বারাসত, 24 মার্চ: তৃণমূল ক্ষমতায় আছে ৷ তাই যা খুশি তাই করবেন ৷ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকায় ময়লা ফেলবেন ৷ কারও কিছু করার থাকলে করে নিক ! জঞ্জাল ফেলা নিয়ে তৃণমূল নেতার এমনই ফরমান ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক (Forced to Throw Municipal Garbage into Pond in Barasat) ৷ এই ঘটনায় বারাসত পৌরসভার জঞ্জাল বিভাগের পারিষদ সেখানে গেলে, তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয়রা ৷ উল্লেখ্য, বারাসত পৌর এলাকার জঞ্জাল গত একমাস ধরে পশ্চিম খিলকাপুর পঞ্চায়েতের চাটুরিয়া গ্রামের একটি পুকুরে ফেলা হচ্ছিল ৷ সেই জঞ্জাল ফেলা নিয়েই সমস্যার শুরু হয় ৷ আজ গ্রামবাসীরা জঞ্জালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান ৷
জানা গিয়েছে, বারাসত পৌরসভার জঞ্জাল সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে ৷ পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক আকার নিয়েছে যে প্রতি মূহূর্তে জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষকে ৷ কদম্বগাছির ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে ৷ তাই পশ্চিম খিলকাপুর পঞ্চায়েতের চাটুরিয়া গ্রামের একটি পুকুরে শহরের জঞ্জাল ফেলা হচ্ছিল গত একমাস ধরে ৷ কিন্তু, গ্রামের পরিবেশ দূষিত হতে থাকায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানান ৷ আন্দোলন শুরু করেন ৷ এই পরিস্থিতিতে ওই পুকুরে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়ে যায় ৷
কিন্তু, দু’দিন আগে গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য মহরম বিবির স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সাহাবুদ্দিন ফরমান জারি করেন ৷ তৃণমূল ক্ষমতা আছে ৷ তাই তিনি যা খুশি করবে ৷ তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ময়লা ফেলাবেন ৷ এই ফরমানের পরেরদিন থেকেই বারাসত পৌরসভার জঞ্জালের গাড়ি আবার পুকুরে আবর্জনা ফেলতে শুরু করে ৷ কিন্তু, আজ সকালে স্থানীয়রা ফের বিক্ষোভ দেখান ৷ জঞ্জালের গাড়ি আটকে দেন ৷ খবর পেয়ে পৌরসভার জঞ্জাল বিভাগের পারিষদ সৌমেন আচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৷ তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার প্রতাপনগরে
সৌমেন আচার্য জানিয়েছেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আধুনিকীরণের কারণে সেখানে আবর্জনা ফেলা যাচ্ছে না ৷ গ্রামবাসীরা না-চাইলে, তাঁরা সেখানে আবর্জনা ফেলবেও না ৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, ডাম্পিং গ্রাউন্ড আধুনিকীরণের জন্য বন্ধ থাকলে, তার বিকল্প কোনও জনবসতি এলাকা কীভাবে হতে পারে ? তাও আবার একটি পুকুর ! আবর্জনার ফলে পুকুর বুজে তো যাবেই ৷ উলটে পুকুরের জলে দূষণ বাড়বে ৷ পরিবেশের আবহাওয়ায় দূষণ বাড়বে ৷ অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতার ফরমানের জেরে গ্রামবাসীরা বড় আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