বারাসত, 10 জুলাই : মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ৷ সদ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক ৷ তাঁকে অশিক্ষিত ও দাগী আসামি বলে দাবি করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার ৷ বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, দাগী আসামিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷
পেট্রোপণ্যের মৃল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বারাসতের রথতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি ৷ সেখানেই মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি ৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে দেবশ্রী চৌধুরীর বাদ পড়া প্রসঙ্গ টেনে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি এমন একটি দল যারা বাংলার মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না । বাংলা থেকে একমাত্র মহিলা হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় দেবশ্রী চৌধুরী ছিলেন । তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হল ৷ এই ঘটনার ধিক্কার জানাই ।’’
এরপরই নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা নিশীথ প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ তাঁকে দাগী আসামি বলেও নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ । পরে, সংবাদমাধ্যমের সামনে এর ব্যাখা দিতে গিয়ে কাকলি বলেন, ‘‘নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে রাজ্যে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে । রাজ্য সরকার বছর দুয়েক ধরে এই সমস্ত মামলার তদন্ত করছে । সেই সমস্ত মামলা থেকে আড়াল করতে এবং তাঁকে বাঁচাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে । তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছি আমরা ।’’
পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ভ্যাকসিন, বেকারত্ব সহ একাধিক ইস্যুতে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । তিনি বলেন, ‘‘পেট্রোপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের । করোনা অতিমারিতে গত দু'বছরে প্রায় 22 কোটি মানুষ রোজগার হারিয়েছেন । দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে । যে হারে বেকারত্ব বেড়েছে, তা স্বাধীনতার পর কোনও সরকারের আমলে হয়নি । দেশের মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না । অথচ, সেই ভ্যাকসিন বিদেশে বিক্রি করা হচ্ছে । করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ ।’’
আরও পড়ুন : Babake Bolo : ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে কিছুই বলার নেই, বলছে তৃণমূল !
ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ । গার্ডেনরিচ ও এসএসকেএমের নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘ঘটনার পরই পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয়েছে । গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্তরা । বাংলায় নারীদের সুরক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক পদক্ষেপ করেছেন । ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট যেমন চালু হয়েছে । তেমনই মহিলা থানার সংখ্যা বেড়েছে । ফলে নির্যাতনের শিকার হলেই মহিলারা নির্বিঘ্নে থানায় অভিযোগ করতে পারছেন ।’’
আজ তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়, পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অশনি মুখোপাধ্যায়, চম্পক দাস, অরুণ ভৌমিক সহ তৃণমূলের অন্য নেতারা হাজির ছিলেন ।