ETV Bharat / state

জ্বরের রোগী মরল কেন? হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর - habra

ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর করে রোগীর পরিবারের সদস্যরা । ঘটনাটি হাবরা হাসপাতালের ।

চিকিৎসককে মার
author img

By

Published : Aug 1, 2019, 7:36 PM IST

হাবরা, 1 অগাস্ট : রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হাবড়া হাসপাতালে । অভিযোগ, ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর করে রোগীর পরিবারের সদস্যরা । পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, ঘটনাস্থানে গিয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় ৷ তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । মৃতের নাম লক্ষ্মী রাহা (56) । হামলাকারীদের তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে হাবরা থানার পুলিশ ।


হাবরা জয়গাছি সপ্তপল্লির বাসিন্দা লক্ষ্মী রাহা গত চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন । স্থানীয় এক ডাক্তারকে দেখান তিনি ৷ সেখানে তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষা হয় । মঙ্গলবার সকালে জ্বর, পায়খানা ও বমি নিয়ে হাবরা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় লক্ষ্মীদেবীর । এরপরই মৃত লক্ষ্মীদেবীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় । পুলিশ প্রথম দফায় সেই গোলমাল মিটিয়েও দেয় ।

এরপর বিকেল তিনটে নাগাদ ফের মৃতের আত্মীয় ও পাড়ার লোকেরা দল বেঁধে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল ইসলামকে মারধর করে । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থান গিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে । এদিকে ধৃতদের না ছাড়লে মৃতদেহ না নেওয়ার হুমকি দেয় পরিবারের লোকজন । এরপর মুচলেকা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় ধৃতদের ছেড়ে দেয় পুলিশ ৷

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল সকালে লক্ষ্মীদেবী ভালো ছিলেন । হঠাৎজ্বরে খিচুনি দিতে শুরু করেন । ডাক্তারকে ডাকলেও তিনি সময় মতো আসেননি । রোগীকে না দেখায় তাঁর মৃত্যু হয় । হাবরা হাসপাতালের আয়ারা চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করে রোগীর পরিবারের সদস্যরা ।

যদিও হাসপাতাল সুপার শংকরলাল ঘোষ বলেন, "চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ সত্যি নয় । কর্তব্যরত চিকিৎসক তখন রোগীর পাশেই ছিলেন । আমরা সব রোগীকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিই ।"

হাবরা, 1 অগাস্ট : রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হাবড়া হাসপাতালে । অভিযোগ, ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর করে রোগীর পরিবারের সদস্যরা । পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, ঘটনাস্থানে গিয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় ৷ তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । মৃতের নাম লক্ষ্মী রাহা (56) । হামলাকারীদের তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে হাবরা থানার পুলিশ ।


হাবরা জয়গাছি সপ্তপল্লির বাসিন্দা লক্ষ্মী রাহা গত চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন । স্থানীয় এক ডাক্তারকে দেখান তিনি ৷ সেখানে তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষা হয় । মঙ্গলবার সকালে জ্বর, পায়খানা ও বমি নিয়ে হাবরা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় লক্ষ্মীদেবীর । এরপরই মৃত লক্ষ্মীদেবীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় । পুলিশ প্রথম দফায় সেই গোলমাল মিটিয়েও দেয় ।

এরপর বিকেল তিনটে নাগাদ ফের মৃতের আত্মীয় ও পাড়ার লোকেরা দল বেঁধে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল ইসলামকে মারধর করে । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থান গিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে । এদিকে ধৃতদের না ছাড়লে মৃতদেহ না নেওয়ার হুমকি দেয় পরিবারের লোকজন । এরপর মুচলেকা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় ধৃতদের ছেড়ে দেয় পুলিশ ৷

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল সকালে লক্ষ্মীদেবী ভালো ছিলেন । হঠাৎজ্বরে খিচুনি দিতে শুরু করেন । ডাক্তারকে ডাকলেও তিনি সময় মতো আসেননি । রোগীকে না দেখায় তাঁর মৃত্যু হয় । হাবরা হাসপাতালের আয়ারা চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করে রোগীর পরিবারের সদস্যরা ।

যদিও হাসপাতাল সুপার শংকরলাল ঘোষ বলেন, "চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ সত্যি নয় । কর্তব্যরত চিকিৎসক তখন রোগীর পাশেই ছিলেন । আমরা সব রোগীকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিই ।"

Intro:জ্বরের রোগী মরল কেন, হাসপাতালে চিকিৎসককে মার, পুলিশের লাঠিচার্জ


হাবড়াঃ রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হাবড়া হাসপাতালে। ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

