গাইঘাটা, 20 সেপ্টেম্বর : 13 বছর আগে বনগাঁ থানার ঢাকা পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় গাইঘাটা থানার গাঁতি এলাকার বাসিন্দা স্বপ্না হালদারের ৷ তাদের একটি 11 বছরের ছেলেও রয়েছে ৷ বেশ কয়েকবছর ধরেই অশান্তি লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ৷ তার জেরেই সঞ্জয় বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজে চলে যান একসময় ৷ শুক্রবার সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর ফের অশান্তি শুরু হয় দুজনের মধ্যে ৷ এর ফলে সেদিনই স্বপ্না বাপের বাড়ি চলে যান ৷
স্বপ্না বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার পরের দিনই সঞ্জয়কে ফোন করে শ্বশুরবাড়িতে ডাকেন শাশুড়ি লক্ষ্মী হালদার ৷ এরপর রবিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে সঞ্জয়ের (42) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷
সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে অভিযোগ, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ স্বপ্নার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে ৷ যার জন্য সঞ্জয়ের সঙ্গে ঝামেলা লেগেই থাকত স্বপ্নার ৷ অহেতুক কারণে স্বামীকে গালিগালাজ করত সে ৷ এদিন নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্বপ্না ও তার মা মিলে সঞ্জয়কে খুন করেছে ৷
রবিবার এই বিষয়ে গাইঘাটা থানায় সঞ্জয়ের দাদা প্রদীপ সরকার সঞ্জয়ের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, শালা ও তার বউয়ের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । এই ঘটনায় সঞ্জয়ের স্ত্রী স্বপ্না সরকার ও শাশুড়ি লক্ষ্মী হালদারকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা পুলিশ । সোমবার তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয় । অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন সঞ্জয়ের দাদা ও বৌদি ।
আরও পড়ুন : Deganga Gang Rape : পুলিশের জালে দেগঙ্গা গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত