ETV Bharat / state

মধ্যমগ্রামে কোরোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে বারাসতের 2, রাখা হল কোয়ারান্টাইনে

কয়েকদিন আগেই কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে মধ্যমগ্রামের এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ৷ জানা যায় , 31 মার্চ বারাসতের একটি বেসরকারি ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানেই তাঁর সংস্পর্শে আসে দুই কর্মী ৷ তা জানার পর ওই বেসরকারি ল্যাবের দুই কর্মীকে বারাসতের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷

Corona
ছবিটির প্রতীকী
author img

By

Published : Apr 6, 2020, 8:02 PM IST

বারাসত , 6 এপ্রিল : মধ্যমগ্রামে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কোরোনা উপসর্গের যোগ এবার বারাসতেও । সূত্র মারফত জানা গেছে,ওই ব্যক্তি কোরোনার উপসর্গ নিয়ে 31 মার্চ বারাসতের 34 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক বেসরকারি ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন । সেদিন তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন ওই ল্যাবের দুই কর্মী । আর তা জানার পরই ওই বেসরকারি ল্যাবের দুই কর্মীকে বারাসতের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ জেলা পুলিশের তরফ থেকে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

এবিষয়ে বারাসত জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ,"যে দু'জনকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে , তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছে । তাঁর বাড়ি বারাসত পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডে । অপরজনের বাড়ি নিউ ব্যারাকপুরে । ল্যাবের ওই দুই কর্মীর সংস্পর্শে আর কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে । খোঁজ পাওয়া গেলে তাঁদেরকেও কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হবে ৷ " তবে , ওই বেসরকারি ল্যাবটি এখনও বন্ধ না করায় উদ্বেগ বেড়েছে এলাকার লোকজনের । এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ,"ওই বেসরকারি ল্যাব বন্ধ করা হবে কি না , সেটা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্যাপার । তাঁদের নির্দেশ পেলে তখনই আমরা বন্ধ করতে পারি ৷" এবিষয়ে উত্তর 24 পরগণার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন ,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে । তারপরই এবিষয়ে কিছু বলতে পারব ৷"

এদিকে , সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধির তোয়াক্কা না করেই বারাসতের কয়েকটি বেসরকারি ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ । কারুর জ্বর হলে কিংবা কাশি হলেই রক্ত পরীক্ষার জন্য বেসরকারি ল্যাবে গিয়ে ভিড় করছেন । আর রক্ত পরীক্ষার সময় তাঁরা সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধির নিয়ম কানুন মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে । ফলে কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে ৷ কিন্তু,বেসরকারি ল্যাব যদি নিয়ম ভঙ্গ করে , তা দেখার দায়িত্ব তো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ! তাঁদের নজরদারি কোথায় ? কী করছেন তাঁরা ? দেশের এই সংকটের সময় তাঁদের তো আরও বেশি সজাগ হওয়া উচিত ? এরকম নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে ।

অন্যদিকে , বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক তপন সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ,"এনিয়ে আমরা প্রায় সপ্তাহ দু'য়েক আগে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবের কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছিলাম । তখনই তাঁদের সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল । এরপরও যদি কেউ তা অমান্য করে আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব । এখন এই বিপদের সময় আমরা মানুষের সেবার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছি । আর তা করতে গিয়ে হয়তো বেসরকারি ল্যাবের দিকে ঠিকমতো নজর দেওয়া যাচ্ছে না । তবে,এবার আমরা সেদিকেও নজর দেব ৷ "

প্রসঙ্গত , কোরোনা সন্দেহে বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামের ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কলকাতার বেলেঘাটা ID হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।কিন্তু , সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার R G কর হাসপাতালে । সেখানেই দু'দিন ভরতি ছিলেন তিনি । এরপর,সেখান থেকেই ওই ব্যাক্তির সোয়ার টেস্টের নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয় । শনিবার রাতে , সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে বলে জানা যায় ।তারপরই দেরি না করে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ফের বেলেঘাটা ID হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানেই এখন চিকিৎসা চলছে তাঁর । হাসপাতাল সূত্রে খবর , ওই ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা হলেও স্থিতিশীল । তাঁর সংস্পর্শে আসা পরিবারের 6 জন ও 7 দলীয় কর্মীকে বারাসতের ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে । সেখানেই তাঁদের 14 দিন রাখা হবে । এর মধ্যে কোয়ারান্টাইনে থাকা প্রত্যেকের লালারসের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে ।

