দেগঙ্গা, 14 এপ্রিল: দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে দেগঙ্গার যুবকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন নিহত কুতুবউদ্দিনের স্ত্রী রুমা বিবি । বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, "তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পিছনে দেগঙ্গা থানার ওসি-সহ তিন পুলিশকর্মী দায়ী । তাঁদের বেধড়ক মারধরের জেরেই কুতুবউদ্দিন পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়েন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর (Deganga Death Case) ৷"
লিখিত অভিযোগে নিহতের স্ত্রী আরও দাবি করেছেন,"তাঁর স্বামী কুতুবউদ্দিন নিরপরাধ হওয়া সত্বেও পুলিশ জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে দেগঙ্গা থানায়। সেখানে তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়। টাকা দিতে না পারার কারণে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ কুতুবউদ্দিনকে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালতের নির্দেশ মেনে । দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকাকালীন সে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে । পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি "। এই ঘটনারই বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে এদিন বারাসত জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নিহত কুতুবউদ্দিনের স্ত্রী রুমা বিবি।
জানা গিয়েছে, কুতুবউদ্দিনের বাড়ি দেগঙ্গার খরুয়া চাঁদপুর এলাকায়। স্ত্রী ও তাঁর ছয় বছরের একটি ছেলে এবং চার মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে । মূলত চাষাবাদ ও জোগাড়ের কাজ করেই সংসার নির্বাহ করতেন তিনি ৷ এলাকায় নিরীহ মানুষ হিসেবেই পরিচিত।
আরও পড়ুন : সেপটিক ট্যাঙ্কের মোটর মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট, দেগঙ্গায় মৃত্যু যুবকের
11 এপ্রিল কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কুতুবউদ্দিন । স্বামীর মৃত্যুর পিছনে ওসি-সহ যে তিন পুলিশকর্মীর নাম জড়িয়েছে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও করেছেন রুমা বিবি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই কুতুবউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । মারধরের অভিযোগও ভিত্তিহীন। বিষয়টি নিয়ে বারাসত জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"এমন কোনও অভিযোগের কথা আমার জানা নেই। সাধারণত সংশোধনাগার কিংবা পুলিশ হেফাজতে কারোর মৃত্যু হলে নিয়ম মেনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয় । তবে, এক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তারপরই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব ।"