সন্দেশখালি, 7 জানুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড, তৃণমূলের 'বাহুবলী' নেতা শেখ শাহজাহান কোথায় ? এই প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে, ঠিক তখনই এনিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। রবিবার তিনি সন্দেশখালি থেকে দাবি করেন, "শেখ শাহজাহান পালানোর লোক নয় ৷ তিনি এলাকাতেই আছেন। ঘটনার পর শাহজাহান ভাই সম্মুখ সমরে আসছেন না ঠিকই। কিন্তু, তিনি শীঘ্রই সামনে আসবেন বলে বিশ্বাস করি।"
ইডির লুকআউট নোটিশ জারি প্রসঙ্গে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, "ইডি কিছু জানে না শেখ শাহজাহানের সম্পর্কে। উনি এলাকার একজন জননেতা। মাটিতে দাঁড়িয়ে উনি রাজনীতি করেন। হাওয়াই উঠে রাজনীতি করেন না। মানুষের পাশে থাকেন। তাই সাধারণ মানুষকে ছেড়ে উনি কোথাও পালিয়ে যাবেন না। ইডি যেটা বলছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। শুভেন্দু অধিকারীর কথায় এসব বলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই তো ইডির আচরণ। যে মানুষটি এলাকাতেই আছেন, তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সন্দেশখালির এই তৃণমূল বিধায়ক।
ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায় এদিন গ্রামের মহিলাদের উপরই চাপিয়েছেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। এই বিষয়ে তিনি বলেন, "ভোরবেলায় কারোর বাড়িতে তালা ভাঙতে গেলে এই ধরণের ঘটনায় তো ঘটবে ৷ গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কর্মীরা কেউই সেখানে ঝাণ্ডা হাতে যায়নি গণ্ডগোল করতে। ইডির উচিত ছিল আসার আগে শেখ শাহজাহানকে জানিয়ে। তাহলে তিনিও সহযোগিতা করতে পারতেন। পুলিশকে তাঁরা জানিয়ে আসছে না। যাঁদের কাঁধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁদেরকেই যদি অন্ধকারে রাখে তাহলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।"
এদিকে, শেখ শাহজাহানের অডিয়ো বার্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "উনি একজন দায়িত্ববান নেতা। তাই ঘটনার পর অডিয়ো বার্তা দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সংযম হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেটাই তিনি করে চলেছেন। বিজেপির এখানে কোনও অস্তিত্ব নেই। বাংলার রক্ষাকর্তা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।" অন্যদিকে, অন্তরালে থাকলেও শেখ শাহজাহান যে তাঁর আইনজীবী মারফত আইনি প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন সে কথাও এদিন উঠে এসেছে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর গলাতে।
আরও পড়ুন: