ঠাকুরনগর, 12 ফেব্রুয়ারি : বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সাংবাদিক বৈঠক শেষ করার একঘণ্টার মধ্যে পালটা সাংবাদিক বৈঠক করলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও । সেখানে সরাসরি বললেন, "বিশ্বজিৎবাবু তৃণমূলের ছল খুঁজছেন । তাই সাংবাদিক বৈঠক করে নানা কথা বলছেন ।"
বৃহস্পতিবার অমিত শাহ ঠাকুরনগরে সভা করেন । সেখানে সভাস্থানে যাওয়ার সময় নিরাপত্তারক্ষীরা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে প্রথমে আটকে দেন । অতিথি তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। পরে অবশ্য তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। মঞ্চেও তিনি বসেছিলেন। কিন্তু 'অসম্মানিত' বিশ্বজিৎ শুক্রবার গোপালনগরের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তার জবাবে শান্তনু বলেন, "বিশ্বজিৎবাবু কেন আমার বিরুদ্ধে বলছেন, জানি না। তিনি কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আমার মনে হচ্ছে উনি (বিশ্বজিৎ) তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। তাই, তিনি এখন যে কোনও একটা ছল খুঁজছেন। আমার বিরুদ্ধে কেউ তাঁকে প্ররেচিতও করতে পারেন।"
বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, শান্তনু মতুয়াদের ব্যবহার করে দলকে ব্ল্যাকমেল করছেন। তার জবাবে শান্তনু বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিষয় কথা বলেছেন। তারপরও তা নিয়ে প্রশ্ন করার মানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অসম্মান করা। আমি বলব, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর এসব বলা মনে দলকে ব্ল্যাকমেল করা। বিশ্বজিৎবাবুই দলকে ব্ল্যাকমেল করছেন।"
আরও পড়ুন : শান্তনুর গোঁসা ভাঙাতে জেলা কমিটি ভাঙল বিজেপি
বিশ্বজিৎ বলেছেন, শান্তনু নিজের বাবাকে সম্মান করেন না। সেই মন্তব্যের জবাবে শান্তনু বলেন, "বিশ্বজিৎবাবু ঠাকুরবাড়ির সংস্কৃতি জানেন না। আমি বাবাকে সম্মান করি কি না, সে ব্যাপারে আপনারা আমার বাবার সঙ্গে কথা বলুন।"
শান্তনুর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বলেন, "আমার ছেলে আমাকে কখনও অসম্মান করেনি। মঞ্চে আমাকে মতুয়া সেবাইত বলে পরিচিতি দিয়েছে। সেটা মোটেও অসম্মান করা নয়।" বনগাঁয় বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কের বেনজির দ্বন্দ্বে বিরোধী দলগুলোর হাসি চওড়া হচ্ছে।