হাবড়া এলাকায় ডেঙ্গুর আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে হাবরা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
হাবড়া জয়গাছি সপ্তপল্লির বাসিন্দা লক্ষ্মী রাহা (56) গত চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। স্থানীয় এক ডাক্তারকে দেখান। সেখানেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জ্বর ও পায়খানা বমি নিয়ে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় লক্ষ্মীদেবীর। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বুধবার সকালে লক্ষ্মীদেবী ভালোই ছিলেন। হঠাৎ জ্বরে খিচুনি দিতে শুরু করেন লক্ষ্মীদেবী। ডাক্তারকে ডাকলে তিনি রোগীকে না দেখায় রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, হাবড়া হাসপাতালের আয়াদের চরম দুর্ব্যবহার। যদিও হাসপাতাল সুপার শংকরলাল ঘোষ বলেন, 'চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ সত্যি নয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তখন রোগীর পাশেই ছিলেন। আমরা সব রোগীকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিই।' মৃত লক্ষ্মীর পরিবারের লোকেরা সকালে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রথম দফায় সেই গোলমাল মিটিয়েও দেয়। বিকেল তিনটে নাগাদ ফের মৃতের আত্মীয় ও পাড়ার লোকেরা দল বেঁধে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আস্রাফুল ইযলামকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পালটা মার শুরু করে। হামলাকারীদের তিন জনকে গ্রেপ্তারও করেছে।Body:জ্বরের রোগী মরল কেন, হাসপাতালে চিকিৎসককে মার, পুলিশের লাঠিচার্জ


হাবড়াঃ রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হাবড়া হাসপাতালে। ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

হাবড়া এলাকায় ডেঙ্গুর আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে হাবরা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
হাবড়া জয়গাছি সপ্তপল্লির বাসিন্দা লক্ষ্মী রাহা (56) গত চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। স্থানীয় এক ডাক্তারকে দেখান। সেখানেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জ্বর ও পায়খানা বমি নিয়ে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় লক্ষ্মীদেবীর। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বুধবার সকালে লক্ষ্মীদেবী ভালোই ছিলেন। হঠাৎ জ্বরে খিচুনি দিতে শুরু করেন লক্ষ্মীদেবী। ডাক্তারকে ডাকলে তিনি রোগীকে না দেখায় রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, হাবড়া হাসপাতালের আয়াদের চরম দুর্ব্যবহার। যদিও হাসপাতাল সুপার শংকরলাল ঘোষ বলেন, 'চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ সত্যি নয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তখন রোগীর পাশেই ছিলেন। আমরা সব রোগীকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিই।' মৃত লক্ষ্মীর পরিবারের লোকেরা সকালে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রথম দফায় সেই গোলমাল মিটিয়েও দেয়। বিকেল তিনটে নাগাদ ফের মৃতের আত্মীয় ও পাড়ার লোকেরা দল বেঁধে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আস্রাফুল ইযলামকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পালটা মার শুরু করে। হামলাকারীদের তিন জনকে গ্রেপ্তারও করেছে।Conclusion:জ্বরের রোগী মরল কেন, হাসপাতালে চিকিৎসককে মার, পুলিশের লাঠিচার্জ


হাবড়াঃ রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হাবড়া হাসপাতালে। ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

হাবড়া এলাকায় ডেঙ্গুর আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে হাবরা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
হাবড়া জয়গাছি সপ্তপল্লির বাসিন্দা লক্ষ্মী রাহা (56) গত চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। স্থানীয় এক ডাক্তারকে দেখান। সেখানেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জ্বর ও পায়খানা বমি নিয়ে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় লক্ষ্মীদেবীর। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বুধবার সকালে লক্ষ্মীদেবী ভালোই ছিলেন। হঠাৎ জ্বরে খিচুনি দিতে শুরু করেন লক্ষ্মীদেবী। ডাক্তারকে ডাকলে তিনি রোগীকে না দেখায় রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, হাবড়া হাসপাতালের আয়াদের চরম দুর্ব্যবহার। যদিও হাসপাতাল সুপার শংকরলাল ঘোষ বলেন, 'চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ সত্যি নয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তখন রোগীর পাশেই ছিলেন। আমরা সব রোগীকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিই।' মৃত লক্ষ্মীর পরিবারের লোকেরা সকালে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ প্রথম দফায় সেই গোলমাল মিটিয়েও দেয়। বিকেল তিনটে নাগাদ ফের মৃতের আত্মীয় ও পাড়ার লোকেরা দল বেঁধে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আস্রাফুল ইযলামকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পালটা মার শুরু করে। হামলাকারীদের তিন জনকে গ্রেপ্তারও করেছে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.