জগদ্দল, 19 ফেব্রুয়ারি: আবারও জগদ্দলে শুটআউট ৷ দিনের বেলায় হামলা চলল তৃণমূল কর্মীর উপর। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী (TMC Worker injured in Shootout at Jagaddal) । আক্রান্ত কর্মীর নাম অশোক সাউ । তিনি ভাটপাড়ার 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি বলে জানা গিয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দল থানার পালঘাট রোড এলাকায় ।
জানা গিয়েছে, সকালে অশোক বাড়ির পাশের বাজারে গিয়েছিলেন । ফেরার সময় একটি চায়ের দোকানে ঢোকেন তিনি ৷ চা খাওয়ার সময়ই তাঁর উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ছয় রাউন্ড গুলি চালানোর পর একটি বোমা ফেলে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। একটি গুলি অশোকের পিঠ ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি । তাঁকে ভাটপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । ঘটনাস্থল থেকে একটি বোমা উদ্ধার করে জগদ্দল থানার পুলিশ ।
অশোক সাংবাদিকদের জানান, জেলের ভেতর থেকে তাঁর কাছে আগাম খবর ছিল, যে তাঁর উপরে হামলা হতে পারে । এলাকাতে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কায়েম করার লক্ষ্যে এই হামলা ৷ কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে মারার চেষ্টা করছেন বলে দাবি অশোকের। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান অশোক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, "অশোক আমাদের দলের একজন কর্মী ৷ এখনও সেখানে কমিটি গঠন করা হয়নি ৷ তিনি পুরনো কমিটির সদস্য । আমি মাননীয় পুলিশ কমিশনার সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করবেন। এখনই কোনও রাজনৈতিক অভিযোগ করছি না ৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখুক ৷ তারপরে এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করব।"
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং জানান, এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে । জেল থেকে বিভিন্ন কুখ্যাত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে । পুলিশ সেভাবে তাদের আটকাতে পারছে না । এটা পুলিশের ব্যাপার । এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে যাতে খুঁজে বার করা হয় তার জন্য তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান । তিনি বলেন, "এলাকায় দুষ্কৃতীদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে । তবে এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয় ।" জগদ্দল থানা পুলিশ সূত্রে ঘটনার কথা স্বীকার করলেও সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলতে চাইনি ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: জগদ্দলে ফের শুটআউট ! মৃত্যু যুবকের