিগত ভাবে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের সাথে দেখা করেছেন।কলকাতার নাম করা সোনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অঞ্জলি জুয়েলার্সের পক্ষ থেকেও এদিন তাঁদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।এদিন বৃদ্ধ দম্পতির সাথে দেখা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী দাস।তিনিও অসহায় পরিবারকে অার্থিক সাহায্য করেছেন। পুনে থেকে বারাসতের এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন অর্পিতা ধর।অসহায় পরিবারের দুর্দশার কথা জানতে পেরে তিনিও বৃদ্ধ দম্পতির সাথে দেখা করে অার্থিক সাহায্য করেছেন। অনেকেই দিনভর ফোন করে তাঁদের সাথে কথা বলেছেন। সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখার্জিও তাঁদের সব রকমের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিবেশী শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, এদিন প্রচুর মানুষ সকাল থেকেই এসেছেন।সাহায্য করেছেন।এর থেকে আরও একবার প্রমাণ হল, মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায়নি। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেছেন, আমরা ওই পরিবারের কাছে আজই লোক পাঠিয়েছি। আশা করছি, কিছু করতে পারব।Body:ইটিভি ভারতের খবরের জের, কপাল খুলল গার্গীর

বারাসতঃ বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা পিএইচডি গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপাল খুলল। ইটিভি ভারতে তাঁর স্বেচ্ছামৃত্যুর খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে ও সংগঠন সহ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। গার্গী ও তাঁর বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ কমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে দেখা করে অার্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি প্রচুর খাবার দিয়ে গেছেন অনেকেই। সকলেই এমন একটা অসহায় পরিবারের পাশে থাকতে পেরে আপ্লুত হয়েছেন। ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি এবং তাঁদের মেয়ে গার্গী জানিয়েছেন, এই ভাবে সাধারণ মানুষ যাঁদের আমরা চিনি না, তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন।গার্গী বলেন, এদিন যা খাবার দিয়েছেন তাতে প্রায় চার মাসের জন্য নিশ্চিত। তা ছাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকা সাহায্য পেয়েছি। ভাতের মুখ না দেখাটা সম্ভবত এবার ঘুচল। অনেকেই আমায় একটা কাজের ব্যাবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেখা যাক কী হয়।একটা কাজের ব্যাবস্থা হলে আমাদের একটা হিল্লে হয়।

অসহায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত নবপল্লি কাঁঠালতলা দুর্গাপুজো কমিটি। পূজো কমিটির কর্ণধার তোতন চক্রবর্তী, বাচ্চু দাস, তাপস দাসরা জানান, তাঁদের এই বছরের দুর্গাপূজার বাজেট কাটছাঁট করে তাঁরা এই পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে মনস্থির করেছেন।

গত বছর দেড়েক ধরে টানা এক প্রকার দু মুঠো ভাতের জন্য হা-পিত্যেস করতে হয়েছিল কমলবাবু, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে।প্রতিবেশী শ্যামল সরকার ছাড়া তেমন কেউই পাশে ছিলেন না। শুক্রবারেও ভাতের জন্য প্রতিবেশী শ্যামলের কাছে এসে বসেছিলেন গার্গী। কিন্তু শনিবার ছবিটা ছিল অন্য রকম। এদিন সকালের পর বারাসত সহ কলকাতার টালিগঞ্জ চারু মার্কেট থেকে এক ব্যাবসায়ী সহ রানাঘাটের হিউম্যানিটি নামে একটা সংগঠন থেকে প্রচুর মানুষ ব্যাক্তিগত ভাবে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের সাথে দেখা করেছেন।কলকাতার নাম করা সোনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অঞ্জলি জুয়েলার্সের পক্ষ থেকেও এদিন তাঁদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।এদিন বৃদ্ধ দম্পতির সাথে দেখা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী দাস।তিনিও অসহায় পরিবারকে অার্থিক সাহায্য করেছেন। পুনে থেকে বারাসতের এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন অর্পিতা ধর।অসহায় পরিবারের দুর্দশার কথা জানতে পেরে তিনিও বৃদ্ধ দম্পতির সাথে দেখা করে অার্থিক সাহায্য করেছেন। অনেকেই দিনভর ফোন করে তাঁদের সাথে কথা বলেছেন। সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখার্জিও তাঁদের সব রকমের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিবেশী শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, এদিন প্রচুর মানুষ সকাল থেকেই এসেছেন।সাহায্য করেছেন।এর থেকে আরও একবার প্রমাণ হল, মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায়নি। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেছেন, আমরা ওই পরিবারের কাছে আজই লোক পাঠিয়েছি। আশা করছি, কিছু করতে পারব।Conclusion:ইটিভি ভারতের খবরের জের, কপাল খুলল গার্গীর

