ETV Bharat / state

ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শনে বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক - তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘূর্ণিঝড় যশ এবং প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে বসিরহাট ও টাকি পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে । এদিন সেই সমস্ত এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় । ভরসা জোগাতে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি । সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন ।

ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শনে তৃণমূল বিধায়ক
ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শনে তৃণমূল বিধায়ক
author img

By

Published : May 27, 2021, 9:25 PM IST

Updated : May 27, 2021, 11:03 PM IST

27 মে, বসিরহাট: বৃহস্পতিবার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করে কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য চাইলেন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় । দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিধায়ক বেরিয়ে পড়েন ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করতে । এদিন প্রথমে তিনি যান বসিরহাটের ইটিন্ডা গ্রামের ভেঙে যাওয়া বাঁধের দশা খতিয়ে দেখতে । এরপর পানিতর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখেন ৷ নদীবাঁধ মেরামতের স্থায়ী সমাধানে কেন্দ্রের থেকে সাহায্য চান । সেই সঙ্গে সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার ।

ঘূর্ণিঝড় যশের সঙ্গে এবার দোসর ছিল পূর্ণিমার ভরা কোটালও । এর জেরে অস্থায়ী বাঁধগুলো ভাঙার আশঙ্কা আগেই করেছিলেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা । যশের দাপট এবং কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয় । বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, ইছামতি, বেতনী, কালিন্দী, ছোট কলাগাছি প্রভৃতি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একের পর এক গ্রাম । রেহাই পায়নি দোকানপাট, বাজার, সরকারি অফিস এমনকি আদালতও । সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সন্দেশখালি ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ এবং বসিরহাট ২ নম্বর ব্লক। বাড়িঘর হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ । ক্ষতি হয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি , মাছের ভেড়ি সহ যাবতীয় জিনিসপত্র । সবকিছু হারিয়ে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে । তবে, আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না সহায় সম্বলহীনদের । জলস্তর বাড়লেও পরিস্থিতি এরপর কি দাঁড়াবে তা ভেবেই শঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা ।

ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শনে তৃণমূল বিধায়ক

তারই মধ্যে এদিন ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করলেন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় । সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সরিফুল মণ্ডল, যুব তৃণমূল নেতা শাহানুর মণ্ডল সহ শাসকদলের অন্যান্য নেতারা । এবিষয়ে বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা ভেবেছিলাম ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বসিরহাট পৌর এলাকায়, কিন্তু তা হয়নি । যা ক্ষতি হয়েছে সেটা ভরা কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে । ইছামতি সহ বিভিন্ন নদীগুলো এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । তাই জীবনহানি ঠেকাতে আমরা বাসিন্দাদের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে রেখেছি । পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধগুলো মেরামত করে শক্তপোক্ত করার চেষ্টা চলছে । যাতে নতুন করে প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করা যায় নদীবাঁধগুলিকে । আমাদের কর্মীরা সবসময় এই বিপদে মানুষের পাশে রয়েছেন ৷"

এভাবে অস্থায়ী বাঁধ মেরামত করে আদৌও কি নদী বাঁধ রক্ষা করা যাবে, এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক বলেন, "নদীবাঁধ একটি সামগ্রিক সমস্যা । এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, যা পৌরসভা কিংবা স্থানীয় পঞ্চায়েতের একার পক্ষে সম্ভব নয় । সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে কেন্দ্রকেও ।’’ যদিও এই নিয়ে কেন্দ্র কখনই উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক ।

27 মে, বসিরহাট: বৃহস্পতিবার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করে কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য চাইলেন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় । দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিধায়ক বেরিয়ে পড়েন ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করতে । এদিন প্রথমে তিনি যান বসিরহাটের ইটিন্ডা গ্রামের ভেঙে যাওয়া বাঁধের দশা খতিয়ে দেখতে । এরপর পানিতর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখেন ৷ নদীবাঁধ মেরামতের স্থায়ী সমাধানে কেন্দ্রের থেকে সাহায্য চান । সেই সঙ্গে সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার ।

ঘূর্ণিঝড় যশের সঙ্গে এবার দোসর ছিল পূর্ণিমার ভরা কোটালও । এর জেরে অস্থায়ী বাঁধগুলো ভাঙার আশঙ্কা আগেই করেছিলেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা । যশের দাপট এবং কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয় । বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, ইছামতি, বেতনী, কালিন্দী, ছোট কলাগাছি প্রভৃতি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একের পর এক গ্রাম । রেহাই পায়নি দোকানপাট, বাজার, সরকারি অফিস এমনকি আদালতও । সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সন্দেশখালি ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ এবং বসিরহাট ২ নম্বর ব্লক। বাড়িঘর হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ । ক্ষতি হয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি , মাছের ভেড়ি সহ যাবতীয় জিনিসপত্র । সবকিছু হারিয়ে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে । তবে, আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না সহায় সম্বলহীনদের । জলস্তর বাড়লেও পরিস্থিতি এরপর কি দাঁড়াবে তা ভেবেই শঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা ।

ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শনে তৃণমূল বিধায়ক

তারই মধ্যে এদিন ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করলেন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় । সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সরিফুল মণ্ডল, যুব তৃণমূল নেতা শাহানুর মণ্ডল সহ শাসকদলের অন্যান্য নেতারা । এবিষয়ে বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা ভেবেছিলাম ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বসিরহাট পৌর এলাকায়, কিন্তু তা হয়নি । যা ক্ষতি হয়েছে সেটা ভরা কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে । ইছামতি সহ বিভিন্ন নদীগুলো এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । তাই জীবনহানি ঠেকাতে আমরা বাসিন্দাদের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে রেখেছি । পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধগুলো মেরামত করে শক্তপোক্ত করার চেষ্টা চলছে । যাতে নতুন করে প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করা যায় নদীবাঁধগুলিকে । আমাদের কর্মীরা সবসময় এই বিপদে মানুষের পাশে রয়েছেন ৷"

এভাবে অস্থায়ী বাঁধ মেরামত করে আদৌও কি নদী বাঁধ রক্ষা করা যাবে, এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক বলেন, "নদীবাঁধ একটি সামগ্রিক সমস্যা । এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, যা পৌরসভা কিংবা স্থানীয় পঞ্চায়েতের একার পক্ষে সম্ভব নয় । সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে কেন্দ্রকেও ।’’ যদিও এই নিয়ে কেন্দ্র কখনই উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক ।

Last Updated : May 27, 2021, 11:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.