নহাটা (উত্তর 24 পরগনা), 20 জানুয়ারি: দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি নিয়ে নিত্যদিন বাংলার কোনও না কোনও প্রান্তে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে ৷ শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হল না ৷ এবার বারাসতের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar) মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ কারণ, উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় গিয়ে তিনি কার্যত জানিয়ে দিয়েছেন যে তৃণমূলকে ভোট না দিলে উন্নয়নের কাজ হবে না ৷ পরে অবশ্য তিনি বিতর্ক এড়াতে জানান যে আসলে ওই কথাটি তিনি মজা করে বলেছিলেন ৷ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) না থাকলে যে বাংলার উন্নয়ন সম্ভব নয়, তিনি সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে কাকলির দাবি ৷
এদিন তিনি দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে হাজির হয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার ন’হাটা বাজারে ৷ সেখানেই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন ৷ তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন ৷ তার আগে অবশ্য ন’হাটা কৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দেন ৷ ন’হাটা বাজার এলাকাটি আসলে চৌবেড়িয়া-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৷ ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় 87 নম্বর মোড় এলাকার রাস্তার অবস্থা খারাপ ৷ ওই রাস্তা সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে ৷
কাকলি স্থানীয়দের থেকে জেনে নেন যে ওই এলাকায় পঞ্চায়েতের সদস্যের বিষয়ে ৷ কিন্তু সেখানে পঞ্চায়েতের সদস্য বিজেপির (BJP) জানার পর তিনি দাবি করেন যে সেই কারণেই এলাকায় উন্নয়ন হয়নি ৷ তখনই স্থানীয় বাসিন্দা সাবিত্রী দাস প্রতিবাদ করেন ৷ জানান, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেন ৷ তাহলে তাঁদের কী দোষ ? তাঁরা কেন ভালো রাস্তার পাবেন না ! এমন হলে তাঁরাও তৃণমূলকে ভোট দেবেন না ৷ উত্তরে কাকলিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কিছুই হবে না ৷’’
আর এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ যদিও কাকলি এই কথা বলার পর লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ রাজ্য় সরকারের একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন ৷ শেষে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় না থাকলে বাংলার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে ৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একই কথা বলেন ৷ মমতা না থাকলে বাংলার উন্নয়ন হবে না বলে আরও একবার দাবি করেন ৷ তবে ভোট না দিলে রাস্তা হবে না, এই বিষয়ে তাঁর মন্তব্য নিছক মজার ছলে করা বলেও তিনি দাবি করেন ৷ শেষে জানান, প্রত্য়েকের সমস্যা লিখে নেওয়া হয়েছে ৷ সব কাজই হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতিও দেন ৷
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর সামনেই হাতাহাতি ! দিদির সুরক্ষা কবচে ফের অশান্তি