বারাসতঃ বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা পিএইচডি গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপাল খুলল। ইটিভি ভারতে তাঁর স্বেচ্ছামৃত্যুর খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে ও সংগঠন সহ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। গার্গী ও তাঁর বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ কমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে দেখা করে অার্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি প্রচুর খাবার দিয়ে গেছেন অনেকেই। সকলেই এমন একটা অসহায় পরিবারের পাশে থাকতে পেরে আপ্লুত হয়েছেন। ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অসহায় বৃদ্ধ দম্পতি এবং তাঁদের মেয়ে গার্গী জানিয়েছেন, এই ভাবে সাধারণ মানুষ যাঁদের আমরা চিনি না, তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন।গার্গী বলেন, এদিন যা খাবার দিয়েছেন তাতে প্রায় চার মাসের জন্য নিশ্চিত। তা ছাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকা সাহায্য পেয়েছি। ভাতের মুখ না দেখাটা সম্ভবত এবার ঘুচল। অনেকেই আমায় একটা কাজের ব্যাবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেখা যাক কী হয়।একটা কাজের ব্যাবস্থা হলে আমাদের একটা হিল্লে হয়।

অসহায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত নবপল্লি কাঁঠালতলা দুর্গাপুজো কমিটি। পূজো কমিটির কর্ণধার তোতন চক্রবর্তী, বাচ্চু দাস, তাপস দাসরা জানান, তাঁদের এই বছরের দুর্গাপূজার বাজেট কাটছাঁট করে তাঁরা এই পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে মনস্থির করেছেন।

গত বছর দেড়েক ধরে টানা এক প্রকার দু মুঠো ভাতের জন্য হা-পিত্যেস করতে হয়েছিল কমলবাবু, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে।প্রতিবেশী শ্যামল সরকার ছাড়া তেমন কেউই পাশে ছিলেন না। শুক্রবারেও ভাতের জন্য প্রতিবেশী শ্যামলের কাছে এসে বসেছিলেন গার্গী। কিন্তু শনিবার ছবিটা ছিল অন্য রকম। এদিন সকালের পর বারাসত সহ কলকাতার টালিগঞ্জ চারু মার্কেট থেকে এক ব্যাবসায়ী সহ রানাঘাটের হিউম্যানিটি নামে একটা সংগঠন থেকে প্রচুর মানুষ ব্যাক্তিগত ভাবে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের সাথে দেখা করেছেন।কলকাতার নাম করা সোনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অঞ্জলি জুয়েলার্সের পক্ষ থেকেও এদিন তাঁদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।এদিন বৃদ্ধ দম্পতির সাথে দেখা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী দাস।তিনিও অসহায় পরিবারকে অার্থিক সাহায্য করেছেন। পুনে থেকে বারাসতের এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন অর্পিতা ধর।অসহায় পরিবারের দুর্দশার কথা জানতে পেরে তিনিও বৃদ্ধ দম্পতির সাথে দেখা করে অার্থিক সাহায্য করেছেন। অনেকেই দিনভর ফোন করে তাঁদের সাথে কথা বলেছেন। সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখার্জিও তাঁদের সব রকমের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিবেশী শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, এদিন প্রচুর মানুষ সকাল থেকেই এসেছেন।সাহায্য করেছেন।এর থেকে আরও একবার প্রমাণ হল, মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায়নি। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেছেন, আমরা ওই পরিবারের কাছে আজই লোক পাঠিয়েছি। আশা করছি, কিছু করতে পারব।
Last Updated : Aug 18, 2019, 11:20 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.