বারাসত , 6 এপ্রিল : মধ্যমগ্রামে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কোরোনা উপসর্গের যোগ এবার বারাসতেও । সূত্র মারফত জানা গেছে,ওই ব্যক্তি কোরোনার উপসর্গ নিয়ে 31 মার্চ বারাসতের 34 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক বেসরকারি ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন । সেদিন তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন ওই ল্যাবের দুই কর্মী । আর তা জানার পরই ওই বেসরকারি ল্যাবের দুই কর্মীকে বারাসতের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ জেলা পুলিশের তরফ থেকে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

এবিষয়ে বারাসত জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ,"যে দু'জনকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে , তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছে । তাঁর বাড়ি বারাসত পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডে । অপরজনের বাড়ি নিউ ব্যারাকপুরে । ল্যাবের ওই দুই কর্মীর সংস্পর্শে আর কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে । খোঁজ পাওয়া গেলে তাঁদেরকেও কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হবে ৷ " তবে , ওই বেসরকারি ল্যাবটি এখনও বন্ধ না করায় উদ্বেগ বেড়েছে এলাকার লোকজনের । এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ,"ওই বেসরকারি ল্যাব বন্ধ করা হবে কি না , সেটা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্যাপার । তাঁদের নির্দেশ পেলে তখনই আমরা বন্ধ করতে পারি ৷" এবিষয়ে উত্তর 24 পরগণার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন ,"বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে । তারপরই এবিষয়ে কিছু বলতে পারব ৷"

এদিকে , সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধির তোয়াক্কা না করেই বারাসতের কয়েকটি বেসরকারি ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ । কারুর জ্বর হলে কিংবা কাশি হলেই রক্ত পরীক্ষার জন্য বেসরকারি ল্যাবে গিয়ে ভিড় করছেন । আর রক্ত পরীক্ষার সময় তাঁরা সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধির নিয়ম কানুন মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে । ফলে কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে ৷ কিন্তু,বেসরকারি ল্যাব যদি নিয়ম ভঙ্গ করে , তা দেখার দায়িত্ব তো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ! তাঁদের নজরদারি কোথায় ? কী করছেন তাঁরা ? দেশের এই সংকটের সময় তাঁদের তো আরও বেশি সজাগ হওয়া উচিত ? এরকম নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে ।

অন্যদিকে , বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক তপন সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ,"এনিয়ে আমরা প্রায় সপ্তাহ দু'য়েক আগে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবের কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছিলাম । তখনই তাঁদের সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল । এরপরও যদি কেউ তা অমান্য করে আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব । এখন এই বিপদের সময় আমরা মানুষের সেবার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছি । আর তা করতে গিয়ে হয়তো বেসরকারি ল্যাবের দিকে ঠিকমতো নজর দেওয়া যাচ্ছে না । তবে,এবার আমরা সেদিকেও নজর দেব ৷ "

প্রসঙ্গত , কোরোনা সন্দেহে বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামের ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কলকাতার বেলেঘাটা ID হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।কিন্তু , সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার R G কর হাসপাতালে । সেখানেই দু'দিন ভরতি ছিলেন তিনি । এরপর,সেখান থেকেই ওই ব্যাক্তির সোয়ার টেস্টের নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয় । শনিবার রাতে , সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে বলে জানা যায় ।তারপরই দেরি না করে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ফের বেলেঘাটা ID হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানেই এখন চিকিৎসা চলছে তাঁর । হাসপাতাল সূত্রে খবর , ওই ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা হলেও স্থিতিশীল । তাঁর সংস্পর্শে আসা পরিবারের 6 জন ও 7 দলীয় কর্মীকে বারাসতের ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে । সেখানেই তাঁদের 14 দিন রাখা হবে । এর মধ্যে কোয়ারান্টাইনে থাকা প্রত্যেকের লালারসের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.