বারাসত, 28 জানুয়ারি: নাবালিকা অপহরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত শুভ দাসকে দু-বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতের ফাস্ট ট্রাক ফোর্থ কোর্টের বিচারক বৈষ্ণব সরকার এই সাজা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে বিচারক তাকে 10 হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও 6 মাসের সাজাও ঘোষাণা করেছেন। এই মামলায় অপর দুই অভিযুক্ত শুভ দাসের বাবা ও মাকে বুধবারই বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণের ঘটনাটি ঘটে 2014 সালের 31 ডিসেম্বর। ওইদিন অশোকনগরের শিবমন্দির গলির বাড়ি থেকে অসুস্থ মায়ের জন্য বিস্কুট আনতে বেরিয়েছিল নাবালিকা। তখনই এলাকার যুবক শুভ দাস জোর করে ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার পরও নাবালিকার কোনও সন্ধান মেলেনি। এরপর 2015 সালের 8 জানুয়ারি অশোকনগর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবকের বাড়ি থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুভ দাস ও তার বাবা এবং মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 363, 366(এ), IPC-র 120(বি)ধারায় মামলা রুজু হয় বলে জানায় পুলিশ।
এরপর থেকেই মামলাটি চলছিল বারাসত আদালতের ফাস্ট ট্রাক ফোর্থ কোর্টে। এই মামলায় মোট সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ ছ’বছর ধরে মামলাটি চলার পর বুধবার অভিযুক্ত শুভ দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসত আদালত। তবে,তথ্য প্রমাণের অভাবে অপর দুই অভিযুক্ত শুভ দাসের বাবা ও মাকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঠাকুরনগরে শাহের সভা, 2 লাখ জমায়েতের টার্গেট বিজেপির
এই মামলার সরকারি আইনজীবী সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন,"নাবালিকাকে শুধু অপহরণ করা হয়েছিল। কোনও নির্যাতন হয়নি তার সঙ্গে। সেই কারণে দোষী যুবককে দু'বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।"
এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী তীর্থঙ্কর পাল বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে অপহরণের কোনও বিষয় নেই। মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ছেলেটির। বিয়ের জন্য জোরাজুরিও করা হত তাকে। তা সত্ত্বেও ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছি।"