দত্তপুকুর, 27 অগস্ট: বেআইনি বাজি কারখানা বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ একই সঙ্গে, রবিবার রাতে ঘটনাস্থল ঘুরেও দেখেন তিনি ৷ কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও ৷ রাজ্যপালের সামনে স্থানীয়রা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বলে খবর ৷ এরপরই স্থানীয় জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল ৷ পাশাপাশি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে রাজ্যপাল এদিন বলেন, "এত মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ৷"
নীলগঞ্জে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা কানে আসতেই রবিবার রাতে দমদম বিমানবন্দর থেকে সোজা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনভয় এসে পৌঁছয় দত্তপুকুরের বিস্ফোরণস্থলে। এদিন রাত 8টা 10 মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যপাল। কনভয়ের গাড়ি না-ঢোকায় কিছুটা রাস্তা পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয় রাজ্যপাল আনন্দ বোসকে। বিস্ফোরণস্থলে এসে গোটা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। সেখানেই উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করতেও দেখা যায় তাঁকে। প্রায় 15 মিনিট বিস্ফোরণস্থলে ছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এরপর বেরনোর সময় স্থানীয়দের ক্ষোভের কথাও শুনতে দেখা যায় রাজ্যপালকে ৷
আরও পড়ুন: সস্তার চাইনিজ মশলা ও তা ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণেই হচ্ছে বিস্ফোরণ, মত গোয়েন্দাদের
এদিন এলাকাবাসীর দাবি মতো পাশের একটি বাজি কারখানা সামনে গিয়েও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস । সেখানে রাজ্যপালকে স্থানীয়রাই ব্যারিকেড করে নিয়ে যান। তবে রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে খুশি এলাকার লোকজন। স্থানীয়দের বক্তব্য, উনি আরও আগে এলে অনেক কিছু বুঝতে পারতেন। কীভাবে এখানে শাসকদলের ইন্ধনে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানা চলছে তা নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বলেন, "এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বেদনাদায়ক ৷ আটটি মূল্যবান প্রাণ ঝড়ে গেল ৷ অত্যন্ত দুঃখের ৷" ঘটনার খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থেকে তড়িঘড়ি তিনি দত্তপুকুরে এসে পৌঁছেছেন বলেও জানান রাজ্যপাল ৷ সবমিলিয়ে প্রায় 25 মিনিট এদিন বিস্ফোরণস্থল ও তার সন্নিহিত এলাকায় ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এরপর তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে ৷