বাগদা, 16 জানুয়ারি: সোমবার উত্তর 24 পরগনার বাগদা বিধানসভায় (Bagdah Assembly) বাঁশঘাটা এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। সেখানে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এদিন বিশ্বজিৎ দাস বাঁশঘাটায় গেলে স্থানীয়রা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে তাঁকে বিভিন্ন অভাব অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। অভিযোগ শুনে তাঁদের সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।
তখনই বাঁশঘাটার রামপদ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, আপনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন। ভোটে জেতার পর আবার তৃণমূল চলে গিয়েছেন। আপনাকে অসুবিধার কথা কী করে বলব। প্রশ্ন শুনে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ে যান বিশ্বজিৎ দাস। এরপরই ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও পরবর্তীতে নিজেই পরিস্থিতি সামাল দেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রামপদ বলেন, "তিনি এবং এলাকার মানুষ সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।" বিশ্বজিৎ দাসের আশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিশ্বজিৎ দাস ভোটে জেতার পর তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। ওনাকে কী করে বিশ্বাস করব।" এ প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ দাস জানান, এলাকার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন পেয়েছেন ৷ ওই ব্যক্তিও পেয়েছেন। কিন্তু কিছু মানুষ থাকে বিরোধিতা করার জন্য। দল পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিধায়ক কোনও দলের হয় না।"
এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের প্রশ্ন যুক্তিযুক্ত বলে জানালেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষ সঠিক প্রশ্ন করেছেন।" এর জন্য মানুষকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগাদান করেছিলেন বিশ্বাজিৎ দাস। বিধানসভার নির্বাচনে বাগদায় বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়ে তিনি জয়ী হন। পরবর্তীতে তিনি ফের তৃণমূলে চলে যান। বর্তমানের বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে দিদির সুরক্ষা কবচের প্রচারে কি থাকবেন মমতা ? কী বলছে তৃণমূল
উল্লেখ্য, এদিন বীরভূমের ইলামবাজারে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা দিদির দূত হয়ে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে গিয়েও তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে ৷ গ্রামবাসীরা এদিন তাঁকে একাধিক সরকারি পরিষেবা না-পাওয়া নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ পরবর্তীতে মন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের কাছে তৃণমূলের তরফে 10 সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে, তাঁদের কাছে যা যা অসুবিধা রয়েছে তাঁরা তা জানাতে পারবেন৷