গাইঘাটা, 26 মে : স্বাধীনতার পর থেকে পাকা রাস্তার দাবি জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট এলেই ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি মেলে ৷ কিন্তু শেষমেশ রাস্তা আর হয় না ৷ আর তাই নিজেরাই চাঁদা তুলে পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছেন বাসিন্দারা ৷ একজোট হয়েছেন পাশাপাশি তিনটি গ্রামের মানুষ ৷ উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটার ঘটনা ৷
গাইঘাটার খেজুরভিটা, তেঁতুলবেড়িয়া ও বিলচাতুড়িয়ায় প্রায় 10 হাজার মানুষের বাস ৷ দৈনন্দিন যাবতীয় কাজকর্মের জন্যই তাঁদের আসতে হয় পাঁচপোতায় ৷ নারায়ণপুর খালধার ধরে গ্রাম থেকে পাঁচপোতা বাজারের দূরত্ব প্রায় 2 কিলোমিটার ৷ কিন্তু গ্রাম থেকে নারায়ণপুর মেইন রোড পর্যন্ত 1 কিলোমিটার রাস্তা না থাকায়, গ্রামবাসীকে প্রায় 6-7 কিলোমিটার ঘুর পথে পাঁচপোতায় আসতে হয় ৷
তার উপর পাকা রাস্তা না থাকায় যাতায়াতও যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ৷ বর্ষার দিনে ভরসা করতে হয় নৌকার উপর ৷ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় গ্রামবাসীকে ৷ তাঁদের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে বারবার এলাকার জনপ্রতিনিধিদের এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ ভোটের আগে রাস্তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিললেও, সেই প্রতিশ্রুতি আজ পর্যন্ত পালন করেননি কেউ ৷
এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে যখন কার্যত লকডাউন ঘোষিত হয়েছে, ঠিক তখনই খেজুরভিটা, তেঁতুলবেড়িয়া ও বিলচাতুড়িয়ার বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছেন ৷ নারায়ণপুর খাল থেকে আর্থ মুভারের সাহায্যে মাটি তুলে 1 কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করছেন তারা ৷ ইতিমধ্যেই রাস্তার বেশিরভাগ অংশের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু টাকার অভাবে থমকে গিয়েছে বাকি অংশের কাজ ৷
আরও পড়ুন : পাকা রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট তপনের ছোটদেওরা গ্রামের ভোটারদের
গ্রামবাসীর বক্তব্য, বহুদিন ধরে বহুবার প্রশাসনকে জানালেও রাস্তা তৈরি করতে কেউ এগিয়ে আসেনি ৷ তাই নিজেরাই গ্রাম থেকে সাধ্য মতো চাঁদা তুলে রাস্তার বেশিরভাগ অংশ তৈরি করেছেন ৷ বাকি অসমাপ্ত কাজ করতে প্রশাসন তাদের সাহায্য করুক ৷